Some records of Indian Cricket team in Port of Spain dgtl
cricket
বিশ্বকাপ রেকর্ড থেকে লজ্জার হার, সাক্ষী দুটোরই, আজ নজর পোর্ট অব স্পেনে
পোর্ট অব স্পেন। ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর রাজধানী। আর ২০ দিন পরেই এই দেশটির ৪৭তম স্বাধীনতা দিবস। তাঁর আগে এখানেই রবিবার মুখোমুখি হতে চলেছে ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই মাঠে এর আগে ১৯ বার খেলতে নেমেছে ভারত। যার মধ্যে নয় বার জিতেছে তারা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে অবশ্য এই মাঠে সাম্প্রতিক রেকর্ড ভালই।
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০১৯ ১২:২০
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১২
পোর্ট অব স্পেন। ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর রাজধানী। আর ২০ দিন পরেই এই দেশটির ৪৭তম স্বাধীনতা দিবস। তাঁর আগে এখানেই রবিবার মুখোমুখি হতে চলেছে ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই মাঠে এর আগে ১৯ বার খেলতে নেমেছে ভারত। যার মধ্যে নয় বার জিতেছে তারা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে অবশ্য এই মাঠে সাম্প্রতিক রেকর্ড ভালই।
০২১২
প্রথম বার এই দুই দল পোর্ট অব স্পেনে মুখোমুখি হয় ১৯৮৩ সালে। স্পিন নির্ভর এই মাঠে ভারতকে হারিয়ে দেয় অনিয়মিত ক্যারিবিয়ান স্পিনার ল্যারি গোমস। যদিও ব্যাট হাতে হেইন্স ও গ্রিনিজের ১২৫ রানের ওপেনিং পার্টনারশিপকে অগ্রাহ্য করা যাবে না। বৃষ্টি বিঘ্নিত এই ম্যাচে ৫২ রানে হারে কপিল দেবের ভারত। আজকের ম্যাচে যদিও বৃষ্টির ভ্রুকুটি নেই বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
০৩১২
তবে কুইন্স পার্ক ওভালের মাঠের কথা উঠলেই ভারতীয় ক্রিকেটভক্তদের মনে পড়ে যায় ২০০৭-এর বিশ্বকাপ। সে বার গ্রুপ লিগের ম্যাচে এই মাঠে দ্রাবিড়ের ভারত মুখোমুখি হয় বারমুডার। ৪১৩ রানের পাহাড় তৈরি করেন সহবাগ-সৌরভরা। ২৫৭ রানে সেই ম্যাচ জিতে নেয় ভারত।
০৪১২
ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে এই মাঠে ভারতের প্রথম জয় আসে ১৯৯৭ সালে। কোর্টনি ওয়ালসের ওয়েস্ট ইন্ডিজ মুখোমুখি হয় সচিনের ভারতের। ভারতীয় বোলিং-এর দাপটে মাত্র ১২১ রানে অলআউট হয়ে যায় লারা সমৃদ্ধ ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং। সেই রান সৌরভ-সচিন জুটি তুলে নেয় মাত্র ২৩ ওভারে। যদিও বৃষ্টির জন্য ১২১ থেকে কমে টার্গেট দাঁড়ায় ৪০ ওভারে ১১৩।
০৫১২
যদিও বর্তমান ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহালি মনে রাখতে চাইবেন ২০১৩ সালের পোর্ট অব স্পেনের ম্যাচকে। তাঁর ৮৩ বলে ১০২ রানের ঝোড়ো ইনিংসে ভর করে ভারত ১০২ রানে জয় তুলে নেয় ডার্ক-ওয়ার্থ লুইসের মাধ্যমে। এবারের প্রথম তিন ব্যাটসম্যানই সেবারে রান পেয়েছিলেন। সেই ম্যাচকেই ফিরিয়ে আনতে চাইবেন তাঁরা। ধোনি সেই ম্যাচ না খেলায় অধিনায়ক ছিলেন কোহালিই।
০৬১২
তবে ভারতীয় সমর্থকদের গলার কাঁটা বোধ হয় হয়ে থাকবে এই মাঠে বাংলাদেশের সঙ্গে হওয়া ২০০৭ সালের ম্যাচ। যে ম্যাচ হেরে ভারত বিদায় নেয় বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকেই। মর্তুজা একাই সে বার হারিয়ে দিয়েছিলেন ভারতকে। একা কুম্ভ হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন সৌরভ (১২৯ বলে ৬৬ রান)। কিন্তু বিতর্ক তৈরি হয়েছিল সৌরভের অতিরিক্ত ধীর গতির ব্যাটিং নিয়ে।
০৭১২
১৯৯৭ সালে প্রথম জয় এলেও সেই সিরিজের প্রথম ম্যাচে গোহারান হারতে হয় ভারতকে। সেই ম্যাচেও পিছু ছাড়েনি বৃষ্টি। সচিনের ভারত প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শেষ হয়ে যায় ১৭৯ রানে। কার্টলে অ্যামব্রোস একাই শেষ করে দিয়েছিলেন ভারতকে। ব্যাট হাতে বাকি কাজটা সেরে ফেলেন লারা-চন্দ্রপল।
০৮১২
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে এই মাঠে ভারত মুখোমুখি হয়েছে ১৪ বার। যার মধ্যে ভারত জয় পেয়েছে ছয় বার। ক্যারিবিয়ানরা জিতেছে সাতটি ম্যাচ। একটি ম্যাচ ভেস্তে যায় বৃষ্টির জন্য। আজ সুযোগ রয়েছে হিসেব সমান-সমান করার। বিরাটের ভারত কি পারবে সেই কাজ করতে?
০৯১২
সাম্প্রতিক ফলাফল ও দুটো টিমের দিকে নজর দিলে যদিও সেই কাজ খুব কঠিন মনে হবে না। এই মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ভারত শেষ হেরেছে ২০০৬ সালে। সৌরভ-সচিনহীন দ্রাবিড়ের ভারতকে সে বার লারার ওয়েস্ট ইন্ডিজ হারিয়ে দেয় ১৯ রানে। শুরুতে সহবাগ ও শেষে হরভজন চেষ্টা করলেও হার বাঁচাতে পারেনি।
১০১২
তবে তার পর যত বার মুখোমুখি হয়েছে এই দুই দল, জয় এসেছে ভারতেরই। ২০০৬ সালে হারের পর এই মাঠে পাঁচ বার মুখোমুখি হয়েছে ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যার মধ্যে চার বার জিতেছে ভারত আর একটি ম্যাচ হয় পরিত্যক্ত। শেষ বার এই মাঠে এই দুই দল খেলে ২০১৭ সালে।
১১১২
সে বার জয় আসে রাহানের ব্যাটে ভর করে। তাঁর ১০৩ রানের ইনিংসের সাহায্যে ভারত প্রথমে ব্যাট করে বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ৪৩ ওভারে তোলে ৩১০ রান। বিরাট করেন ৮৭। সেই রান তাড়া করতে নেমে ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং লাইনআপ থেমে যায় মাত্র ২০৬ রানে।
১২১২
আজকের ম্যাচেও কি জয় ছিনিয়ে নিতে পারবে ভারত? বিরাটের ব্যাট থেকে কি বেরিয়ে আসবে শতরান? সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে আর কিছু ক্ষণের মধ্যেই।