Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪

নিয়মের ধাক্কায় ঘুম ছুটেছে সনিদের

মিডিয়া বক্সে উঠে নড়বড়ে প্লাইউডের টেবিল ভেঙে দিচ্ছেন। ফিতে দিয়ে মেপে মাঠের সাইড লাইন পাঁচ সেন্টিমিটার বাড়াতে বাধ্য করেছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৩:২৪
Share: Save:

মিডিয়া বক্সে উঠে নড়বড়ে প্লাইউডের টেবিল ভেঙে দিচ্ছেন।

ফিতে দিয়ে মেপে মাঠের সাইড লাইন পাঁচ সেন্টিমিটার বাড়াতে বাধ্য করেছেন।

বাকেট চেয়ারের বাইরে স্টেডিয়ামের বাকি গ্যালারিতে দর্শক বসতে দিতে নারাজ তিনি। পুলিশের আপত্তিও কানে তুলছেন না।

সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত মাঠে দাঁড়িয়ে থেকে আলো পরীক্ষা করেছেন। বদলেছেন মেডিক্যাল রুম।

কত দর্শক হতে পারে সেটা ম্যানেজার্স মিটিংয়ে জানতে না পেরে প্রবল উষ্মা প্রকাশ করেছেন।

আরও পড়ুন:

ইব্রাহিমোভিচ থাকবেন, আশাবাদী মোরিনহো

মলদ্বীপের ক্লাব ভ্যালেন্সিয়া কাঁপুনি ধরাতে পারেনি সনি নর্দেদের। কিন্তু এএফসি-র ম্যাচ সংগঠন করতে চিন থেকে আসা ম্যাচ কমিশনার জিং সং লিউয়ের নিয়ম মানার গুঁতোয় ঘুম ছুটেছে মোহনবাগান কর্তাদের। এতটাই যে, তাঁর পিছনে সারাক্ষণ ছুটে বেড়াতে হয়েছে স্টেডিয়াম ম্যানেজার সোমনাথ পাল-সহ জনা দশেক ক্লাব কর্মীকে। দু’দিন সকাল সাতটা থেকে রাত সাতটা পর্যন্ত ম্যাচ কমিশনার জিং-এর সঙ্গে কাটিয়ে সোমনাথের মন্তব্য, ‘‘এত ম্যাচ কমিশনারের সঙ্গে এত বছর কাজ করেছি এমন দৌড় কেউ করায়নি। পাগল হয়ে যাওয়ার জোগাড়। সামাল দিতে পারছি না।’’ ক্লাবের অন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীদের বক্তব্য, এসব কী হচ্ছে? আর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে প্রবল অনীহা নিয়েও আজ মঙ্গলবারের মোহনবাগান-ভ্যালেন্সিয়া ম্যাচের ম্যাচ কমিশনারের মন্তব্য, ‘‘যা করছি ফিফার নিয়ম মেনে করছি।’’

কিন্তু হঠাৎ এএফসি-র এই তৎপরতা কেন? জরিমানার ভয়ে মোহনবাগানের সব কর্তারই মুখে কুলুপ। তবে জানা গিয়েছে, এর আগের কলম্বো এফসি-র ম্যাচে জাপানের যে ম্যাচ কমিশনার এসেছিলেন তিনি না কি নানা অনিয়ম দেখে এএফসি-র কাছে অভিযোগ জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন। সাধারণত এএফসি-র ম্যাচ কোনওক্রমে সংগঠন ও শেষ করতে পারলেই বেঁচে যান এখানকার ক্লাব কর্তারা।

অন্য বিষয়গুলি:

Mohun Bagan AFC Match Commissioner Rules
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE