নায়ক: দু’ইনিংসে সেঞ্চুরি করে জেতালেন শাই হোপ। ছবি: এএফপি
হেডিংলেতে ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটের রূপকথা। যে রূপকথা দেখে কেউ কেউ বলে ফেলছেন, টেস্ট ক্রিকেটের সেরা প্রত্যাবর্তন।
মঙ্গলবার রাতে যে জয় দেখার পরে সচিন তেন্ডুলকর স্বয়ং অভিনন্দন জানান ব্রায়ান লারাকে। সচিন টুইট করেন, ‘টেস্টের ফল নিয়ে আমি ব্রায়ান লারার সঙ্গে কথা বলছিলাম। লারাকে বলি, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং বিশ্ব ক্রিকেটের জন্য এই জয়টা খুব প্রয়োজন ছিল।’
মঙ্গলবার হেডিংলেতে যখন টেস্টের শেষ দিন শুরু হয়, জয়ের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের দরকার ছিল ৩১৭। অত্যন্ত কঠিন এই লক্ষ্য সহজ করে দেন ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটের নবজাগরণের দুই নায়ক। ক্রেগ ব্র্যাথওয়েট এবং শাই হোপ। দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচ রানের জন্য সেঞ্চুরি পাননি ব্র্যাথওয়েট। কিন্তু হোপ থেমে যাননি। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও সেঞ্চুরি করেন। হেডিংলেতে এই প্রথম কোনও ব্যাটসম্যান যা করে দেখালেন। অপরাজিত থেকে যান ১১৮ রানে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ জেতে ৫ উইকেটে।
বলা হচ্ছে বিদেশের মাঠে অন্যতম সেরা এই টেস্ট জয়। এর আগের টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইনিংসে হেরে যাওয়ার পরে তাদের আর ধর্তব্যের মধ্যেই রাখেননি বিশেষজ্ঞরা। বলা হচ্ছিল, দ্বিতীয় টেস্টেও উড়ে যাবে জেসন হোল্ডারের দল। কিন্তু হেডিংলে টেস্টের প্রথম দিন থেকেই ইংল্যান্ডকে চাপে রেখেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। চতুর্থ দিনের শেষে এসে অবশ্য ইংল্যান্ড ম্যাচের রাশ কিছুটা নিজেদের হাতে নেয়। দ্বিতীয় ইনিংসে তারা ৪৯০-৮ তুলে ডিক্লেয়ার করে। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩২২ রানের লক্ষ্য দিয়ে। তখনও সম্ভবত জো রুট ভাবতে পারেননি তাঁদের জন্য কী অপেক্ষা করে আছে। এখন রুটের যে সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
হেডিংলে টেস্টের শেষে মাইকেল ভন টুইট করেছেন, ‘এক সপ্তাহের মধ্যে টেস্ট ক্রিকেটে এ রকম অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তন আমি আর দেখিনি।’ ভনের আরও বক্তব্য, রুট ডিক্লেয়ার দিয়ে ঠিকই করেছিলেন, কারণ ইংল্যান্ড অধিনায়ক টেস্ট জিততে চেয়েছিলেন। রুট জিততে চেয়েছিলেন, কিন্তু শেষ দিনে বাজিমাত করে গেলেন হোপ-রা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংস ২৫৮। ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংস ৪২৭। ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংস ৪৯০-৮ ডি. (জো রুট ৭২, মইন আলি ৮৪। রস্টন চেজ ৩-৮৬)। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় ইনিংস ৩২২-৫ (ক্রেগ ব্র্যাথওয়েট ৯৫, শাই হোপ ন.আ ১১৮। মইন আলি ২-৭৬)।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy