ব্যাডমিন্টন সার্কিট থেকেই প্রেম এসেছে তাঁদের জীবনে। খেলার জগতের এই পাওয়ার কাপল বড়ই প্রিয় ক্রীড়াপ্রেমীদের।
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতাশেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২০ ১৩:৫৪
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১২০
ব্যাডমিন্টন সার্কিট থেকেই প্রেম এসেছে তাঁদের জীবনে। খেলার জগতের এই পাওয়ার কাপল বড়ই প্রিয় ক্রীড়াপ্রেমীদের। করোনা আবহে বেড়াতে গিয়ে নিজের মতো করে সময় খুঁজে নিলেন দু’জনে— সাইনা নেহওয়াল এবং পারুপল্লি কাশ্যপ।
০২২০
দুই তারকা গাঁটছড়া বেঁধেছেন ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে। তার পর ব্যস্ত হয়ে পড়েন সার্কিটে। এ বার দু’জনে ছুটি কাটাতে লম্বা ব্রেক নিলেন। মলদ্বীপ বেড়াতে গেলেন যুগলে। কাটালেন নিভৃত কিছু সময়। ক্যামেরাবন্দি সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হতেই ভাইরাল।
০৩২০
সাইনা সম্প্রতি জানিয়েছিলেন জানুয়ারি থেকে সার্কিটে ফিরবেন তিনি। ডেনমার্ক ওপেনে দম্পতি অংশ নেবেন না করোনা অতিমারি সংক্রান্ত সুরাক্ষার কারণে। জানা গিয়েছিল সে কথাও। এ বার সোশ্যাল মিডিয়ার ছবিতে সম্পূর্ণ অন্য ভাবে দেখা গেল ব্যাডমিন্টন সুন্দরীকে। পাশে ছিলেন প্রিয় মানুষ কাশ্যপ।
০৪২০
ফ্লোরাল প্রিন্টের পোশাকে সাইনাকে একেবারে অন্যরকম লাগছিল। জলে নেমেও ছবি তুলেছেন তিনি কাশ্যপের সঙ্গে।
০৫২০
পরস্পরের কাছাকাছি ছিলেন সবসময়। জলে নামার সময়ও সাইনার হাত ধরে কাশ্যপ। কাছছাড়া করতেই চাইছেন না যেন। চড়া রোদ থাকায় চোখ ঢাকল স্টাইলিশ রোদচশমায়। আরও বেশি গ্ল্যামারাস হয়ে উঠলেন তারকা দম্পতি।
০৬২০
বোটে চড়ে গভীর সমুদ্রেও গিয়েছিলেন দু’জনে। এই যুগল যে বেশ অ্যাডভেঞ্চারাস, ছবিতেই তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। মাঝ সমুদ্রে হাওয়া দিচ্ছে, সেখানেও মিষ্টি হাসিতে ধরা দিলেন দুজনে। পরনে ঘন ফ্লোরাল প্রিন্ট্র মিনি ড্রেস।
০৭২০
শুধু সাইনাই নন, ফ্লোরাল শার্টে কাশ্যপও হ্যান্ডসাম হাঙ্ক। চোখে রোদচশমা, জাঙ্ক জুয়েলারিতে এ হেন সাইনাকে ক্রীড়াপ্রেমীরা কবে দেখছেন মনে করতে পারছেন না।
০৮২০
হট গাউনে ধরা দিলেন সাইনা। চোখে সূর্যাস্তের আভা আর মুখে এসে পড়া এলোমেলো চুল। সানকিসড সাইনার পিছনেই কোকোনাট ট্রি প্রিন্ট বিচ শার্টে কাশ্যপ।
০৯২০
কাশ্যপ আর সাইনা উঠেছিলেন নামী পাঁচতারা হোটেলে। সাইনা একের পর এক বেড়ানোর ছবি পোস্ট করেছেন। হোটেলেও স্ট্রাপড জিন্স আর চেকসে স্টাইলিশ কাশ্যপ আর মিনি কাফতান ড্রেসে সাইনাকে দেখে অনেকেই মন্তব্য করেছেন দ্বিতীয় মধুচন্দ্রিমায় যেন গিয়েছেন যুগলে।
১০২০
কাশ্যপ বেড়ানো নিয়ে ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ‘বেড়ানো একমাত্র জিনিস যা মানুষ কিনতে পারলে সেটি তাকে সমৃদ্ধ করে তোলে’। প্রিয়জন সাইনাকে ট্যাগ করতে ভোলেননি কাশ্যপ।
আনমনা সাইনা সমুদ্রের অতল গভীরতার দিকে অবাক দৃষ্টিতে চেয়ে, পাশে কাশ্যপ। একেবারে হালকা মুডে। কালো-সাদা ফ্লোরালে তিনি আর কাশ্যপও ক্যাজুয়াল বিচ আউটফিটে।
১৩২০
কখনও সমুদ্রের ধারে হাওয়ায় উড়ছে সাইনার মিনি ব্ল্যাক গাউন। খানিকটা খোলামেলা পোশাকে সাইনা যেন প্রকৃতির কাছে এসে একটু সাহসীও।
১৪২০
হোটেলের সুইমিং পুলের ধারে চলল ফটোসেশন। মাথায় হ্যাট পরে সাইনা এক্কেবারে ছেলেমানুষের মতো পোজ দিয়েছেন।
১৫২০
চোখের এলোমেলো চুল সরিয়ে নিচ্ছেন সাইনা। ঠিক যে ভাবে দক্ষিণী ফ্যাশন ডিজাইনার ভানু রঘুপতির ডিজাইন করা হলুদ রঙের লেহেঙ্গা-চোলি র্যাম্প মাতিয়ে তুলেছিলেন ২০১৯ সালে। সে ভাবেই সোশ্যাল মিডিয়া মাতল সাইনার চোখ ধাঁধানো ছবিতে।
১৬২০
এ বার ফ্লোরাল প্রিন্টে পিঙ্ক মিনি কাফতানে ধরা দিলেন ব্যাডমিন্টন সুন্দরী। সমুদ্রের একেবারে পাশেই।
১৭২০
হোটেলের সুইমিং পুলের পাশেও পোজ দিলেন তিনি। আসলে এত লম্বা ছুটি বহু বছর কাটাননি সাইনা। সেটা ছেলেমানুষি দেখেই বোঝা যাচ্ছিল।
১৮২০
হোটেলের পিলারে হেলান দিয়েছেন। আর্দ্র চোখে চাকিয়েছেন ক্যামেরার দিকে। কে বলবে, ব্যাডমিন্টন হাতে নিলেই এ মেয়েই তা তরবারির মতো চালাতে শুরু করেন। পর্যুদস্ত করেন প্রতিদ্বন্দ্বীদের।
১৯২০
পিলারে হেলান দিয়ে এ বার আর ক্যামেরার দিকে নয়, তাকিয়ে রয়েছেন অন্যমনস্ক ভাবে। কী ভাবছেন তিনি?
২০২০
এ বার অনুশীলনের পালা। বাড়ি ফিরতে হবে। মাঠে নেমে প্রতিপক্ষকে পরাস্ত করতে হলে অনুশীলনও হওয়া চাই জোরদার। হাতে ঘড়ি দেখে কাশ্যপ কি তেমনটাই ভাবছিলেন।