মাইক হাসি মনে করেন, এ বারের বিশ্বকাপের চারটে কোয়ার্টার ফাইনালের মধ্যে সবচেয়ে গড়বড়ে ম্যাচটা কালই হচ্ছে। শেষ আটের সবচেয়ে জমজমাট লড়াই সম্ভবত শুক্রবার অ্যাডিলেডে অস্ট্রেলিয়া বনাম পাকিস্তানেই দেখা যাবে। ম্যাচের চব্বিশ ঘণ্টা আগে যিনি এই ব্যাখ্যা দিলেন সেই প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যানের স্বয়ং অভিজ্ঞতা আছে আইসিসি বিশ্বকাপ নকআউটে একার হাতে পাকিস্তানের ছুটি করিয়ে দেওয়ার। ২০১০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে মাইক হাসির সাত নম্বরে নেমে ২৪ বলে ৬০ নটআউটের মহাদাপটে মিসবা-আফ্রিদি-উমর আকমলের দলকে তিন উইকেটে হারিয়েছিল মাইকেল ক্লার্কের অস্ট্রেলিয়া।
সেই লোক এ দিন বলছিলেন, “কাল একটা দুর্দান্ত ম্যাচ হবে। তবে সেটা নির্ভর করবে কোন পাকিস্তান দল মাঠে নামে তার উপর। পাকিস্তানকে নিয়ে কখনও আগাম ভবিষ্যদ্বাণী করা যায় না। ওরা যা খুশি ঘটাতে পারে। তবে এই মুহূর্তে ওদের ব্যাটসম্যানরা রানের মধ্যে আছে। বোলাররা উইকেট পাচ্ছে। মনে তো হচ্ছে অ্যাডিলেডে অস্ট্রেলিয়ার জন্য একটা কঠিন লড়াই অপেক্ষা করে আছে।”
কেন, সে ব্যাপারে হাসির ব্যাখ্যা, “বিশ্বকাপে এখন নকআউট চলছে। সে কারণে চাপটা পাকিস্তানের চেয়ে অস্ট্রেলিয়ার উপর বেশি। কারণ ওরা একই সঙ্গে টুর্নামেন্টের সংগঠক আর অন্যতম ফেভারিট। নিজেদের মাঠ, চেনা পরিবেশ, দর্শক সমর্থন যেমন কোনও দলের কাছে বাড়তি প্রাপ্তি, তেমনই বাড়তি চাপও। মিসবারা অ্যাডিলেডে যদি আত্মবিশ্বাস নিয়ে ভাল শুরু করতে পারে, সেটা ব্যাটিং, বোলিংযা-ই হোক তা হলে কিন্তু ক্রমশ ম্যাচ যত এগোবে ওদের আরও ভয়ঙ্কর দেখাতে পারে। কালকের ম্যাচের শুরুটা তাই ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।”
যদিও দিনের শেষে হাসি আশাবাদী, অস্ট্রেলিয়া দলে যেহেতু অনেক ম্যাচ উইনার, সে জন্য ম্যাচটা শেষমেশ তাঁর দেশই জিতবে। “নিউজিল্যান্ডে গিয়ে ওদের কাছে ক্লার্করা হারলেও ওই ম্যাচ থেকেও আমাদের ছেলেরা অনেক পজিটিভ কিছু পেয়েছিল। অকল্যান্ডে আমরা মাত্র এক উইকেটে হেরেছি। কিন্তু স্টার্ককে টুর্নামেন্টে ভয়ঙ্কর দেখানোর শুরু ওই ম্যাচ থেকেই। তার পর থেকে একের পর এক জেতার সুবাদে অস্ট্রেলিয়া দল এখন দারুণ ছন্দে। দলটা দুর্ধর্ষ। ছেলেরা খেলছেও খুব ভাল। টিমে অনেক ম্যাচ উইনার। আমাকে হয়তো পক্ষপাতদুষ্ট দেখাতে পারে, কিন্তু আশা করছি অস্ট্রেলিয়া একেবারে বিশ্বকাপ জিতেই থামবে এ বার, বললেন প্রাক্তন অজি তারকা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy