আরশাদ নাদিম। —ফাইল চিত্র।
১৯৯২ সালের পর প্যারিসে পাকিস্তানের হয়ে প্রথম পদক জিতেছেন আরশাদ নাদিম। পাকিস্তানের প্রথম ক্রীড়াবিদ হিসাবে ব্যক্তিগত ইভেন্টে সোনা জিতেছেন। তাঁর এই সাফল্যকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান সরকার। নাদিমকে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান হিলাল-ই-ইমতিয়াজ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন পাক প্রেসিডেন্ট।
১৯৮৪ সালের অলিম্পিক্সে সোনা জিতেছিল পাকিস্তানের হকি দল। তার ৪০ বছর পর অলিম্পিক্সে সোনা জিতেছেন নাদিম। পুরুষদের জ্যাভলিন থ্রোয়ে নতুন অলিম্পিক্স রেকর্ডও গড়েছেন নাদিম। তাঁর এই সাফল্যে স্বভাবতই খুশি পাকিস্তানের মানুষ। অলিম্পিক্সের প্রস্তুতির জন্য সে দেশের সরকারের কাছ থেকে তেমন সাহায্য পাননি নাদিম। তবে অলিম্পিক্স সাফল্যের পর আর তাঁর দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকতে পারল না পাক সরকার। তাঁকে দেশের দ্বিতীয় অসামরিক সম্মানে ভূষিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির দফতর থেকে নাদিমকে এই সম্মান দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে পাকিস্তানের একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। জারদারি একটি চিঠি দিয়েছেন ক্যাবিনেট ডিভিশনকে। নাদিমকে সম্মানিত করার বিষয়টি আসন্ন স্বাধীনতা দিবসের (১৪ অগস্ট) আগে সরকারি ভাবে ঘোষণা করার নির্দেশ দিয়েছেন। চিঠিতে জারদারি লিখেছেন, ‘‘আরশাদ নাদিমের অসাধারণ পারফরম্যান্স বিশ্ব মঞ্চে দেশকে গর্বিত করেছে। অ্যাথলেটিক্সে তাঁর অসামান্য সাফল্য দেশের জন্য গর্বের।’’ জানা গিয়েছে, একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে নাদিমকে সম্মানিত করবেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট।
অলিম্পিক্স সাফল্যের পর নাদিমের জন্য নানা পুরস্কারের ঘোষণা হয়েছে পাকিস্তানে। পঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মরিয়ম নওয়াজ ১০ কোটি টাকা দেওয়ার কথা বলেছেন। পাকিস্তান পিপল্স পার্টির নিয়ন্ত্রণাধীন সিন্ধ প্রদেশের সরকার ৫ কোটি টাকা পুরস্কারের কথা বলেছে। সুক্কুর শহরের মেয়র সোনার মুকুট দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy