সফল: চাংতে ও প্রিয়ান্তকে নিয়ে কোচ দীপেন্দু। গ্যাংটকে। নিজস্ব চিত্র
মহমেডান স্পোর্টিংয়ের হাত ধরে মরসুমে প্রথম সর্বভারতীয় ট্রফি এল বাংলায় এবং সেটা পাহাড় থেকে। মঙ্গলবার সিকিম গভর্নর্স গোল্ড কাপের ফাইনালে দীপেন্দু বিশ্বাসের দল ২-১ গোলে হারিয়ে দেয় স্থানীয় ক্লাব সিকিম হিমালয়ানকে। মহমেডানের হয়ে জোড়া গোল করেন ভানলালবিয়া চাংতে। একটা সময় ফল ছিল ১-১। সিকিমের হয়ে বিরতির দশ মিনিট পর সমতা ফেরান উত্তম রাই। দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর দীপেন্দু বিশ্বাস বললেন, ‘‘সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী মাঠে ছিলেন। তিনি ঘোষণা করেন স্থানীয় দল জিতলে দশ লাখ টাকা দেবেন। সে জন্য ওরা মরিয়া ছিল। কিন্তু আমাদের ছেলেরা সেই চাপ থেকে বার করে এনেছে দলকে।’’
কলকাতার দুই প্রধান এখনও ট্রফি জেতেনি। মোহনবাগান বাংলাদেশে ব্যর্থ হয়েছে। এই অবস্থায় হীরা মণ্ডল, প্রসেনজিৎ পালদের নিয়ে পাহাড়ের ট্রফি জিততে গিয়েছিল মহমেডান। কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে খেলা শুরু করে কলকাতার ক্লাব। পরপর তিন ম্যাচ জিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরে দুশোর উপর গোল করা বিধায়ক-ফুটবলার দীপেন্দুর গলায় উচ্ছ্বাস। ‘‘বঙ্গসন্তান ফুটবলারদের জয় এটা। দলে সাত জন বাংলার ছেলে খেলেছে। এটাই আমার কাছে বড় পাওনা।’’
খেলা শুরুর চার মিনিটের মধ্যেই সেনেগালের নতুন বিদেশি কামারার পাস থেকে মহমেডানকে এগিয়ে দেন চাংতে। মিজোরামের অ্যাটাকিং মিডিয়োর জয়ের গোলটি তীর্থঙ্কর সরকারের ফ্রি-কিক থেকে বল পেয়ে। আই লিগের দ্বিতীয় ডিভিশনে খেলার জন্য দল গোছাতে সিকিমের মাঠকেই বেছে নিয়েছিলেন দীপেন্দু। নতুন তিন বিদেশিকে নিয়ে গিয়েছিল সাদা-কালো শিবির। সেনেগালের দুই ফুটবলার স্টপার সালু এবং কামারা নজর কেড়েছেন। কলকাতা লিগ হাতছাড়া হওয়ার পরে এই ট্রফি জিততে মরিয়া ছিলেন তীর্থঙ্কররা। ২০১৬-র পরে ফের সিকিমের এই প্রতিযোগিতা জিতল মহমেডান। প্রতিযোগিতার সেরা ফুটবলার হন চাংতে। সেরা গোলকিপার প্রিয়ান্ত সিংহ। মহমেডানের এর পরে অসমের বরদলৈ ট্রফিতে খেলতে যাওয়ার কথা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy