অপ্রতিরোধ্য: প্রত্যাবর্তনে দুরন্ত ফর্মে মারিয়া শারাপোভা। ছবি: এএফপি।
শুধু কোর্টে নয়, কোর্টের বাইরের লড়াইও সামলাতে হচ্ছে মারিয়া শারাপোভাকে। আর এই জোড়া চ্যালেঞ্জের জবাবে গত বাহাত্তর ঘণ্টায় রাশিয়ান গ্ল্যামার কুইন দেখিয়ে দিয়েছেন দুটোই অক্লেশে সামলানোর ক্ষমতা তাঁর রয়েছে।
ডোপ কেলেঙ্কারির জন্য নির্বাসনের শাস্তি কাটিয়ে স্টুটগার্ট ওপেনে নামার পরে মাশার দিকে সমালোচনার তির ক্রমাগত ধেয়ে আসছে। বৃহস্পতিবার তো কানাডিয়ান তারকা ইউজিনি বুশার্ড তোপ দেগে বসেন মেয়েদের টেনিসের বিশ্বসংস্থা ডব্লুটিএ-কে। বলে দেন ‘প্রতারক’ শারাপোভাকে কোর্টে ফিরতে দেওয়াটা একেবারেই ঠিক হয়নি। ডব্লুটিএ-র উচিত ছিল শারাপোভাকে আজীবন নির্বাসিত করা। বুশার্ডের আক্রমণাত্মক কথাবার্তা শুনে তখন কে বলবে এক সময় এ শারাপোভাই তাঁর আদর্শ ছিলেন। ছোটবেলায় শারাপোভাই ছিলেন তাঁর অনুপ্রেরণা।
বুশার্ডের তাঁকে ‘প্রতারক’ বলা নিয়ে মাশা অবশ্য জবাব দিয়েছেন। তবে বিতর্ক বাড়াতে চাননি। তাই বলেছেন, ‘‘এই নিয়ে আমার কিছুই বলার নেই। এ সব থেকে আমি এখন অনেক দূরে।’’ বিতর্ক থেকে যে তিনি এখন দূরে থাকতে চাইবেন সেটা স্বাভাবিক। বরং শারাপোভার কাছে এখন ঢের বেশি গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের পরে কোর্টের চ্যালেঞ্জ। যেখানে ফিরে আসার পরে তিন নম্বর বাধাটাও পেরিয়ে গেলেন তিনি শুক্রবার। স্টুটগার্ট ওপেনের সেমিফাইনালে পৌঁছে।
কোয়ার্টার ফাইনালে শারাপোভার লড়াই ছিল এস্তোনিয়ার উঠতি তারকা অ্যানেট কন্টাভেইয়ের বিরুদ্ধে। তাঁকে ৬-৪, ৬-৩ হারানোর পরই কোর্টে যে চিৎকারটা করলেন মাশা তাতেই বোঝা গেল কতটা অধীর ছিলেন এই জয়টার জন্য।
৩০ বছর বয়সি রুশ তারকা ম্যাচের পরে বলে দেন, ‘‘সার্ভিসটা ভালই হচ্ছে। তাতে আত্মবিশ্বাস আরও বাড়ছে। নিজেকে ফিট রেখেছিলাম। কেন না এক বার ফিটনেস হারালে সেটা ফিরে পাওয়া খুব কঠিন।’’
শনিবার শারাপোভার ফাইনালে ওঠার লড়াই ক্রিস্টিনা ম্লাদেনোভাচের বিরুদ্ধে। সার্বিয়ান খেলোয়াড় আবার শারাপোভার স্টুটগার্ট, রোম আর মাদ্রিদ ওপেনে ওয়াইল্ড কার্ড দেওয়ার বিরোধী মন্তব্য করেছিলেন। মাশা কি পারবেন ক্রিস্টিনার মতো বাকি সমালোচকদেরও ফাইনালে উঠে জবাব দিতে?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy