আই লিগ জিতে ভারতসেরা হওয়া মোহনবাগানের প্রথম ম্যাচ। অসীম আগ্রহ সদস্য-সমর্থকদের। অথচ তাঁরা চাইলেও স্টেডিয়ামে ঢুকতে পারবেন না। কারণ কার্যত দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে হতে চলেছে কলকাতা লিগের প্রথম মিনি ডার্বি। যেখানে আবার কাতসুমিদের বিরুদ্ধে খেলবে মহমেডান।
বারাসত স্টেডিয়ামে দর্শক আসন তেরো হাজার। অথচ নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে হাজার চারেকের বেশি দর্শককে মাঠে ঢুকতে দিতে নারাজ পুলিশ। মোহনবাগান নিয়ে তাদের সমর্থকদের আগ্রহের মতোই নিজেদের টিম নিয়ে আগ্রহী মহমেডান সমর্থকরাও। তা ছাড়া বারাসতে খেলা হলেও সাদা-কালোর ভিড় উপচে পড়ে। মাঠে দর্শক কমে যাওয়ায় আইএফএ-র প্রচুর টাকা ক্ষতি হবে। মেটানো যাবে না ফুটবলপ্রেমীদের প্রত্যাশাও। মোহনবাগানের সদস্যসংখ্যা খাতায়-কলমে ন’ হাজারের কিছু বেশি। তাদের কত টিকিট দেওয়া হবে? আইএফএ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় জানান, ‘‘সেটা সংবাদমাধ্যমকে বলব কেন?’’ আসলে তিনি বলার মতো অবস্থাতেই নেই। যে সংখ্যাই বলবেন তা নিয়েই ঝামেলা হবে। উৎপলবাবুর অবস্থা কিল খেয়ে কিল হজমের মতো। বুঝতে পারছেন নিরাপত্তার বাড়াবাড়ি করে পুলিশ আসলে বাংলার ফুটবলটাকেই শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু মুখে কিছু বলতে পারছেন না। কারণ, স্টেডিয়াম এবং পুলিশ কোনওটার উপরই তাঁর কথা বলার পরিস্থিতি নেই। বললেই সমস্যা তৈরি হবে। নানা বাহানায় পুলিশ ঝামেলা করবে। জট তৈরি হবে লিগে। এ দিকে তাঁদের সব সদস্যের খেলা দেখার ব্যবস্থা না করলে ওই ম্যাচের কোনও টিকিটই নেবে না, হুমকি দিয়ে রাখল মোহনবাগান। ক্ষুব্ধ অর্থ-সচিব দেবাশিস দত্ত বললেন, ‘‘আমরা এখনও জানি না কত টিকিট দেওয়া হবে! আমাদের সদস্যসংখ্যাই ন’ হাজার। টিকিট নিলে তা ক’জনকে দিতে পারব? আমরা কোনও টিকিটই তাই নেব না। তার চেয়ে মাঠ ফাঁকা রেখে খেলা হোক।’’ আর মহমেডান সহ-সচিব রাজু আহমেদ রাত পর্যন্ত জানেনই না, আইএফএ কত টিকিট দেবে। বললেন, ‘‘দেখি ওদের সঙ্গে কথা বলে। আমাদেরও তো অনেক সমর্থক।’’ কলকাতা লিগকে এমনিতে প্রচণ্ড গুরুত্ব দিচ্ছেন মোহনবাগান কর্তারা। এ দিন সকালে সহ-সচিব সৃঞ্জয় বসু এবং অর্থ-সচিব দেবাশিস দত্ত ফুটবলারদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন। ক্লাবের স্পনসর নিয়ে ঝামেলা থাকা সত্ত্বেও তাঁরা ফুটবলারদের প্রতিশ্রুতি দেন আজ শুক্রবার ফুটবলাররা মাইনে পেয়ে যাবেন। ডুডু ওমাগবেমী এসে যাওয়ায় বাগান তাঁবুতে খুশির হাওয়া। কোচ সঞ্জয় সেন বলে দিলেন, ‘‘ডুডু ময়দানটা চেনে। গোলটাও চেনে। আমি যে ফর্মেশনে খেলাতে চাইছি তাতে ওকে মানিয়ে নিতে পারলে আমরা লাভবান হব।’’
এ দিন কাতসুমি, গুস্তাভোরা গিয়েছিলেন টুর্নামেন্টের প্রোমোর শ্যুটিং করতে। সারা দিন ফুটবলাররা ব্যস্ত ছিলেন বলে আজ অনুশীলনে ছুটি দিয়েছেন বাগান কোচ। বললেন, ‘‘শুরুর ম্যাচটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তা সত্ত্বেও গুস্তাভোকে না খেলানোর কথাই ভাবছি। শুধু কাতসুমি হয়তো একা বিদেশি হিসেবে খেলবে।’’ এ দিন আবার ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, মহমেডান মাঠ পরিদর্শনে এসেছিলেন পুলিশ ও পিডব্লুডি-র কর্তারা। ইস্টবেঙ্গল এবং মহমেডানকে নিয়ে সবুজ সঙ্কেত পাওয়া গেলেও মোহনবাগান মাঠ নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তা রয়েছে। সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় বললেন, ‘‘মোহনবাগান জানিয়েছে তারা নিজেদের মাঠে খেলতে চায় না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy