ময়দানে আই লিগের প্রথম ম্যাচ। তা-ও আবার শতাব্দী প্রাচীন মোহনবাগান মাঠে। ফলে প্রেমিকার সঙ্গে ভিক্টোরিয়া বা বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে চিড়িয়াখানা নয়, শীতের দুপুরে আজ মোহন জনতার ঠিকানা ছিল দলের মাঠ।
কিন্তু, ইতিহাসে সাক্ষী হওয়ার দিন জয়ের আনন্দ নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারলেন না গ্যালারিতে হাজির হাজার হাজার দর্শক-সমর্থক। প্রিয় দলের ড্র দেখেই ক্লাব তাঁবু ছাড়তে হল প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার মানুষকে। দলের খেলায় এ দিন অসন্তোষ ধরা পড়ে মোহন-কোচ সঞ্জয় সেনের গলায়ও।
ম্যাচ শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে দলের প্লেয়ারদের উপর নিজের ক্ষোভ উগরে দিলেন আই লিগ জয়ী কোচ। সঞ্জয় বলেন, “এত বছর ধরে মোহনবাগানে খেলেও যদি এই ম্যাচগুলো বের করতে না পারে, তা হলে কিছু বলার নেই। আজকের ম্যাচে আমরা অনেক সুযোগ পেয়েছি। কিন্তু কাজে লাগাতে পারিনি। হারের থেকেও এটা লজ্জাজনক।”
আরও পড়ুন: ১০ জনের অ্যারোজকেও হারাতে পারল না মোহনবাগান
আরও পড়ুন: কেপ টাউনে পৌঁছে গেল টিম ইন্ডিয়া
সঞ্জয়ের ইঙ্গিত যে শিল্টন পাল-কিংশুক দেবনাথদের মতো সিনিয়রদের দিকে তা এ কথা থেকেই স্পষ্ট।
প্রতি-আক্রমণে গোল হজম করার প্রসঙ্গে এ দিন সঞ্জয় বলেন, “শিল্টনের কাছে একটা বলই গিয়েছে আর সেটাই গোল! টিম মিটিংয়ে বারবার বলা হয়, প্রতি-আক্রমণে কোনও ভাবেই গোল হজম করা যাবে না। কিন্তু খেলার মাঠে তার কোনও প্রয়োগই হয় না।”
অন্য দিকে, অ্যারোজ কোচ মাতোস বলেন, “আমি ছেলেদের বলেছিলাম তোমরা যদি নিজেদের উপর বিশ্বাস রাখো, তা হলে এই ম্যাচ থেকে নিশ্চিত ভাবে পয়েন্ট নিয়ে আসতে পারবে। ছেলেরা সেটাই করেছে, দলের খেলায় আমি খুশি।”
ম্যাচ শেষে মাতোস বাগানের খেলা দেখে স্পষ্ট জানিয়ে দেন অ্যারোজের বিপক্ষে বাগান ব্রিগেড চাপে ছিল। তিনি বলেন, “ম্যাচের ১৫ মিনিট দেখার পরই মনে হচ্ছিল ওরা আমাদের থেকে বেশি চাপে আছে। দারুণ লড়াই করেছে রহিমরা।”
এ দিন মোহনবাগান তাঁবু ছাড়ার আগে মাঠ নিয়েও বিরক্তি প্রকাশ করেন অ্যারোজের অভিজিৎ সরকার-রহিম আলিরা। অভিজিৎ বলেন, “মাঠের অবস্থা একদম খারাপ। এই মাঠে ভাল খেলা যায় না। মাঠে অসমান বাউন্স।”
কোচ মাতোসও মাঠ প্লেয়িং কন্ডিশনে না থাকায় বিরক্তি প্রকাশ করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy