আগ্রাসী: কোয়ার্টার ফাইনালে আকানে ইয়ামাগুচির বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক পিভি সিন্ধু। শুক্রবার। ছবি: এএফপি।
হংকংয়ে তেরঙ্গা উড়িয়ে রাখলেন একা পিভি সিন্ধু। আকানে ইয়ামাগুচিকে হারিয়ে চার সপ্তাহ আগে প্যারিসে হারের মধুর প্রতিশোধও নিয়ে নিলেন বিশ্বের দু’নম্বর তারকা। এ বার হংকং ওপেনের সেমিফাইনালে তাঁর সামনে তাইল্যান্ডের তারকা রচানক ইন্তানন। যিনি একে অপরের মুখোমুখিতে এগিয়ে হায়দরাবাদি তরুণীর চেয়ে।
কোয়ার্টার ফাইনালে সিন্ধু দুর্দান্ত ফর্মে থাকা জাপানি তারকাকে হারান ২১-১২, ২১-১৯। চিনা ওপেন জেতার পরে গত পাঁচ সপ্তাহে তিনটি সুপার সিরিজের ফাইনালে ওঠেন ২০ বছর বয়সি ইয়ামাগুচি। এ রকম ফর্মে থাকা সত্ত্বেও এ দিন মাত্র ৩৭ মিনিটে তাঁকে উড়িয়ে দেন সিন্ধু। প্যারিসে তাঁদের শেষ মুখোমুখিতে প্রায় দিশাহারা হয়ে গিয়েছিলেন সিন্ধু। এ দিন কৌশল বদলে সম্পূর্ণ অন্যরকম ভাবে আক্রমণ করলেন ভারতীয় তারকা। ছোটখাটো জাপানি মেয়েটির শক্তি ক্রস কোর্ট হাফ স্ম্যাশ ও স্ট্রেট ড্রপের বিষাক্ত মিশ্রণ। এ সব সামলেই এ দিন ইয়ামাগুচিকে হিমশিম খাইয়ে দেন সিন্ধু। এ দিন তাঁকে কোর্টে বেশি দাঁড়াতেই দেননি তাঁর ভারতীয় প্রতিপক্ষ। নেটের সামনে লড়াইয়ে সিন্ধু ছিলেন অনেক বেশি ক্ষিপ্র। প্যারিসের লড়াইয়ের মতো এ দিন সিন্ধু তাড়াহুড়ো করে পয়েন্ট নিতে যাননি। সঠিক সুযোগের অপেক্ষায় থেকেছেন ধৈর্য ধরে এবং সেগুলো কাজেও লাগিয়েছেন। তাঁর প্রতিপক্ষের আকস্মিক কৌশল বদলে কিছুটা ধাক্কা খান ইয়ামাগুচিও। দ্বিতীয় গেমে অনেকগুলি ভুলও করেন। সেগুলোও সিন্ধুকে আরও বাড়তি সুবিধা পাইয়ে দেয়।
জয়ের পরে সিন্ধু বলেন, ‘‘অনেকগুলো লম্বা র্যালি হয়েছে আজ। প্রথম গেম হেরে দ্বিতীয় গেমে ইয়ামাগুচি আরও শক্তি নিয়ে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা শুরু করে। এগিয়েও যায়। কিন্তু পিছিয়ে গিয়েও আমি আশা ছাড়িনি। নিজেকে তখন বলছিলাম, শেষ পয়েন্ট পর্যন্ত লড়াই ছাড়ব না।’’ কোর্টের পাশেই থাকা কোচ পুলেল্লা গোপীচন্দ বলেন, ‘‘সিন্ধুর ফোকাসটা আজ অনড় ছিল। কৌশলটাও ছিল নিখুঁত। ধৈর্যের পরীক্ষায় আজ উতরে গিয়েছে ও। খুবই ভাল ফর্মে রয়েছে ও। কালও ভাল খেলবে।’’
প্রাক্তন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন রচানক অবশ্য একে অপরের মুখোমুখিতে ৪-২ এগিয়ে রয়েছেন। ২০১৩-র ইন্ডিয়ান ওপেন ও ২০১৫-র কোরিয়ান ওপেনে তাঁকে হারিয়েছিলেন সিন্ধু। ২০১৬-র মালয়েশিয়া ওপেনে তাঁদের শেষ ম্যাচে সিন্ধু হারেন সরাসরি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy