ছবি: সংগৃহীত
চমকপ্রদ জয়ের আত্মবিশ্বাস সঙ্গী করে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে খেলতে আসছে নেরোকা এফ সি। মণিপুরের মাঠে প্রথম আই লিগ ম্যাচ। সাড়ে সাতাশ হাজার দর্শক এসেছিলেন ম্যাচ দেখতে।
শিলং লাজংয়ের কাছে ধাক্কা খাওয়ার পর আর এক পাহাড়ি দল নেরোকার সঙ্গে মঙ্গলবার ম্যাচ সনি নর্দেদের। তার আগে শুক্রবার ইনজুরি টাইমের গোলে চেন্নাই সিটি এফ সি-কে হারিয়ে দিলেন নোগানগম রোনাল্ডরা। খুমন লামপাক স্টেডিয়ামে তীব্র উত্তেজনায় ম্যাচ শেষ হয় ২-১ গোলে। নেরোকার জেতার খবর মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে সঞ্জয় সেনের শিবিরে। তার পরই প্রশ্ন উঠে যায়, সনি বা আনসুমানা ক্রোমারা কী চোট সারিয়ে মঙ্গলবার নামতে পারবেন যুবভারতীতে? মোহনবাগান কোচ এ দিন রাতে অবশ্য বলে দিলেন, ‘‘এখনও হাতে তিন দিন সময় আছে। দেখতে হবে চোট সারিয়ে ওরা কতটা সুস্থ আছে। একটাই সুবিধা নেরোকার পর দিন দশেক কোনও ম্যাচ নেই আমাদের।’’
এ দিন মোহনবাগানের সেই অর্থে অনুশীলন ছিল না। যাঁরা বুধবার খেলেননি তাঁদের ডাকা হয়েছিল। ক্রোমা না এলেও সনি এসেছিলেন মাঠে। ফিজিও-র কাছে হাঁটুর চোট সারানোর জন্য হাইতি মিডিও ঘণ্টা দুয়েক ফিজিক্যাল ট্রেনিংও করেন। তবে বল মারেননি। শিলংয়ের কাছে পয়েন্ট খুইয়ে হঠাৎ-ই চাপে সবুজ-মেরুন শিবির। নেরোকা ম্যাচে খেলতে পারবেন না লালকার্ড দেখা কিংগসলে আবুমেনেমে। ফলে সনি-ক্রোমাকে না পেলে একজন বিদেশি নিয়েই খেলতে হবে মোহনবাগানকে। এই অবস্থায় দুই বিদেশিকে নামাতে মরিয়া দলের কোচ। সে জন্যই সঞ্জয় ঠিক করেছেন, ম্যাচের আগের তিন দিনের অনুশীলনে বল পায়ে মাঠে নামতে দেবেন না দুই বিদেশিকে। বললেন, ‘‘টিমের সঙ্গে খেলায় তো ওরা সড়গড়। শুধু চোটটা সারাতে হবে। সে জন্যই আগামী তিন দিন ফিজিও-র কাছেই থাকবে সনি-ক্রোমা।’’ বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, দুই ফুটবলারকেই খেলানো হতে পারে নেরোকা ম্যাচে। সনি এ দিন অনুশীলনের পর সতীর্থদের সেই ইঙ্গিতও দিয়েছেন।
কিংগসলের দুটো হলুদ কার্ডের প্রথমটি দেখা যে ঠিক হয়নি সেটা ম্যাচের পর ড্রেসিংরুমে বিদেশি স্টপারকে বলেছিলেন মোহনবাগান কোচ। সঞ্জয় এ দিন বলছিলেন, ‘‘ও সিনিয়র ফুটবলার। সে জন্যই ভবিষ্যতে সতর্ক থাকতে বলেছি।’’ কিংগসলে না খেললে তাঁর জায়গায় খেলার জন্য পরিবর্ত হিসাবে রানা ঘরামি বা বিক্রমজিৎ সিংহের মতো ফুটবলার আছে সঞ্জয়ের হাতে। সনি বা ক্রোমার যে পরিবর্ত নেই সেটা মানছেন তিনি।
এই পরিস্থিতিতে অস্ট্রেলিয়ান মিডিও দিয়েগো ফেরিরার বিদায়ের রাস্তা প্রায় পাকা করে ফেলেছেন মোহনবাগান কর্তারা। সামনের সপ্তাহের শুরুতে তা চূড়ান্ত হয়ে গেলে পরিবর্ত খোঁজা শুরু হয়ে যাবে। সঞ্জয় অবশ্য বললেন, ‘‘আমার সবথেকে বড় ক্ষতি হয়েছে ইউতার (কিনওয়াকি) চোট পাওয়ায়া। জানি না ওকে ডার্বিতে পাব কী না?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy