ভাইচুং ভুটিয়া-কে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের টেকনিক্যাল কমিটি থেকে সরিয়েই দেওয়া হল। চেয়ারম্যান পদ থেকে তো তাঁকে অপসারিত করা হলই, কমিটিতেও রাখা হচ্ছে না ভাইচুং-কে।
তবে টেকনিক্যাল কমিটিতে ভাইচুং না থাকলেও বাংলার জয়জয়কার। ভাইচুংয়ের জায়গায় চেয়ারম্যান হচ্ছেন বাইসাইকেল ভলির প্রাক্তন নায়ক শ্যাম থাপা। কমিটিতে আরও আছেন বাংলার দুই নামী প্রাক্তন ফুটবলার প্রদীপ দত্ত এবং প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়।
ভাইচুংকে যে টেকনিক্যাল কমিটির সর্বোচ্চ পদ থেকে সরানো হচ্ছে, সেই খবর এক্সক্লুসিভ বেরোয় ৫ মার্চের আনন্দবাজারে। তার পর তীব্র প্রতিক্রিয়াও হয় তা নিয়ে। এমনকী, ভাইচুং নিজেও মুখ খুলেছিলেন।
বুধবার সন্ধেবেলায় মোবাইল ফোনে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের (এআইএফএফ) সচিব কুশল দাস বলে দিলেন, ‘‘শ্যাম থাপাকে টেকনিক্যাল কমিটির নতুন চেয়ারম্যান করা হচ্ছে।’’ ভাইচুং কি কমিটিতেই নেই? জিজ্ঞেস করায় কুশল বাবু যোগ করলেন, ‘‘ভাইচুং ফুটবলের উন্নয়নের জন্য কাজ করতে খুব আগ্রহী। অনেক বার সেই ইচ্ছা প্রকাশ করেছে ও। তাই ওকে সম্ভবত ডেভেলপমেন্ট কমিটিতে রাখা হবে যাতে উঠতি প্রতিভাদের নিয়ে ও কাজ করতে পারে।’’
আরও পড়ুন: দুই প্রধানকে নয়া প্রস্তাব আইএসএলের
টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান ছাড়াও বাইচুং আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। এআইএফএফ প্রেসিডেন্ট প্রফুল্ল পটেলের টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসর (উপদেষ্টা) হিসেবে বেতনও পেতেন তিনি। সেই পদ গত ডিসেম্বরে শেষ হয়ে গেলেও এ বছরের শুরুতে চুক্তি নবীকরণ করা হয়নি। বুধবার দিল্লিতে ফেডারেশনের বৈঠকে ঠিক হয়েছে, এ নিয়ে প্রফুল্ল পটেলই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। সচিব কুশল দাস বললেন, ‘‘প্রেসিডেন্ট ঠিক করবেন অনূর্ধ্ব সতেরো বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে বিশ্বকাপ পর্যন্ত ভাইচুংকে বিশেষ উপদেষ্টা হিসেবে রাখা হবে কি না। এটা সম্পূর্ণ ভাবেই প্রেসি়ডেন্টের সিদ্ধান্ত হতে যাচ্ছে।’’
আইএফএ প্রধান সুব্রত দত্ত লিগ কমিটির চেয়ারম্যান হয়েছেন। তিনিই সভায় প্রস্তাব দেন, অনূর্ধ্ব সতেরো বিশ্বকাপের ম্যাচে আমন্ত্রণ জানানো হোক ভারতের হয়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা ফুটবলারদের। প্রত্যেকটি ম্যাচে তাই ফেডারেশনের বিশেষ আমন্ত্রিত হিসেবে প্রাক্তন ভারতীয় ফুটবলারদের ডাকা হবে। তাঁদের বসার জন্য গ্যালারিতে বিশেষ ব্লকও থাকবে। আইএফএ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান হলেন। শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান হয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রাক্তন আইনি উপদেষ্টা ঊষানাথ বন্দ্যোপাধ্যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy