পানি-পানি: পুল সেশনে ডাবের জলে চুমুক সনি-জেজেদের। নিজস্ব চিত্র
লাজং-আতঙ্কে কাঁপছে মোহনবাগান!
ডিএসকে শিবাজিয়ান্স এফসি-কে চার গোলে বিধ্বস্ত করে ফেডারেশন কাপে অভিযান শুরু করেছেন সনি নর্দে-রা। অথচ রাত পোহাতেই বদলে গিয়েছে আবহ। মোহনবাগান কোচ সঞ্জয় সেন বললেন, ‘‘গত কয়েক বছর ধরেই লাজং এফসি-র কাছে বারবারই আমরা আটকে গিয়েছি। তিন বছর আগে যখন আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম আমরা, তখন লাজং এফসি-র বিরুদ্ধে খুব কষ্ট করে জয় পেয়েছিলাম। এ বছর আই লিগেও শিলংয়ে ওদের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে ড্র করার পরেই খেতাবের দৌড় থেকে ছিটকে গিয়েছি আমরা।’’ সঙ্গে তিনি যোগ করলেন, ‘‘ফেডারেশন কাপের প্রথম ম্যাচে হেরে যাওয়ায় আমাদের বিরুদ্ধে জেতার জন্য মরিয়া হয়ে ঝাঁপাবে ওরা।’’
মোহনবাগান শিবিরের আশঙ্কা যে অমূলক নয়, তা লাজং এফসি ফুটবলারদের শরীরীভাষা থেকেই স্পষ্ট। কোচ থাংবোই সিংথো বলছিলেন, ‘‘প্রথম ম্যাচে বেঙ্গালুরু এফসি-র বিরুদ্ধে দুর্দান্ত খেলেও আমাদের হারতে হয়েছে। এই অবস্থায় ফেডারেশন কাপের শেষ চারে যদি উঠতে হয়, মোহনবাগানের বিরুদ্ধে জিততেই হবে আমাদের।’’
আরও পড়ুন: দিদি আপকা রেকর্ড হুয়া, বলল সতীর্থ
কিন্তু লাজং এফসি-র বিরুদ্ধে বারবার ব্যর্থ হওয়ার কারণ কী? সবুজ-মেরুন কোচ যে ব্যাখ্যা দিলেন, তা চমকে ওঠার মতো। সঞ্জয় বললেন, ‘‘লাজং এফসি-র বিরুদ্ধে বারবার কেন আটকে যাচ্ছি, আমার কাছেও পরিষ্কার নয়।’’
লাজং আতঙ্কে একা কোচ শুধু আক্রান্ত নন। ফুটবলারদের মধ্যেও সংক্রামিত হয়েছে। ড্যারেল ডাফি থেকে কাতসুমি ইউসা— প্রত্যেকেই নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছেন। বলছেন, ‘‘প্রচণ্ড গতিতে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলে লাজং। এটাই লাজংয়ের স্ট্র্যাটেজি। এ ছাড়া লাজংয়ের স্ট্রাইকার পিয়ের দিপান্দা দুর্ধর্ষ ফর্মে রয়েছে। ওকে স্বাভাবিক খেলা খেলতে দিলেই বিপদ।’’
মোহনবাগান কোচ উদ্বিগ্ন ফুটবলারদের আত্মতুষ্টি নিয়েও। আই লিগের ডার্বিতে দুরন্ত জয়ের পরে লাজং এফসি-র বিরুদ্ধে ড্র করেছিলেন সনি-রা। সবুজ-মেরুন কোচ তাই তো বললেন, ‘‘সহজ জয়ের পরেই আমাদের হোঁচট খাওয়ার প্রবণতা রয়েছে। তাই এ বার আর আমি কোনও ঝুঁকি নিতে চাই না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy