মেসি-বার্সা সম্পর্কের জল্পনার মধ্যেই নাটকীয় ঘোষণা তাঁর বাবার।
মহারণে দুই মহাতারকার একই ছবি। দু’জনেই ব্যর্থ। চব্বিশ ঘণ্টা পরেই দুই মহাতারকার দুই ছবি। এক দিকে নতুন মোড় নিল লিওনেল মেসির ক্লাব-ভবিষ্যত্। তাঁকে সই করানোর মূল্য ধার্য করে দিলেন এলএম টেনের এজেন্ট তথা বাবা হোর্জে মেসি। অন্য দিকে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে হজম করতে হল প্রাক্তন সতীর্থের কটাক্ষ।
আর্জেন্তিনা-পর্তুগাল ম্যাচের ঠিক আগেই গোটা ফুটবলদুনিয়াকে ধাঁধায় ফেলে মেসি বলে দিয়েছিলেন, “হয়তো বার্সেলোনা থেকেই অবসর নেব। কিন্তু কিছু কিছু সময় এমন আসে যখন আপনি যা পরিকল্পনা করেন, সেটা ঘটে না। বিশেষ করে ফুটবলে।” বার্সেলোনার রাজপুত্রের কথায় ইঙ্গিত ছিল, এ বার তাঁর প্রিয় ক্লাব হয়তো ছাড়তে পারেন তিনি। যা নিয়ে বার্সার কোনও কর্তা মুখ না খুললেও মেসির বাবা-কাম-এজেন্ট হোর্জে মেসি ছেলের ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যের পরেই জানিয়ে দিলেন, এলএম টেন-কে কিনতে হলে দাম দিতে হবে ২০০ মিলিয়ন পাউন্ড। ভারতীয় মুদ্রায় ২০০ কোটি টাকা।
শোনা যাচ্ছে, মেসির মন্তব্যের পরে চেলসি, ম্যাঞ্চেস্টার সিটি-র মতো প্রিমিয়ার লিগের হেভিওয়েট ক্লাবের ফ্যাক্স পৌছে গিয়েছে মেসির বাবার কাছে, জানতে তাঁর বিখ্যাত ছেলেকে সই করাতে কত অর্থ লাগবে? চেলসি কোচ হোসে মোরিনহো তো আগাম বলে রেখেছেন তাঁর ক্লাব কর্তাদের যে, এহেন জটিল পরিস্থিতির ফায়দা তুলে মেসিকে প্রিমিয়ার লিগে নিয়ে আসতে। মেসিকে সই করানোর আগ্রহ শুধু প্রিমিয়ার লিগেই সীমিত নেই। দৌড়ে রয়েছে প্যারিস সাঁ জাঁ, ইন্টার মিলানের মতো ইউরোপের অন্য ফুটবল উন্নত দেশের ক্লাবগুলোও।
যদিও হোর্জে মেসি একইসঙ্গে বলেছেন, “আমার মনে হয় মেসির মন্তব্যকে বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে। তবে কোনও ক্লাব যদি সত্যিই ভাল প্রস্তাব নিয়ে আসে যা আমার ছেলের জন্য ভাল হবে, তা হলে তো ভাবতেই হবে।”
পাশাপাশি ব্যালন ডি’অর নির্বাচনের দিন যত এগোচ্ছে, বিতর্কের রেশ ততই বাড়ছে। আর প্রতিটা বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু যেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোই। রিয়াল মাদ্রিদে থাকাকালীন জাবি আলোন্সো আর রোনাল্ডো যেন ছিলেন এক আত্মা এক প্রাণ। কিন্তু বর্তমানে বায়ার্ন মিউনিখে খেলা আলোন্সো জানিয়ে দিলেন, তাঁর বায়ার্ন টিমমেট ম্যানুয়েল ন্যয়ারের হাতেই এ বার ওঠা উচিত ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলারের ট্রফি “ন্যয়ার ব্যালন ডি’অর জিতলেই যোগ্য বিচার হবে। ওর মতো গোলকিপার বিশ্বফুটবলে আর কেউ নেই।” যার পাল্টা তোপ দেগেছে স্প্যানিশ প্রচারমাধ্যম। স্পেনের প্রায় প্রতিটা নামী দৈনিকের কাছে আলোন্সো ‘বিশ্বাসঘাতক’। স্প্যানিশ মিডিয়ার প্রশ্ন, “আলোন্সো কী করে এটা বলতে পারলেন। এ রকম মন্তব্য করা মানে ব্যালন ডি’অরের বতর্মান মালিক রোনাল্ডোকে অপমান করা।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy