তিনটি বিষয় নিয়ে সম্বরণের প্রবল আপত্তি। ফাইল চিত্র
চুক্তিপত্রের কিছু অংশ দেখে ক্লাবের পাশেই দাঁড়ালেন সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মনে করেন চূড়ান্ত চুক্তিপত্রে ক্লাবের সই করা উচিত নয়। চুক্তিপত্রে সই নিয়ে বিতর্কে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব তাদের প্রাক্তন খেলোয়াড়দের আরও বেশি করে গুরুত্ব দিতে চেয়েছিল। সেই মতো ক্লাবে গিয়ে চুক্তিপত্র দেখে নিজের মতামত জানালেন বাংলার প্রাক্তন রঞ্জি ট্রফি জয়ী অধিনায়ক।
ক্লাব সচিব কল্যাণ মজুমদারের উদ্দেশে সম্বরণ লিখেছেন, ‘আমি ক্লাবে গিয়ে চুক্তিপত্রের কিছু কাগজ দেখলাম। আমি আইনজ্ঞ নই যে সবটা দেখে বলতে পারব। যতটুকু দেখলাম, তার ভিত্তিতে মতামত দিলাম।’
চুক্তিপত্রের কোন কোন জায়গায় তাঁর আপত্তি আছে সেটাও জানিয়েছেন এই প্রাক্তন উইকেটরক্ষক। মোট তিনটি বিষয়ে তিনি আপত্তি জানিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য তুলে ধরা হল।
প্রথমত: সবচেয়ে বড় কথা চুক্তিপত্রের বিচ্ছেদে দুই তরফেরই সুযোগ থাকা উচিত। সেটা এখানে নেই।
দ্বিতীয়ত: আমি এটাও দেখলাম প্রাচীনতম ময়দানটাকেও কোম্পানির কাছে হস্তান্তর করার কথা এখানে লেখা রয়েছে, যা কখনও বদলানে যাবে না। কখনও ক্লাবের কাছে ফেরত আসবে না।
তৃতীয়ত: দেখলাম সদস্যদের অধিকার খর্ব করা হয়েছে। আর সমর্থকদের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে ‘ট্রেস্পাসার্স উইল বি প্রসিকিউটেড’। (অর্থাৎ ক্লাবে ঢুকলে সমর্থকরা অপরাধী, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে)
উপরে লেখা তিনটি শর্ত দেখে সম্বরণ মনে করেন চূড়ান্ত চুক্তিপত্রে ক্লাবের সই করা উচিত নয়। তাই তিনি আরও লিখেছেন, ‘শুধুমাত্র এইটুকু দেখেই আমার যা মনে হয়েছে, এই চুক্তিপত্রে সই করায় আমি সহমত হতে পারলাম না। এগুলির কিছু পরিবর্তন দরকার বলেও আমি মনে করি।’
শ্রী সিমেন্টের দাবি ক্লাব কর্তারা চূড়ান্ত চুক্তিপত্রে সই না করলে তারা আগামী মরসুমে দল গঠনের কাজে হাত দেবেন না। ফলে লাল-হলুদের কলকাতা লিগ থেকে শুরু করে আইএসএল খেলা এখনও অনিশ্চিত। যদিও সম্বরণ মনে করেন ‘ক্রীড়া স্বত্ব’ যেহেতু শ্রী সিমেন্টের কাছে রয়েছে তাই দল গড়ে মাঠে নামা উচিত।
শেষে তিনি ক্লাব সচিবকে লিখেছেন, ‘সাথে সাথে এটাও জানাতে চাই, প্রথমে যে দুই বছরের জন্য চুক্তি হয়েছিল সেই চুক্তিপত্র অনুসারে এই বছরেও খেলতে আর খেলবার জন্য দল গড়তে কোনও বাধা নেই। কারণ স্পোর্টিং রাইটস তাদের কাছেই আছে। প্রতিষ্ঠানের অবলুপ্তি ঘটিয়ে সদস্য সমর্থকদের অধিকার খর্ব করা কোনও অবস্থায় কাম্য নয়। অতএব আমি চাই ইস্টবেঙ্গল ক্লাব মাঠে ফিরে যাক, এবং লাল-হলুদ স্বমহিমায় ফিরে আসুক।’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy