Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪
Sports News

আড়াই ঘণ্টা ব্যাট করে সাড়ে চার কেজি ওজন কমে গেল!

উপমহাদেশের আবহাওয়ার জন্যই এই অবস্থা। এই মুহূর্তে বাংলাদেশে গরম আর আদ্রতায় রীতিমতো নাস্তানাবুদ অবস্থা অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের। যা সব থেকে বেশি প্রভাব ফেলেছে হ্যান্ডসকম্বের উপর।

বাংলাদেশ টেস্টে ব্যাট করছেন অস্ট্রেলিয়ার পিটার হ্যান্ডসকম্ব। ছবি: এএফপি।

বাংলাদেশ টেস্টে ব্যাট করছেন অস্ট্রেলিয়ার পিটার হ্যান্ডসকম্ব। ছবি: এএফপি।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ১৬:০৯
Share: Save:

বাংলাদেশে খেলতে গিয়ে গরমে নাজেহাল অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটাররা। আর এই প্রবল গরমে আড়াই ঘণ্টা ব্যাট করে রাতারাতি সাড়ে চার কেজি ওজন কমে গিয়েছে বলে দাবি অস্ট্রেলিয়ার পিটার হ্যান্ডসকম্বের। মাঠে ময়দানে এমন কাণ্ডের নজির আছে কি না মনে করতে পারলেন না অনেকেই।

এই মুহূর্তে চট্টগ্রামে চলছে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় টেস্ট। মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের খেলার শেষে ১১৩ বল খেলে ৬৯ রানে অপরাজিত ছিলেন হ্যান্ডসকম্ব। খেলার পরই নাকি ধরা পড়ে এতটা ওজন কমে যাওয়ার ঘটনা। এই অবস্থায় বুধবার, তৃতীয় দিনে, ব্যাট করতে নেমেছিলেন তিনি। মোট ৮২ রান করে রান আউট হন।

আরও পড়ুন

পাকিস্তানের ভিসা চেয়ে অপমানিত ইমরান তাহির

লাইভ ম্যাচ সম্প্রচারে দূরদর্শনকেই টাকা দিয়েছিল বোর্ড!

তবে দু’এক দিনের মধ্যেই সাড়ে চার কেজি ওজন কমাটাকে অস্বাভাবিক বলেই মনে করছেন চিকিত্সক শান্তিরঞ্জন দাশগুপ্ত। তিনি বলেন, ‘‘এক বারে এতটা ওজন কমে যাওয়াটা তো স্বাভাবিক নয়ই। বরং এটা সত্যি হলে অনেক বড় কিছুও ঘটে যেতে পারত। স্যালাইন দিতে হত।’’ যন্ত্রের ত্রুটির কারণেও এতটা ওজন কমে যাওয়া দেখাতে পারে বলে মনে করেন তিনি। শান্তিবাবুর মতে, এক এমনকী দেড় কেজি পর্যন্ত ওজন কমাটা হতে পারে। কিন্তু সাড়ে চার কেজি ওজন রাতারাতি কমে গেলে কারও সুস্থ থাকা খুব মুশকিল।

ঠিক কতটা ওজন কমেছে পিটার হ্যান্ডসকম্বের তা নিয়ে বিভ্রান্তি থাকলেও, এটা ঘটনা যে এক দিকে গরম অন্য দিকে আর্দ্রতা, দুইয়ে মিলে অস্ট্রেলীয়দের অবস্থা এখন ভীষণ কাহিল। বার বার জল পানের বিরতি নিতে হয়। অস্ট্রেলিয়া কোচ ড্যারেন লেম্যান বলেন, ‘‘এখানে খুব গরম। রান করতে রীতিমতো কষ্ট করতে হচ্ছে।’’ ম্যাচের পরে আইস বাথ নিয়ে তবে সুস্থ হচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা। এই পরিস্থিতির সঙ্গে পরিচিত ডিন জোনস তো মজা করে টুইট করেন, ‘‘এ বার স্যালাইনের জন্য লাইন আপ করতে হবে।’’ ১৯৮৬তে চেন্নাইয়ে টেস্ট খেলার সময় ডিন জোন্স ডবল সেঞ্চুরি করে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।

শান্তিরঞ্জন দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘আমাদের শরীর থেকে একটা পরিমাণ জল ঘাম হয়ে বেরিয়ে যায়। সেটা এক্সট্রা সেলুলার থেকে বেরিয়ে যায়। কিন্তু ইনট্রা সেলুলার থেকে যখন শরীরের জল বেরতে শুরু করে তখন সেটা ভয়ঙ্কর হতে পারে। হ্যান্ডসকম্বের তেমন কিছু হয়েছে কি না জানা নেই।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE