ইস্টবেঙ্গলে ফিরলেন স্ট্রাইকার রবিন সিংহ। ছবি: সংগৃহীত।
রবিন সিংহ, টোলগে ওজবে, পেন ওরজি, সঞ্জু প্রধান, সুশান্ত ম্যাথু কে নেই সেই তালিকায়। মেহতাব, সৌমিকরা তো আছেনই। সেই ট্রেভর জেমস মর্গ্যানের জমানা। সাফল্যের তুঙ্গে লাল-হলুদ। মাঠের মধ্যে যেমন প্রতিদিনই নতুন নতুন মজাদার অনুশীলন ঠিক তেমনই গোলের পর নতুন সেলিব্রেশনে মেতে ওঠার ময়দান। আর সব থেকে স্মরণীয় গোলের পর সবাই মিলে মাঠের মধ্যে বসে নৌকো বাওয়ার সেই দৃশ্য। সে যেই গোল করুক না কেন। আর এই সবেরই মধ্যমণি ছিলেন রবিন সিংহ। তিন বছর পর আবার সেই লাল হলুদ জার্সিতে ফিরছেন দিল্লির এই স্ট্রাইকার।
আরও খবর: ইস্টবেঙ্গলের দাবি মানতে নারাজ ফেডারেশন
ফিরেছেন মর্গ্যানও। আবার সেই রবিন সিংহ-মর্গ্যান যুগলবন্দী কি সেই জাদু ফিরিয়ে আনতে পারবে ইস্টবেঙ্গলে? যদিও নেইয়ের তালিকায় চলে গিয়েছেন অনেকেই, রবিনের সঙ্গে জুটি বেঁধে যে কোনও দলের রক্ষণকে চমকে দেওয়া অস্ট্রেলিয়ান স্ট্রাইকার টোলগে আর নেই ভারতীয় ফুটবলে। নেই মাঝমাঠে দাঁপিয়ে বেড়ানো পেন ওরজি। অন্য দল ঘুরে সঞ্জু প্রধান এখন শিবাজিয়ান্সে। সৌমিক দে আর খেলেন না ফুটবল। যদিও এ বার অধিনায়ক মেহতাব। তবুও যেন একটা স্মৃতি ফিরিয়ে আনলেন রবিন সিংহ। তিন বছর পর কলকাতায় ফিরলেন তিনি। এখান থেকেই শুরু তাঁর আই লিগ খেলা। সেই একবার আইএফএ শিল্ডে টাটা ফুটবল অ্যাকাডেমির হয়ে ইস্টবেঙ্গলকে হারানোর অন্যতম কারিগরকে কর্তারা পরের বছরই নিয়ে এসেছিলেন দলে। এর পর অনেক সাফল্য দেখেছেন তিনি। ব্যর্থতাও এসেছে। ২০০৯ সাল সেটা। ২০১৩তে চলে যান বেঙ্গালুরু এফসিতে।
ইস্টবেঙ্গলের সেই চেনা ছবি। ফিরবে কি আবার?
অনেকদিন ধরেই কথা হচ্ছিল রবিনের সঙ্গে। কিন্তু তাঁর চাহিদার মতো টাকা দিতে রাজি ছিলেন না কর্তারা। মাঝে জেজে লালপেখলুয়া, বলবন্ত সিংহকে নেওয়ার চেষ্টা করলেও তাঁরা মোহনবাগান ছেড়ে পাসের ক্লাবে যেতে চাননি। শেষ পর্যন্ত রবিনের শীলমোহর দিলেন মর্গ্যান। ২০১৫-১৬ মরসুমটা যদিও চোটের কারণে বাইরেই কাটাতে হয়েছিল। আই লিগ খেলতে পারেনননি। আইএসএল-এ নেমেছিলেন এফসি গোয়ার হয়ে। জীবনের প্রথম ক্লাব থেকে আবার ঘুরে দাঁড়ানোর অপেক্ষায় রবিন সিংহ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy