জয়ের পর মুশফিকুর রহিম। ছবি এএফপি।
শেষের আগের ওভারে নুয়ান প্রদীপকে মিড উইকেটের ওপর দিয়ে ছয় আর শেষ ওভারে থিসারা পেরেরাকে একস্ট্রা কভার দিয়ে চার। মুশফিকুর রহিমের এই দুই শটেই অসাধারণ জয় পেল বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার ঘরের মাঠে তাদের তোলা ২১৪ রান তাড়া করে ত্রিদেশীয় সিরিজে তাদের দ্বিতীয় ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নিলেন মুশফিকুররা।
তিনি একাই ৩৫ বলে ৭২ রান করলেন দুশোর ওপর স্ট্রাইক রেট নিয়ে। মুশফিকুরের এই বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে হতভম্ব শ্রীলঙ্কা শেষ ওভারে পৌঁছনোর আগেই তাঁদের প্রধান দুই বোলার দুষ্মন্ত চামিরা ও নুয়ান প্রদীপের চার ওভারের কোটা শেষ হয়ে যায়। যার ফলে শেষ ওভারে থিসারা পেরেরার হাতে বল তুলে দেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দীনেশ চান্দিমাল। যে থিসারা ওভার প্রতি নয়ের বেশি রান দিয়েছেন, তিনি মুশফিকুরকে রুখতে পারেননি। দ্বিতীয় বলে তাঁর হাঁকানো বাউন্ডারিতেই জয়ের একেবারে কাছাকাছি চলে আসে বাংলাদেশ।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য ন’রান দরকার ছিল তাঁদের। সৌজন্যে মুশফিকুরের চার নম্বর ছক্কা। বাংলাদেশ এত বড় রান তাড়া করে কখনও টি টোয়েন্টি ম্যাচ জেতেনি। এ দিন কুশল পেরেরার ৪৮ বলে ৭৪ রনের ইনিংসের উপর ভর করে শ্রীলঙ্কা ২১৪ রান তোলার পরে বাংলাদেশের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল (৪৭) ও লিটন দাস (৪৩) ৩৫ বলে ৭৪ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। এর পরে মুশফিকুরই দায়িত্ব নিয়ে দলকে জয়ের দিকে টেনে নিয়ে যান। দুই বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
ম্যাচের সেরার পুরস্কারও অবধারিত ভাবে পান তিনি। দলকে এমন অসাধারণ জয় এনে দেওয়ার পরে তাঁর বক্তব্য, ‘‘এই জয়টা আমাদের খুবই দরকার ছিল। এর চেয়ে ভাল জয় আর কী হতে পারে? আমরা অনেক রানও দিয়ে ফেলেছি ওদের। ১৯০ রান এখানে তাড়া করে জেতা যায়। লিটন ও তামিম দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছে।’’ ৩৫ দিন আগেই বাবা হওয়া মুশফিকুর এই ইনিংস উৎসর্গ করেন তাঁর ছেলেকে। ব্যাট করার সময় পায়ের পেশীতে টানও ধরে তাঁর। তবে এই নিয়ে দুশ্চিন্তায় নেই তিনি।
(এই প্রতিবেদনটি প্রথম প্রকাশের সময় মুশফিকুর রহিমকে বাংলাদেশের অধিনায়ক হিসেবে বলা হয়েছিল, যা ঠিক নয়। এই অনিচ্ছাকৃত ত্রুটির জন্য আমরা দুঃখিত।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy