Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

বিশ্রাম পেলে ঠিক ফাইনালে যেতেন, মনে করেন সাইনা

গত কয়েক মাস ধরে সাইনার লড়াই চলেছে নিজের সঙ্গে। এমন লড়াই, যেটা হারলে তাঁর পক্ষে হয়তো আর কোর্টে ফেরাই সম্ভব হতো না। যে লড়াইয়ে সাইনা পাশে পেয়েছেন তাঁর ফিজিও এবং কোচকে।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৪:০৫
Share: Save:

ব্যাডমিন্টন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে তিনি উঠতে পারেননি ঠিকই, কিন্তু গ্লাসগো থেকে পাওয়া ব্রোঞ্জটাও তাঁকে বিশেষ রকম তৃপ্তি দিয়েছে।

কেন? সাইনা নেহওয়ালের ব্যাখ্যা, ‘‘বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ বা অলিম্পিক্স থেকে পদক জেতাটা সব সময়ই একটা দারুণ ব্যাপার। আমার ভাগ্য ভাল ছিল যে ২০১৫ সালে রুপো আর এ বারে ব্রোঞ্জ জিতেছি। তবে এ বারের পদকের মূল্য আমার কাছে অন্য রকম। কারণ, চোট সারিয়ে এসে এ বার পদকটা জিতেছি। আর এমন চোট যা আমার ব্যাডমিন্টন কেরিয়ার শেষ করে দিতে পারত।’’

গত কয়েক মাস ধরে সাইনার লড়াই চলেছে নিজের সঙ্গে। এমন লড়াই, যেটা হারলে তাঁর পক্ষে হয়তো আর কোর্টে ফেরাই সম্ভব হতো না। যে লড়াইয়ে সাইনা পাশে পেয়েছেন তাঁর ফিজিও এবং কোচকে। সাইনা বলছিলেন, ‘‘গত বছর সেপ্টেম্বরে আমার একটা বড় অস্ত্রোপচার হয়। সেখান থেকে আমার দুই ফিজিও দারুণ ভাবে আমাকে সাহায্য করেছেন পুরো ফিট হয়ে উঠতে। তার পর আমার কোচ বিমল (কুমার) স্যার আমাকে কোর্টে ছন্দে ফিরতে অনেক সাহায্য করেছেন।’’

পুরো ফিট না থাকা অবস্থায় গত নভেম্বরে চিন ওপেনে নেমেছিলেন সাইনা। কিন্তু প্রথম রাউন্ডেই ছিটকে যান। ‘‘চিন ওপেনে আমি পারিনি। প্রথম রাউন্ডেই ছিটকে গিয়েছিলাম। কিন্তু তার পর সুস্থ হয়ে ম্যাকাও ওপেন আর হংকং ওপেনে খেলি। ওই দু’টো টুর্নামেন্টেরই কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিলাম আমি,’’ বলেছেন সাইনা।

আরও পড়ুন: ব্যাডমিন্টনের দুনিয়াকে শাসন করবে ভারত, মত সিন্ধুর

চোট থেকে ফিরে আসার পরে সাইনার রোডম্যাপ মোটামুটি এই রকম ছিল— চিন, ম্যাকাও, হংকং, মালয়েশিয়া, ইন্ডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, অস্ট্রেলিয়া ওপেন। যে টুর্নামেন্টগুলোর কোথাও তিনি শেষ আটে উঠেছিলেন, কোথাও জিতেছিলেন। এবং তার পরে আসে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ।

বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে নামার আগে অবশ্য আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছিলেন সাইনা। কারণ গ্লাসগোয় তাঁর সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী যাঁরা হতে পারতেন, সেই সুং জি হিউন, ক্রিস্টি গিলমোর বা নজোমি ওকুহারার সঙ্গে খেলার রেকর্ড বরাবরই ভাল তাঁর। সাইনা এও মনে করেন, তিনি সেমিফাইনালে ওকুহারাকেও হারাতে পারতেন, যদি ম্যাচের সময়টা ঠিকমতো ফেলা হতো। ‘‘আমি নিশ্চিত ছিলাম, গ্লাসগোয় পদক পাবই। এমনকী আমার স্থির বিশ্বাস ছিল, সেমিফাইনালে ওকুহারাকেও হারাব। কিন্তু ঠিকমতো বিশ্রাম না পাওয়ায় তিন সেটের লড়াইয়ে আমি হেরে গেলাম। দু’টো ম্যাচের মাঝে যদি বিশ্রামের সময় পাওয়া যেত, তা হলে ক্লান্ত হতাম না আমি।’’

ক্রীড়া সূচি নিয়ে ক্ষুব্ধ সাইনা এও বলেন, ‘‘সূচি যদি ঠিকমতো বানানো হয়, তা হলে এই সমস্যা হয় না। তা হলে আগের রাতে কেউ যদি একটা কঠিন ম্যাচ খেলে ওঠে, পরের দিন কোর্টে নামার আগে সে প্রয়োজনীয় বিশ্রাম পেতে পারে। তবে যাই হোক, বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন থেকে পদক পেয়ে আমি খুশি।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE