ভারত-নিউ জ়িল্যান্ডের ম্যাচে রান আউট না দেওয়ার সেই মুহূর্ত। ছবি: আইসিসি।
মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচেই হারতে হয়েছে ভারতকে। সেই ম্যাচে একটি রান আউট না দেওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। হরমনপ্রীত কউরেরা মনে করছেন ন্যায্য আউট দেওয়া হয়নি তাঁদের।
কী হয়েছিল?
১৪তম ওভারের শেষ বলে তৈরি হয় নাটক। দীপ্তি শর্মার বল লং-অফের দিকে ঠেলে এক রান নিয়েছিলেন নিউ জ়িল্যান্ডের অ্যামেলিয়া কের। ভারত অধিনায়ক হরমনপ্রীত বল ধরে ফেলেন। তার পরে দ্বিতীয় রান নিতে দৌড়ন কের। হরমনপ্রীত সঙ্গে সঙ্গে উইকেটরক্ষক রিচা ঘোষের দিকে বল ছুড়ে দেন। রিচা রান আউট করেন কেরকে। কিউয়ি ব্যাটার নিজেকে আউট মনে করে সাজঘরে ফিরে যাচ্ছিলেন। কিন্তু আম্পায়ারেরা ডেকে নেন তাঁকে। আউট দেননি আম্পায়ারেরা। হরমনপ্রীত প্রতিবাদ করলেও ভারত অধিনায়ককে জানানো হয়, তিনি বল ধরার সঙ্গে সঙ্গে সেটি ‘ডেড’ হয়ে গিয়েছে। ফলে কেরের রান আউট বৈধ নয়। হরমনপ্রীত একেবারেই খুশি হতে পারেননি এই সিদ্ধান্তে।
আইসিসির নিয়ম
আইসিসির নিয়ম কী বলছে? কখন বলকে ‘ডেড’ বলা যায়? নিয়ম অনুযায়ী, যদি উইকেটরক্ষক বা বোলারের হাতে বল ফিরে আসে এবং রান আউট বা অন্য ঘটনার সম্ভাবনা না থাকে (ফাইনালি সেটল়্ড), বাউন্ডারি হয়, কোনও ব্যাটার আউট হয়ে যায় তা হলে বলটিকে ডেড বল বলা হবে। সেই সঙ্গে এটাও বলা রয়েছে যে, যদি বোলারের দিকের আম্পায়ার মনে করেন ফিল্ডিং দল এবং ক্রিজ়ের ভিতরে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যাটারেরা আর কোনও রকম রান আটকানোর বা নেওয়ার চেষ্টা করছেন না তা হলে বলটিকে ডেড বলা হবে। অথবা আম্পায়ার ওভার শেষ করার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলে তখনও ডেড বল হিসাবে ধরা হবে।
বিতর্ক কোথায়?
কের যখন দ্বিতীয় রান নেওয়ার জন্য দৌড় শুরু করেন, বল তখন হরমনপ্রীতের হাতে। কেরকে দৌড়তে দেখে উইকেটরক্ষকের দিকে বল ছুড়ে দেন ভারত অধিনায়ক। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী বল উইকেটরক্ষক বা বোলারের হাতে না যাওয়া পর্যন্ত ডেড বলা যায় না। সে ক্ষেত্রে হরমনপ্রীতদের দাবি ন্যায্য। কিন্তু অন্য নিয়মে আম্পায়ার ওভার শেষের সিদ্ধান্ত দিলে বল ডেড। বোলার দীপ্তিকে ওই সময় দেখা যায় আম্পায়ারের হাত থেকে টুপি চেয়ে নিতে। ওভার শেষ হলেই টুপি ফেরত নিতে দেখা যায় বোলারদের। এই ক্ষেত্রেও তেমনই হয়েছিল বলে মত অনেকের। সেই কারণেই আম্পায়ার ডেড বলের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
খুশি নয় ভারত
ভারতীয় দলের ব্যাটার জেমাইমা রদ্রিগেজ বলেন, “আম্পায়ার কখন দীপ্তিকে টুপি ফেরত দেয় সেটা আমি দেখিনি। কিন্তু নিউ জ়িল্যান্ডের ব্যাটারেরা নিশ্চিত ছিল দ্বিতীয় রান নেওয়ার ব্যাপারে। কের বুঝিয়ে দিয়েছিল যে ওভার শেষ হয়নি। আমরা সকলেই ভেবেছিলাম যে রান আউট হয়েছে। তবে আমরা আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাই। সব কিছু তো আর আমাদের হাতে নেই। তবে কের যখন নিজে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছিল, তখন আউট না দেওয়াটা খুবই কঠিন সিদ্ধান্ত।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy