তিরুপতি মন্দিরে পুজো চন্দ্রবাবু নায়ডুর। ছবি: সংগৃহীত।
লাড্ডু বিতর্কের মধ্যেই তিরুপতি মন্দিরে পুজো দিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু। শনিবার সকালে মন্দিরের বাৎসরিক ‘ব্রহ্মোৎসবের’ সূচনায় যোগ দেন তিনি। স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ‘পট্টি বস্ত্র’ বা সিল্কের কাপড় দিয়ে পুজো দেন।
পুজো সম্পন্ন হওয়ার পর মন্দিরের প্রধান পুরোহিত ‘পবিত্র কাপড়’ চন্দ্রবাবুর মাথায় বেঁধে দেন। তিরুপতি মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফেও চন্দ্রবাবুকে ‘পবিত্র কাপড়’ দিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হয়। প্রসঙ্গত, চন্দ্রবাবু এমন একটি সময়ে তিরুমালার তিরুপতি মন্দিরে এলেন, যে সময়ে সেখানকার প্রসাদী লাড্ডু নিয়ে সরগরম জাতীয় রাজনীতি।
চন্দ্রবাবু সম্প্রতি অভিযোগ করেছিলেন, জগন্মোহন রেড্ডির সরকারের আমলে তিরুমালার প্রসাদী লাড্ডু বানানোর সময় ব্যবহৃত ঘিয়ের সঙ্গে পশুর চর্বি মেশানো হত! গুজরাতের এক সরকারি ল্যাবরেটরির জুলাইয়ের একটি রিপোর্ট উদ্ধৃত করে চন্দ্রবাবু দাবি করেন, তিরুপতি বেঙ্কটেশ্বর মন্দিরের প্রসাদী লাড্ডুতে ‘বিশুদ্ধ’ ঘিয়ের সঙ্গে মেশানো হচ্ছে পশুর চর্বি। সেই থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত। ওয়াইএসআর কংগ্রেস অবশ্য ওই অভিযোগ অস্বীকার করে এবং চন্দ্রবাবুর মন্তব্যকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে মন্তব্য করে।
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট জানায়, তিরুপতি মন্দিরের প্রসাদী লাড্ডুতে পশুর চর্বি মেশানোর অভিযোগের তদন্ত তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের ডিরেক্টর। শীর্ষ আদালত যে ‘স্বাধীন’ বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করেছে, তাতে সিবিআইয়ের পাশাপাশি অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশ এবং ভারতের ‘খাদ্য নিরাপত্তা এবং মান বিষয়ক কর্তৃপক্ষ’ (এফএসএসএআই)-এর আধিকারিকেরাও রয়েছেন।
এর আগে তিরুপতি মন্দিরের প্রসাদী লাড্ডুতে পশুর চর্বি মেশানোর অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছিল অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)। বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনকে নিয়ে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চের শুক্রবারের নির্দেশের ফলে অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুর পদক্ষেপ গুরুত্বহীন হয়ে পড়ল। প্রসঙ্গত, সোমবার এই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট চন্দ্রবাবু এবং অন্ধ্র সরকারকে কার্যত ভর্ৎসনা করে বলেছিল, ‘‘ঈশ্বরকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখুন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy