মালয়েশিয়ার বিরুদ্ধে পাঁচ উইকেট নেওয়ার পর বৈষ্ণবী শর্মা। ছবি: সমাজমাধ্যম।
অভিষেকেই নজির গড়েছেন বৈষ্ণবী শর্মা। কুয়ালালামপুরে আয়োজিত অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলাদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিক-সহ পাঁচ উইকেট নিয়েছেন তিনি। মালয়েশিয়ারের ব্যাটারের তাঁর স্পিনের সামনে দাঁড়াতে পারেননি। পাঁচ বছর বয়সে ক্রিকেটে হাতেখড়ি বৈষ্ণবীর। তবে তাঁর এত দূর আসার নেপথ্যে রয়েছে কঠোর পরিশ্রম।
১৯ বছরের বৈষ্ণবীর জন্ম মধ্যপ্রদেশের গ্বালিয়রে। চম্বল থেকে ভারতীয় দলে খেলা প্রথম মহিলা ক্রিকেটার তিনি। ২০২২-২৩ সালে জুনিয়র ঘরোয়া ক্রিকেটে সেরা মহিলা ক্রিকেটারের পুরস্কার জিতেছিলেন তিনি। কিন্তু তার পরেও ভারতীয় দলে জায়গা পাননি। এ বার পেয়েছেন। সোনম যাদবের বদলে মালয়েশিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে জায়গা পান। অভিষেকেই নজির গড়েন তিনি।
গ্বালিয়রের একটি অ্যাকাডেমিতে ক্রিকেট শিখেছেন বেষ্ণবী। প্রতি দিন সাত ঘণ্টা অনুশীলন করতেন। তিন ঘণ্টা সকালে। চার ঘণ্টা সন্ধ্যায়। বাঁহাতি স্পিন বলের পাশাপাশি বৈষ্ণবীর ব্যাটের হাতও মন্দ নয়। তাঁকে অনায়াসে অলরাউন্ডার বলা যায়।
মালয়েশিয়ার বিরুদ্ধে অষ্টম ওভারে বল করতে যান বৈষ্ণবী। মাত্র চার ওভার বল করেছেন। দিয়েছেন ৫ রান। নিয়েছেন ৫ উইকেট। তার মধ্যে ১৪তম ওভারের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ বলে উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিকও করেছেন। তাঁর দাপটে মাত্র ৩১ রানে শেষ হয়ে যায় মালয়েশিয়ার ইনিংস। তিন ওভারের আগেই ম্যাচ জিতেছে ভারত। ম্যাচের সেরাও হয়েছেন বৈষ্ণবী। অভিষেকেই তিনি যা করেছেন তাতে প্রতিযোগিতার বাকি ম্যাচে তাঁর খেলা নিশ্চিত।
পুরুষদের ক্রিকেটে রবীন্দ্র জাডেজা ও মহিলাদের ক্রিকেটে রাধা যাদবকে নিজের আদর্শ মনে করেন বাঁহাতি স্পিনার বৈষ্ণবী। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, “স্বপ্নের অভিষেক হয়েছে। প্রথম ম্যাচেই হ্যাটট্রিক-সহ পাঁচ উইকেট নেব ভাবিনি। কেরিয়ারে চড়াই-উতরাই হয়েছে। কিন্তু লড়াই ছাড়িনি। রাধা ম্যাম ও জাডেজা স্যর আমার আদর্শ। ভারতের হয়ে দীর্ঘ দিন খেলাই আমার লক্ষ্য।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy