২০১২ সালে আক্রান্ত হন মুরলী কার্তিক ও তাঁর স্ত্রী। ফাইল চিত্র
‘মাঁকড়ীয় আউট’ করার বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন ভারতের প্রাক্তন বাঁহাতি স্পিনার মুরলী কার্তিক। ২০১২ সালে সারে বনাম সমারসেটের বিরুদ্ধে কাউন্টি ম্যাচে অ্যালেক্স ব্যারোকে ‘মাঁকড়ীয় আউট’ করে নিজের বিপদ ডেকে এনেছিলেন এই বোলার। তাঁর স্ত্রী পর্যন্ত আক্রান্ত হন। কার্তিককে মারতে সারে দলের সাজঘর পর্যন্ত ছুটে এসেছিল সমারসেটের সমর্থকরা।
রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ইউটিউব চ্যানেলে আলোচনা করতে গিয়ে সে বারের ইংল্যান্ড সফরের স্মৃতি নিয়ে আলোচনা করেন কার্তিক। ২০১৯ সালে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের হয়ে খেলার সময় রাজস্থান রয়্যালসের জশ বাটলারকে ‘মাঁকড়ীয় আউট’ করেছিলেন অশ্বিন। তাই দুই স্পিনারের এই আলোচনা অন্য মাত্রা পেয়েছে।
কী ঘটেছিল সেই ম্যাচে? কার্তিক বলছেন, “সেই ঘটনার আগে আমি পাঁচ বার ওই ভাবে আউট করেছি। কিন্তু সে বার আমাকে সবাই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিল। বিতর্ক বড় আকার ধারণ করে। কারণ ম্যাচটা ছিল আমার পুরনো দল সমারসেটের বিরুদ্ধে। যতদূর মনে পড়ে ব্যারোকে তিন বার সতর্ক করেছিলাম। কিন্তু ও আমার কথা শোনেনি। তাই বাধ্য হয়ে আমি ওকে ‘মাঁকড়ীয় আউট’ করেছিলাম। আমার ক্ষমতা থাকলে পপিং ক্রিজ ছাড়লে ১১জন ব্যাটসম্যানকেই ‘মাঁকড়ীয় আউট’ করব। কারণ এটা ক্রিকেটের নিয়মের বাইরে নয়।”
সেই ঘটনার পর স্টেডিয়ামের পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। কার্তিকের স্ত্রী গ্যালারিতে বসে খেলা দেখলেও তাঁকে সেখান থেকে পালিয়ে সারে দলের সাজঘরে চলে আসতে হয়। কার্তিক যোগ করেন, “ব্যারো আউট হওয়ার পর গ্যালারির পরিবেশ গরম হয়ে যায়। সবাই আমার স্ত্রীকে ভয় দেখাতে শুরু করে। ও বাধ্য হয়ে সাজঘরে এসে আশ্রয় নিয়েছিল। তবে সমারসেটের সমর্থকদের আটকানো যাচ্ছিল না। ওরা আমাকেও মারতে চেয়েছিল। আসলে সারে যাওয়ার আগে সমারসেটে তিন বছর খেলেছিলাম। সেই ক্লাব থেকে সারে যাওয়াকে সমারসেটের কর্তারা ভাল ভাবে নেয়নি। তাই হয়তো আমি ও আমার স্ত্রী সমর্থকদের রোষের মুখে পড়েছিল।”
এমনকি জশ বাটলারকে ‘মাঁকড়ীয় আউট’ করার বিষয়েও অশ্বিনকে সমর্থন করেছেন কার্তিক। তিনি বলেন, “অনেকে এই ঘটনার জন্য বোলারকে দোষ দিলেও আসল দোষী কিন্তু ব্যাটসম্যান। কারণ সে ক্রিকেটের নিয়ম ভাঙছে। তাই অশ্বিনকে সমর্থন করি। কাউন্টি ম্যাচের সেই ঘটনার পর নাসের হুসেন, মাইকেল হোল্ডিং, ডেভিড লয়েডের মতো প্রাক্তন ক্রিকেটাররা আমার পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy