Meet Sushila Chanu who worked as Ticket Collector for Indian Railways, was the Captain of India’s Women Hockey Team dgtl
Sushila Chanu
Sushila Chanu: গাড়িচালকের মেয়ে থেকে মহিলা হকি দলের অধিনায়ক, সুশীলার অকল্পনীয় উত্থান
বুকের কাছে কালো কোটের উপর অলিম্পিক্সের পাঁচটি রিং জ্বলজ্বল করে তাঁর। তিনি সুশীলা চানু। মুম্বই স্টেশনের টিকিট কালেক্টর।
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৯:৪৮
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৪
মুম্বইয়ের কোনও স্টেশনে গেলে হয়তো দেখা হতে পারে তাঁর সঙ্গে। কালো কোট গায়ে চাপিয়ে যাত্রীদের টিকিট পরীক্ষা করেন তিনি। বুকের কাছে কালো কোটের উপর অলিম্পিক্সের পাঁচটি রিং জ্বলজ্বল করে।
০২১৪
তিনি মুম্বই স্টেশনের টিকিট কালেক্টর। তবে তাঁর আরও বড় পরিচয় রয়েছে। যে পরিচয়ের জেরেই রেলের এই চাকরিটি পেয়েছেন তিনি। তিনি সুশীলা চানু। রিও অলিম্পিক্স-এ মহিলা হকিতে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন তিনিই।
০৩১৪
যদিও এখনও খেলার সঙ্গে জড়িত সুশীলা। টোকিয়ো অলিম্পিক্স-এও মহিলা হকি দলের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। সম্প্রতি মুম্বই স্টেশনে যাত্রীদের টিকিট পরীক্ষা করার সময় তাঁর কিছু ছবি কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু টুইট করেন। সেই টুইটে ছিল সুশীলার প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা।
০৪১৪
খুবই কম বয়সে হকিতে সাফল্য পেয়েছেন সুশীলা। যে অর্থনৈতিক পরিবেশ থেকে তিনি উঠে এসেছিলেন এবং যে দ্রুততার সঙ্গে হকিতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে তুলেছিলেন, তা প্রশংসনীয়ও বটে।
০৫১৪
১৯৯২ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি মণিপুরের ইম্ফলে জন্ম তাঁর। পরিবারের অবস্থা সচ্ছল ছিল না। মা সংসার সামলাতেন এবং বাবা গাড়ি চালিয়ে উপার্জন করতেন।
০৬১৪
ঠাকুরদা ছিলেন এক জন পোলো খেলোয়াড়। তাই খেলোয়াড়ের রক্ত তাঁর শরীরে জন্ম থেকেই বইছিল।
০৭১৪
খেলা ভালবাসতেন। কিন্তু খেলোয়াড় হওয়ার ইচ্ছা জন্মায় বাবার সঙ্গে স্টেডিয়ামে একটি ফুটবল ম্যাচ দেখার সময়। ১৯৯৯ সালে মণিপুরে অনুষ্ঠিত হওয়া ওই জাতীয় ফুটবল ম্যাচ দেখতে গিয়েছিলেন তিনি।
০৮১৪
মাত্র ১১ বছর বয়সে হকি স্টিক হাতে তুলে নিয়েছিলেন সুশীলা। কাকার অনুপ্রেরণাতেই তিনি ২০০২ সালে মণিপুরের এক নামজাদা হকি অ্যাকাডেমিতে ভর্তি হয়েছিলেন।
০৯১৪
কিছু দিন পরেই ডাক আসে জাতীয় স্তরে খেলার জন্য। জুনিয়র ন্যাশনাল হকি চ্যাম্পিয়নশিপে তাঁর খেলা দেখে মুগ্ধ হয় জাতীয় নির্বাচক কমিটি।
১০১৪
২০০৮ সালে কুয়ালা লামপুরে মহিলা হকি জুনিয়র এশিয়া কাপ-এর জন্য খেলেন তিনি। এটি ছিল তাঁর প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ। তাতে ভারত ব্রোঞ্জ জিতেছিল। কিন্তু এর পরের বছরই চোটের কারণে দল থেকে সাময়িক ভাবে তাঁকে বাদ দেওয়া হয়।
১১১৪
ইতিমধ্যে মধ্যপ্রদেশের হকি অ্যাকাডেমি থেকে স্নাতক হয়ে তিনি ভারতীয় মধ্য রেল-এ মুম্বই স্টেশনে টিকিট কালেক্টর হয়ে যোগ দিয়েছিলেন। ২০১০ সাল থেকে মুম্বইয়েই রয়েছেন তিনি। আরও এক হকি খেলোয়াড়ের সঙ্গে রেলের একটি ঘরে থাকেন তিনি।
১২১৪
২০১৬-র রিও অলিম্পিক্স-এ ভারতীয় জাতীয় দলের অধিনায়ক ঘোষিত হয়েছিলেন সুশীলা। কিন্তু অলিম্পিক্স-এর মাস খানেক আগেই হাঁটুতে ভয়ঙ্কর চোট পান। অস্ত্রোপচার করে সেই চোট সেরে উঠতে সময় লেগেছিল।
১৩১৪
তবে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়েই ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন তিনি। তাঁর অধিনায়কত্বে দীর্ঘ ৩৬ বছর পর মহিলা হকি দল অলিম্পিক্স-এ খেলার সুযোগ পায়।
১৪১৪
সুশীলা স্বপ্ন দেখেছিলেন, অন্তত এক বার দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে খেলবেন। সব মিলিয়ে মোট ১৫০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন তিনি।