ফাইল চিত্র।
চলতি মাসে শ্রীলঙ্কায় পা দিয়েই করোনা ধরা পড়েছিল তাঁর। যার ফলে পুরো সিরিজে আর মাঠে নামতে পারেননি ইংল্যান্ড অলরাউন্ডার মইন আলি। সেই দুঃসহ অভিজ্ঞতা থেকে মইন মনে করেন, সবাইকেই করোনার প্রতিষেধক নেওয়া উচিত।
রবিবার সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, ‘‘আমি যখনই করোনার প্রতিষেধক হাতে পাব, তখনই সেটা নিয়ে নেব। আমি সবাইকে এও বলব, সুযোগ পেলে আপনারাও প্রতিষেধক নিয়ে নিন।’’ করোনার প্রতিষেধক নেওয়ার ব্যাপারে অবশ্য অনেকেরই ভিন্ন মত আছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন প্রতিষেধক দেওয়া নিয়ে। কিন্তু মইন এই ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তিনি বলেই দিচ্ছেন, ‘‘আমি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলেছি। তার পরে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, প্রতিষেধক নেব। আমার পরিবারও প্রতিষেধক নেবে। বাকিদেরও একই কথা বলব।’’
করোনা প্রতিষেধক নিয়ে যে বিতর্ক উঠেছে, সে সম্পর্কে ওয়াকিবহাল মইন। ইংল্যান্ডের এই ক্রিকেটার পরিষ্কার বলেছেন, ‘‘আমি জানি, এই সব প্রতিষেধক নিয়ে অনেক চক্রান্তের কথা উঠেছে। কিন্তু এটা অন্যান্য প্রতিষেধকের মতোই। আমাদের সমাজে অনেকেই দ্বিধায় আছেন প্রতিষেধক নেওয়ার ব্যাপারে। প্রশ্ন থাকছে, এই প্রতিষেধক নিলে ক্ষতি হবে না তো? কিন্তু পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে তুলতে গেলে প্রতিষেধক নিতেই হবে।’’
করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরে এই প্রথম সাংবাদিকদের সামনে মুখ খুললেন মইন। নিজের অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করে নিলেন। তিনি বলেন, ‘‘শ্রীলঙ্কা আসার পথে বিমানে ঘুম হয়নি। তার পরে খুব ক্লান্ত লাগছিল। সন্ধ্যায় অসহ্য মাথার যন্ত্রণা শুরু হয়। এর পরে পরীক্ষার ফল পজ়িটিভ আসে। তাতে অবশ্য আমি অবাক হইনি। আমার মনে হচ্ছিল,
আক্রান্ত হয়েছি।’’
মইন আরও বলেন, ‘‘এক দিনের জন্য আমার স্বাদ বোঝার ক্ষমতা চলে গিয়েছিল। দিন তিনেক মারাত্মক মাথা যন্ত্রণা ছিল। প্রচণ্ড ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। এ রকম ক্লান্ত কখনও হইনি। দিন তিনেক খুবই ভুগেছি। তার পরে ঠিক হতে থাকি।’’ যোগ করেন, ‘‘কাশি এবং জ্বরটা যেন না আসে, এটা মনে মনে চাইছিলাম। ভাগ্য ভাল, সে সব হয়নি। অসুস্থ থাকার সময় মনের মধ্যে একটা আশঙ্কা তৈরি হয়ে যায় যে, খারাপ কিছু হতে পারে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy