নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টের পঞ্চম দিনের ম্যাচেই আগেই ক্রিকেটের সব ধরনের ফরম্যাট থেকে অবসর ঘোষণা করলেন তারকা অজি পেসার মিচেল জনসন। মঙ্গলবার ওয়াকাতে ৭৩তম টেস্টটিই তাঁর জীবনের শেষ ম্যাচ হতে চলেছে।
মিচেল জানান, ‘দেশের হয়ে খেলতে পারা সত্যিই ভাগ্যের কথা। প্রতিটি মুহূর্ত আমি উপভোগ করেছি। কেরিয়ারে ওঠা নামা থাকবেই। তবুও বলব আমি সব সময় আমার সেরাটা দিয়েছি। দেশের হয়ে ২০১৩-১৪ সালে ৫-০ অ্যাশেজ এবং পঞ্চম বার বিশ্বকাপ জেতা চিরস্মরণীয় মুহূর্ত। ব্রিসবেনে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে ৪টি উইকেট নেওয়ার পরই মাথার মধ্যে অবসরের চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছিল। অনেক ভেবে দেখলাম ব্যাগি গ্রিন টুপিটাকে বিদায় জানাবার এটাই সেরা সময়।’
জনসনের অবসরকে স্বাগত জানিয়ে প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক মার্ক টেলর বলেন, ‘এক জন প্রকৃত ফাস্ট বোলারের অস্ত্র তাঁর পেস, বাউন্স এবং প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানের উদ্দেশে তর্জন-গর্জন করার মানসিকতা। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে যখন এই সব রিফ্লেক্সগুলো কমতে থাকে। তখনই থামার সেরা সময়।’
কুইন্সল্যান্ডে জন্ম এবং বেড়ে ওঠা জনসনের। পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলা শুরু করেন বছর চৌত্রিশের মিচেল জনসন। ২০০৭ সালে টেস্টে ডেব্যু হয় জনসনের। দেশের হয়ে টেস্টে ২৮.৫২ গড়ের বিনিময় ৩১১টি উইকেট নিয়েছেন জনসন। টেস্টে সেরা উইকেটশিকারীদের তালিকায় অজিদের মধ্যে শেন ওয়ার্ন, গ্লেন ম্যাকগ্রা এবং ডেনিস লিলির পর চার নম্বরে আছেন তিনি। ১৫৩টি একদিনের ম্যাচে মিচেলের উইকেট সংখ্যা ২৩৯। গড় ২৫.৩৬। ৩০টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচও খেলেছেন মিচেল। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ৩৮ উইকেট নিয়েছেন তিনি। শুধু বল নয় ব্যাট হাতেও যথেষ্ট সফল মিচেল জনসন। ২২.১৩ গড়ের বিনিময় তাঁর রান দু’হাজারের উপর। সর্বোচ্চ রান ১২৩। ২০০৯ সালে কেপটাউনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে অপরাজিত থেকে ওই বিধ্বংসী ইনিংসটি খেলেন তিনি। ২০০৯ এবং ২০১৪ দু’বছর আইসিসি প্লেয়ার অফ দ্য ইয়ার নির্বাচিত হন জনসন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy