বল ফিস্ট করে বাইরে পাঠাচ্ছেন আর্জেন্তিনার গোলকিপার। ছবি: এপি।
আর্জেন্তিনা ৪ (হিগুয়াইন-২, মেসি, লামেলা)
ভেনেজুয়েলা ১ (রনডন)
আবার সেই মেসি ম্যাজিক। আবারও সেই গোল আর গোলের কারিগর হয়ে ওঠা। নিজে করলেন একটি, করালেন দুটো। সঙ্গে ঢুকে পড়া রেকর্ডে। কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালে গোল করার সঙ্গে সঙ্গেই ছুঁয়ে ফেললেন গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতাকে। কে বলেছে জাতীয় দলের হয়ে সাফল্য নেই লিওনেল মেসির? কে বলেছে মেসি শুধুই বার্সেলোনার? বিশ্বকাপ ট্রফি শেষ কথা হতে পারে না সাফল্যের।
না হলে মানসিক টানাপড়েন, ফিটনেস সমস্যা কাটিয়ে যেদিন ৩০ মিনিটের জন্য কোপার মাঠে নেমেছিলেন নীল-সাদা জার্সিতে সেদিনই তো নিজের নামের পাশে লিখে নিয়েছিলেন হ্যাটট্রিক। সঙ্গে আগুয়েরোর গোলের মাপা পাসও এসেছিল তাঁর পা থেকে। পরের ম্যাচে পুরো দ্বিতীয়ার্ধ খেলেও গোল পাননি মেসি। কোয়ার্টার ফাইনালে অবশ্য শুরু থেকেই মাঠে ছিলেন তিনি। তাঁর পা থেকে গোল এল ৬০ মিনিটে। ৫৪তম আন্তর্জাতিক গোল করে ছুঁয়ে ফেললেন বাতিস্তুতাকে। আর্জেন্তিনার হয়ে সর্বোচ্চ গোল এটাই।
গাইতানের সঙ্গে পাস খেলে বল নিয়ে বক্সে পৌঁছে গিয়েছিলেন মেসি। সেখান থেকেই হার্নান্ডেজের পাশ কাটিয়ে মেসির শট চলে যায় গোলে। তার আগেই অবশ্য ২-০ করে দিয়েছেন গোঞ্জালো হিগুয়াইন। ৮ মিনিটে যখন আর্জেন্তিনার হয়ে খাতা খুললেন তিনি তখনও গুছিয়ে উঠতে পারেনি ভেনেজুয়েলা। বক্সের কোণা থেকে মাপা শটটি হিগুয়াইনকে লক্ষ্য করে রেখেছিলেন মেসিই। সেই শুরু। দলের ও হিগুয়াইনের দ্বিতীয় গোল ঠিক তার ২০ মিনিটের মধ্যেই। যখন ভেনেজুয়েলার একটি ব্যাকপাস ভুলবশতই চলে এসেছিল হিগুয়াইনের কাছে।
ভেনেজুয়েলার ভাগ্য খারাপ। প্রথমার্ধেই ২-২ করে দিতে পারত যদি না আর্জেন্তিনা গোলের নীচে দুরন্ত হয়ে উঠতেন রোমেরো। ৪০ মিনিটে রোমেরো মাথার উপর দিয়ে ফ্লেচারের শট বাইরে পাঠানোর চার মিনিটের মধ্যেই পেনাল্টি পেয়ে গিয়েছিল ভেনেজুয়েলা। কিন্তু লুই ম্যানুয়েলের দুর্বলতম শট সরাসরি জমা হল গোলকিপারের হাত।
প্রথমার্ধের জোড়া গোলের সুযোগ হেলায় হারিয়ে যখন গোলের মুখ খুলতে সক্ষম হল মেসিদের প্রতিপক্ষ ততক্ষণে ৩-০তে পিছিয়ে পড়েছে তারা। তবুও সান্ত্বনার মতো এল ৭০ মিনিটে রনডন জিমেনেজের গোল।তার আগে পোস্টে লেগে ফিরেছে তাঁর শট। যা গোল নষ্ট করল ভেনেজুয়েলা তাতে ৪-৪ ম্যাচ টাইব্রেকারে পৌঁছনো অস্বাভাবিক ছিল না। যা আর্জেন্তিনার রক্ষণের দিকেই আঙুল তুলে দিল।
রনডনের গোলের ঠিক এক মিনিটের মধ্যে অবশ্য আবারও গোল হজম করে বসল ভেনেজুয়েলা রক্ষণ। এবারও সেই মেসি। মাপা পাস বাড়িয়েছিলেন এরিক লামেলাকে লক্ষ্য করে। বল লক্ষ্য করে বেরিয়ে আসা হার্নান্ডেজকে কাটিয়ে লামেলার শট ফাঁকা গোলে ঢুকতেই মেসিদের সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়ে গেল। এখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব ছিল না ভেনেজুয়েলার। পারেওনি।
আরও খবর...
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy