Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Cricket

আইএএস অফিসারের কেরিয়ার ছেড়ে ক্রিকেটে, ব্যর্থতায় বিস্মৃত জাতীয় দলের এই ক্রিকেটার

কেরিয়ারের শুরুতে যথেষ্ট সম্ভাবনাও জাগিয়েছিলেন প্রতিশ্রুতিমান অময় খুরাসিয়া। কিন্তু তার পরে হারিয়ে গেলেন। আজ তাঁর নাম বিস্মৃত।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২০ ১১:২৯
Share: Save:
০১ ১১
উত্তীর্ণ হয়েছিলেন আইএএস-এর প্রবেশিকা পরীক্ষায়। আধিকারিক হওয়া ছিল সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু তিনি চলে এসেছিলেন ক্রিকেটের ময়দানে। কেরিয়ারের শুরুতে যথেষ্ট সম্ভাবনাও জাগিয়েছিলেন প্রতিশ্রুতিমান অময় খুরাসিয়া। কিন্তু তার পরে হারিয়ে গেলেন। আজ তাঁর নাম বিস্মৃত।

উত্তীর্ণ হয়েছিলেন আইএএস-এর প্রবেশিকা পরীক্ষায়। আধিকারিক হওয়া ছিল সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু তিনি চলে এসেছিলেন ক্রিকেটের ময়দানে। কেরিয়ারের শুরুতে যথেষ্ট সম্ভাবনাও জাগিয়েছিলেন প্রতিশ্রুতিমান অময় খুরাসিয়া। কিন্তু তার পরে হারিয়ে গেলেন। আজ তাঁর নাম বিস্মৃত।

০২ ১১
অময়ের জন্ম ১৯৭২ সালের ১৮ মে। পড়াশোনায় মেধাবী অময় ভালবাসতেন ক্রিকেট খেলতে। পড়াশোনার পাশাপাশি সমান তালে চালিয়ে গিয়েছিলেন ক্রিকেট খেলা। ঘরোয়া ক্রিকেটে তাঁর আত্মপ্রকাশ ১৯৮৯-৯০ সালে। তিনি ছিলেন ডান হাতি পার্টটাইম স্পিনার এবং বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান।

অময়ের জন্ম ১৯৭২ সালের ১৮ মে। পড়াশোনায় মেধাবী অময় ভালবাসতেন ক্রিকেট খেলতে। পড়াশোনার পাশাপাশি সমান তালে চালিয়ে গিয়েছিলেন ক্রিকেট খেলা। ঘরোয়া ক্রিকেটে তাঁর আত্মপ্রকাশ ১৯৮৯-৯০ সালে। তিনি ছিলেন ডান হাতি পার্টটাইম স্পিনার এবং বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান।

০৩ ১১
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১৮৯ ইনিংসে তাঁর সংগ্রহ ৭৩১২ রান। সর্বোচ্চ রান ২৩৮। লিস্ট এ ম্যাচে ১০৮ ইনিংসে তাঁর মোট রান ৩৭৬৮। সর্বোচ্চ স্কোর ১৫৭ রান।

প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১৮৯ ইনিংসে তাঁর সংগ্রহ ৭৩১২ রান। সর্বোচ্চ রান ২৩৮। লিস্ট এ ম্যাচে ১০৮ ইনিংসে তাঁর মোট রান ৩৭৬৮। সর্বোচ্চ স্কোর ১৫৭ রান।

০৪ ১১
১৯৯৯ সালে অময় প্রথম ত্রিদেশীয় সিরিজে ওয়ান ডে ক্রিকেট ম্যাচ খেলেন। প্রথম ম্যাচ ছিল পুণের মাঠে, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে। সিরিজের আর এক প্রতিযোগী দেশ ছিল পাকিস্তান।

১৯৯৯ সালে অময় প্রথম ত্রিদেশীয় সিরিজে ওয়ান ডে ক্রিকেট ম্যাচ খেলেন। প্রথম ম্যাচ ছিল পুণের মাঠে, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে। সিরিজের আর এক প্রতিযোগী দেশ ছিল পাকিস্তান।

০৫ ১১
প্রথম ম্যাচেই তিনি ৪৫ বলে ৫৭ রানের একটি ঝোড়ো ইনিংস খেলেছিলেন। ঘটনাচক্রে সেটাই একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে তাঁর সর্বোচ্চ স্কোর। কেরিয়ারের ১২টি ওয়ান ডে ম্যাচের ১০টি-ই তিনি খেলেছিলেন ১৯৯৯ সালে।

প্রথম ম্যাচেই তিনি ৪৫ বলে ৫৭ রানের একটি ঝোড়ো ইনিংস খেলেছিলেন। ঘটনাচক্রে সেটাই একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে তাঁর সর্বোচ্চ স্কোর। কেরিয়ারের ১২টি ওয়ান ডে ম্যাচের ১০টি-ই তিনি খেলেছিলেন ১৯৯৯ সালে।

০৬ ১১
১৯৯৯ বিশ্বকাপ দলেও তিনি ছিলেন। তবে তাঁকে একটি ম্যাচও খেলানো হয়নি।

১৯৯৯ বিশ্বকাপ দলেও তিনি ছিলেন। তবে তাঁকে একটি ম্যাচও খেলানো হয়নি।

০৭ ১১
২০০২ সালে তাঁকে আবার ওয়ান ডে দলে ফেরানো হয়। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ত্রিদেশীয় সিরিজে দু’টি ম্যাচে সুযোগ পান। কিন্তু সফল হতে পারেননি। শর্ট বলের বিরুদ্ধে তাঁর দুর্বলতা থেকেই গিয়েছিল।

২০০২ সালে তাঁকে আবার ওয়ান ডে দলে ফেরানো হয়। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ত্রিদেশীয় সিরিজে দু’টি ম্যাচে সুযোগ পান। কিন্তু সফল হতে পারেননি। শর্ট বলের বিরুদ্ধে তাঁর দুর্বলতা থেকেই গিয়েছিল।

০৮ ১১
ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা বলেন, তাঁর ব্যর্থতার অন্যতম কারণ, ব্যাট করার সময় শাফল করে ক্রিজে ঢুকে আসার প্রবণতা। যেটা পরে বোলাররা কাজে লাগিয়ে তাঁকে বার বার আউট করেছেন।

ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা বলেন, তাঁর ব্যর্থতার অন্যতম কারণ, ব্যাট করার সময় শাফল করে ক্রিজে ঢুকে আসার প্রবণতা। যেটা পরে বোলাররা কাজে লাগিয়ে তাঁকে বার বার আউট করেছেন।

০৯ ১১
পরে ঘরোয়া ক্রিকেটেও তাঁর পারফরম্যান্স পড়তে থাকে। মধ্যপ্রদেশের রঞ্জি দল থেকে তিনি বাদ পড়েন। ২০০৭ সালে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট থেকেও অবসর নেন।

পরে ঘরোয়া ক্রিকেটেও তাঁর পারফরম্যান্স পড়তে থাকে। মধ্যপ্রদেশের রঞ্জি দল থেকে তিনি বাদ পড়েন। ২০০৭ সালে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট থেকেও অবসর নেন।

১০ ১১
ক্রিকেট থেকে অবসরের পরে ধারাভাষ্যকার হিসেবে নতুন যাত্রা শুরু করেছিলেন অময়। পাশাপাশি শুরু করেছিলেন ক্রিকেট প্রশিক্ষকের কাজও। তিনি এখন মধ্যপ্রদেশের লেভেল থ্রি কোচ।

ক্রিকেট থেকে অবসরের পরে ধারাভাষ্যকার হিসেবে নতুন যাত্রা শুরু করেছিলেন অময়। পাশাপাশি শুরু করেছিলেন ক্রিকেট প্রশিক্ষকের কাজও। তিনি এখন মধ্যপ্রদেশের লেভেল থ্রি কোচ।

১১ ১১
অময় স্বীকার করেন, তিনি সুযোগ পেয়েও দলে অপরিহার্য হয়ে উঠতে পারেননি। তবে পাশাপাশি রয়েছে আক্ষেপও। তাঁর দাবি, ১৯৯৯-এর দু’বছর আগেই তাঁর জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া উচিত ছিল। কারণ তখনই তিনি কেরিয়ারে সেরা ফর্মে ছিলেন।
                                                                                                                          (ছবি: আর্কাইভ ও ফেসবুক)

অময় স্বীকার করেন, তিনি সুযোগ পেয়েও দলে অপরিহার্য হয়ে উঠতে পারেননি। তবে পাশাপাশি রয়েছে আক্ষেপও। তাঁর দাবি, ১৯৯৯-এর দু’বছর আগেই তাঁর জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া উচিত ছিল। কারণ তখনই তিনি কেরিয়ারে সেরা ফর্মে ছিলেন। (ছবি: আর্কাইভ ও ফেসবুক)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy