স্বপ্নপূরণ: গুয়ার্দিওলাই বদলে দিয়েছেন ম্যাঞ্চেস্টার সিটিকে। ফাইল চিত্র
জাদুকর পেপ গুয়ার্দিওলার প্রত্যাবর্তন!
২০১৬ সালে ম্যানুয়েল পেলেগ্রিনি ম্যাঞ্চেস্টার সিটি ছাড়ার পরে বায়ার্ন মিউনিখকে বিদায় জানিয়ে দায়িত্ব নেন গুয়ার্দিওলা। কিন্তু প্রথম দুটো মরসুম সাফল্য অধরাই ছিল বার্সেলোনাকে দু’বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতানো ম্যানেজারের। এই মরসুমে দুর্দান্ত ভাবে ঘুরে দাঁড়ালেন গুয়ার্দিওলা। পাঁচ ম্যাচ বাকি থাকতেই ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে চ্যাম্পিয়ন করলেন ম্যান সিটিকে। শুধু তাই নয়। এই মরসুমে ইপিএলে এখনও পর্যন্ত মাত্র দু’টো ম্যাচ হেরেছেন সের্জিয়ো আগুয়েরোরা। এ বার তাঁদের সামনে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের নজির ভাঙার হাতছানি।
স্যার আলেক্স ফার্গুসনের কোচিংয়ে ১৯৯৯-২০০০ মরসুমে ডেভিড বেকহ্যামরা ইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন দ্বিতীয় স্থানে থাকা আর্সেনালের চেয়ে ১৮ পয়েন্টে এগিয়ে থেকে। এই মুহূর্তে ৩৩ ম্যাচে ৮৭ পয়েন্ট ম্যান সিটির। সমসংখ্যক ম্যাচ খেলে ৭১ পয়েন্ট নিয়ে দু’নম্বরে জোসে মোরিনহোর দল। অর্থাৎ, ব্যবধান ১৬ পয়েন্টের। দু’দলেরই পাঁচটি করে ম্যাচ বাকি রয়েছে। ফুটবল পণ্ডিতদের মতে, ম্যান ইউনাইটেডের রেকর্ড এ বারই ভেঙে দেবে সিটি। তবে দুরন্ত সাফল্যের মধ্যেও লিভারপুলের বিরুদ্ধে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায়ের যন্ত্রণা কাঁটার মতো বিঁধে থাকবে।
ইপিএলে প্রথম দু’টো মরসুম ব্যর্থ হয়েছেন গুয়ার্দিওলা। কিন্তু এ বার তিনি অপ্রতিরোধ্য। তাঁর দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনের রহস্য কী? ম্যান সিটির প্রাক্তন ডিফেন্ডার ড্যানি মিলসের ব্যাখ্যা, ‘‘ইপিএলে দলগুলোর মধ্যে লড়াই অনেক তীব্র। এখানে কোনও দল ০-২ পিছিয়ে থাকলেও হাল ছাড়ে না। বিশ্বাস করে, শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা তারাই জিতবে। বার্সেলোনা ও বায়ার্ন মিউনিখে কোচিং করানোর সময় এই ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হননি গুয়ার্দিওলা। এই কারণেই শুরুর দিকে ওঁর মানিয়ে নিতে সমস্যা হয়েছিল।’’
ফুটবল বিশেষজ্ঞদের মতে গুয়ার্দিওলার নিখুঁত পরিকল্পনাতেই বদলে গিয়েছে ম্যান সিটি। এক) সব সময়ই বিকল্প রণনীতি তৈরি থাকে স্প্যানিশ ম্যানেজারের। দুই) ম্যান সিটির সমর্থকদের প্রিয় গোলরক্ষক জো হার্টকে সরিয়ে বার্সেলোনা থেকে ক্লদিও ব্র্যাভোকে সই করানোর কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। যদিও ম্যান সিটিতে চেনা ছন্দে পাওয়া যায়নি ব্র্যাভোকে। প্রবল চাপের মধ্যেও হাল ছাড়েননি গুয়ার্দিওলা। তিন) আক্রমণে ঝড় তোলার জন্য উইং প্লেতে জোর দিয়েছিলেন গুয়ার্দিওলা। ম্যান সিটির আক্রমণাত্মক ফুটবল বারবার অস্বস্তিতে ফেলেছে প্রতিপক্ষকে। চার) রাহিম স্টার্লিংকে ছন্দে ফেরানো। ২০১৬ ইউরো কাপে ব্যর্থতার পরে স্টার্লিং যখন মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত, তখন তাঁকে উজ্জীবিত করার জন্য নিয়মিত ‘টেক্সট’ পাঠাতেন গুয়ার্দিওলা। এই মরসুমে স্টার্লিং দুরন্ত ছন্দে। ইপিএলে টটেনহ্যাম হটস্পারের বিরুদ্ধে আগের ম্যাচেও গোল করেছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy