একাতেরিনা মাকারোভাকে ৭-৫, ৩-৬, ৬-১ চতুর্থ রাউন্ডে হারিয়ে ২০১৫ ফরাসি ওপেনে প্রথম মেয়ে হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে আনা ইভানোভিচের আগের ম্যাচগুলোর মতো রবিবারও কোর্ট থেকে প্লেয়ার্স বক্সের দিকে উড়ন্ত চুম্বন দেওয়ার মধ্যে টেনিসমহল আর বিশেষ তাৎপর্য পাচ্ছে না। ফিলিপ শাতিয়ের কিংবা সুজান লেংলেন স্টেডিয়ামের ওই ভিভিআইপি গ্যালারিতে তো আনার ম্যাচের সময় বাস্তিয়ান সোয়াইনস্টাইগারের সরব উপস্থিতি রোলাঁ গারোয় এ বার নিয়মিত ছবি। বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন জার্মান ফুটবল টিমের মাঝমাঠের মহাতারকার সঙ্গে সার্বিয়ান টেনিস সুন্দরীর গোপনে বিয়ে হয়ে গিয়েছে বলেও তো ব্রিটিশ ট্যাবলয়েডে জল্পনা চলেছে সপ্তাহ অতিক্রান্ত ক্লে কোর্ট গ্র্যান্ড স্ল্যাম ভর।
টেনিস রোম্যান্টিক বরং বেশি আক্রান্ত ‘সেরেয়ানায়’!
সেটা কী? সেরেনা উইলিয়ামসও বয়ফ্রেন্ড-কাম-কোচ প্যাট্রিকের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা রোলাঁ গারোয় নামার আগে খোলাখুলি মিডিয়ার কাছে প্রকাশ করেছেন। কিন্তু সেটা ‘সেরেয়ানা’ নয়। তার চেয়েও যে বেশি ঝড় তুলছে গত রাতে বিশ্বের বর্তমান আর প্রাক্তন এক নম্বরের মধ্যে তৃতীয় রাউন্ডের মেগা ম্যাচে আজারেঙ্কার বিরুদ্ধে নির্ণায়ক তৃতীয় সেটে সেরেনার অত্যাশ্চর্য জয়! যে ম্যাচ শেষ হওয়ার এক ঘণ্টা পরেও প্রাক্তন বিশ্বসেরা আজারেঙ্কাকে দেখা যায় অবিশ্বাসের ভঙ্গিতে মাথা নাড়তে! রাগে লকাররুমের একটা চেয়ারও ভেঙে ফেলেন সেরেনা-বিজিত। কিন্তু সেটাকেও ‘সেরেয়ানা’ বলা হচ্ছে না।
‘সেরেয়ানা’ বলা হচ্ছে আজারেঙ্কা-বধের পর মুহূর্তেই আপাদমস্তক গোলাপি পোশাকে মোড়া সেরেনার একই জায়গায় দাঁড়িয়ে এক পায়ে অতি দ্রুত পাক খাওয়াকে! ঝট করে দেখলে মনে হবে বুঝি ‘ব্যালে’। কিন্তু সেটাকেই সোশ্যাল সাইটগুলোয় অগুনতি সেরেনা-ভক্ত তুলনা শুরু করে দিয়েছেন কিংবদন্তি রুশ ব্যালে নর্তকী আনা পাভলোভার সঙ্গে! সেরেনার ‘ব্যালে’ নিয়ে ভক্তদের বাড়াবাড়িতে বিরক্ত স্বয়ং আমেরিকান টেনিস মহাতারকাই। ‘‘আশা করি ব্যাপারটা নিয়ে যাবতীয় প্রতিক্রিয়া আমার পরের রাউন্ডের ম্যাচের আগেই থেমে যাবে। অন্তত দু’হাজার বারো অলিম্পিক সোনা জেতার পরে আমার ‘ক্রিপ ওয়াক’ নিয়ে গণ হিস্টিরিয়ার মতো হবে না। রোলাঁ গারোয় তো এখনও কোয়ার্টার ফাইনালেই উঠলাম না। আজারেঙ্কা ম্যাচটা স্পেশ্যাল বলেই জেতার পরে একটু আবেগী হয়ে পড়েছিলাম আর কী! তা বলে ব্যালে-ট্যালে বলাটা ভীষণ বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে।’’
সেরেনা-টাইপ দার্শনিক মন্তব্য প্রি-কোয়ার্টারে পৌঁছেও করছেন আরও এক মহাতারকা। তিনি, রাফায়েল নাদাল বলছেন, ‘‘কয়েক জন শ্রদ্ধেয় প্রাক্তন বলেছেন বটে যে আমি অন্য গ্রহের প্লেয়ার, বিশেষ করে ক্লে কোর্টে যখন খেলি। কারণ দশ বছরে ন’বার ফরাসি ওপেন চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা নাকি অবিশ্বাস্য কীর্তি। যা কেউ কোনও দিন ভাঙতে পারবে না। কিন্তু আমি নিজে দু’টো বক্তব্যের সঙ্গেই একমত নই। আমি এই গ্রহেরই প্লেয়ার। আর রেকর্ড গড়া হয় ভাঙার জন্যই। তাই আমার রেকর্ডও কেউ না কেউ, কোনও না কোনও দিন ভেঙে দেবে।’’
রবিবার আবার সেরেনা অথবা নাদাল নন, যত আলোচনা ফেডেরার নিয়ে। আরও ঠিক ভাবে বললে রজার বনাম গেল মফিলস প্রি-কোয়ার্টার মহাযুদ্ধ নিয়ে। মহাযুদ্ধই বটে। কারণ কেরিয়ার হেড-টু-হেডে ফেডেরার যতই ৮-৪ কিংবা ফরাসি ওপেনে ৩-০ এগিয়ে থাকুন না কেন, এই মুহূর্তের বিচারে কৃষ্ণাঙ্গ ফরাসিই কিন্তু দুর্দান্ত জায়গায় টেনিসের রাজা রজারের বিরুদ্ধে। যেহেতু দু’জনের শেষ দু’টো ক্লে কোর্ট লড়াইতেই জয়ীর নাম গেল মফিলস। গত বছর ডেভিস কাপ ফাইনাল এবং গত মাসে মন্টে কার্লো মাস্টার্স। যে জন্যই সতর্ক ফেডেরার আগাম বলে রেখেছেন, ‘‘রবিবার মফিলস আমাকে অনেক প্রশ্ন করবে আর আমাকে সেগুলোর সব ঠিকঠাক উত্তর দিতে হবে!’’ যেটা অবশ্য বৃষ্টি আর মন্দ আলোয় ১-১ সেট অবস্থায় কাল পর্যন্ত গড়িয়েছে। যদিও তার আগে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠেন সঙ্গা, নিশিকোরি, ওয়ারিঙ্কা এবং সানিয়া-হিঙ্গিস জুটি। কিন্তু বিদায় নিলেন লিয়েন্ডার-নেস্টর আর বোপান্না-মার্জিয়া জুটি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy