অলিম্পিক্সের লোগো। ছবি: রয়টার্স।
প্যারিস অলিম্পিক্স শুরু হতে আর দু’দিন বাকি। চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। এর মাঝেই আয়োজকদের চিন্তায় ফেলেছে শহরের ইঁদুরেরা। প্যারিসে সম্প্রতি যে পরিমাণে ইঁদুরের উৎপাত বেড়েছে, তাতে গোটা বিশ্বের কাছে যাতে মুখ না পোড়ে, তার ব্যবস্থা করছেন আয়োজকেরা।
প্যারিসে ইঁদুরদের উৎপাত নিয়ে হলিউডে তৈরি হয়েছে সিনেমা ‘র্যাটাটুইল’। হাসির সেই সিনেমায় যা দেখানো হয়েছে, তার সঙ্গে বাস্তব পরিস্থিতির খুব একটা ফারাক নেই। অলিম্পিক্স শুরু হওয়ার দু’দিন আগেও শহরের দূষণ এবং অপরিচ্ছন্নতা শিরোনামে আসছে।
প্যারিসের ডেপুটি মেয়র অ্যান-ক্লেয়ার বোঁস বলেছেন, “অলিম্পিক্সের সমস্ত এলাকা এবং অতিথিদের থাকার জায়গা ভাল করে খতিয়ে দেখা হয়েছে।” তাতেও চিন্তা যাচ্ছে না।
সমস্যা মেটাতে সাধারণ মানুষের কাছে সরকারি কর্তারা অনুরোধ করেছে, উচ্ছিষ্ট খাবার রাস্তায় না ফেলতে। যে যে রাস্তা অপরিষ্কার সেগুলি সাফ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। পাশাপাশি রাস্তার নীচে যে নালাগুলি রয়েছে, সেখান থেকে যাতে ইঁদুর বাইরে বেরিয়ে আসতে না পারে তার জন্য সমস্ত ছিদ্র ঢেকে দেওয়া হচ্ছে। ইঁদুর ধরার খাঁচাও তৈরি রাখা হচ্ছে।
আইফেল টাওয়ারের পিছনে একটি উদ্যানে বিচ ভলিবল হওয়ার কথা। পাশাপাশি ল্যুভর উদ্যানে অলিম্পিক্সের মশাল জ্বালানোর কথা। দু’টি জায়গাই বনভোজনের জন্য বিখ্যাত। সেখানে প্রায়শই উচ্ছিষ্ট পড়ে থাকে। ফলে ইঁদুরদের প্রিয় জায়গা সেটি। সেই এলাকা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পরিষ্কার রাখা হচ্ছে। তবে বোঁসের দাবি, প্যারিস থেকে ইঁদুরকে পুরোপুরি উৎখাত করা যাবে না। কারণ নালা-নর্দমার আবর্জনা পরিষ্কার রাখার জন্য ইঁদুরের অবদান অনস্বীকার্য।
এ ছাড়া, প্যারিসের কীটপতঙ্গ নিয়েও চিন্তা রয়েছে। প্যারিসের বিভিন্ন রাস্তায় আবর্জনা পড়ে থাকা মামুলি ব্যাপার বলে জানিয়েছেন বাসিন্দারা। এ নিয়ে শাসকদলকে সমালোচিতও হতে হয়। অলিম্পিক্সের আগে সেই সমালোচনা দূর করাই এখন চ্যালেঞ্জ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy