উচ্ছ্বসিত রোহিত। রাঁচীতে শনিবার। ছবি: পিটিআই।
রোহিত শর্মার ফের সেঞ্চুরির সুবাদে তৃতীয় টেস্টের প্রথম দিনের শেষে চালকের আসনে ভারত। সকালে দ্রুত তিন উইকেট পড়ে যাওয়ার পর ইনিংস মেরামতে নেমেছিলেন রোহিত ও অজিঙ্ক রাহানে। চায়ের বিরতির পর মন্দ আলোয় খেলা যখন এ দিনের মতো বন্ধ হল, তখনও অপরাজিত দু’জনে। আর ৫৮ ওভারে তিন উইকেটে ২২৪ উঠে গিয়েছে স্কোরবোর্ডে।
রোহিত অপরাজিত রয়েছেন ১১৭ রানে। সঙ্গী অজিঙ্ক রাহানেও পৌঁছে গিয়েছেন শতরানের সামনে। তিনি খেলছেন ৮৩ রানে। তাঁর ইনিংসে রয়েছে ১১ চার ও একটি ছয়। রোহিত-রাহানে জুটিতে যোগ হয়েছে ১৮৫ রান। দক্ষিণ আফ্রিকা সকালে কোহালিদের ফিরিয়ে যে ধাক্কা দিয়েছিল, তা সামলে নিয়ে ভারত এখন বড় রানের দিকে এগিয়ে চলেছে। এ দিন ৩২ ওভার খেলা না হওয়ায় নিশ্চয়ই হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছে প্রোটিয়া শিবির।
বিশাখাপত্তনমে সিরিজের প্রথম টেস্টে দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করেছিলেন রোহিত। যা ছিল ওপেনার হিসেবে তাঁর প্রথম টেস্ট। রাঁচীতে শনিবার ওপেনার হিসেবে কেরিয়ারের তৃতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি করে ফেললেন তিনি। আর সেটাও এল ছয় মেরে। একইসঙ্গে টেস্টে ২০০০ রানও পূর্ণ করলেন তিনি। চলতি সিরিজে চারশোর বেশি রান করে ফেলেছেন তিনি। এদিন তাঁর সেঞ্চুরি এল ১৩০ বলে, ১৩টি চার ও চারটি ছয়ের সাহায্যে।
সকালে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে গিয়েছিল ভারত। ৩৯ রানের মধ্যে ফিরে গিয়েছিলেন ময়াঙ্ক আগরওয়াল (১০), চেতেশ্বর পূজারা (০) ও বিরাট কোহালি (১২)। সেখান থেকে অবিচ্ছিন্ন চতুর্থ উইকেটে দুই মুম্বইকর লড়াইয়ে ফেরালেন দলকে। এবং ক্রমশ ম্যাচের দখল নিয়ে ফেললেন।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টা আগেও জানতেন না টেস্ট খেলবেন! রূপকথার অভিষেক শাহবাজ নাদিমের
প্রথম টেস্টে দ্বিশতরান, দ্বিতীয় টেস্টে শতরানের পর তৃতীয় টেস্টের প্রথম দিন ব্যর্থ হয়েছিলেন ময়াঙ্ক। কাগিসো রাবাডার বলে স্লিপে ডিন এলগারকে ক্যাচ দিয়েছিলেন তিনি। রাবাডার বলেই এলবিডব্লিউ হয়েছিলেন পূজারা। এই সিরিজে পুরনো ছন্দে দেখা গেল না তাঁকে। পুণেয় অপরাজিত ২৫৪ করার পর রাঁচীতে দ্রুত ফিরলেন কোহালিও। এলবিডব্লিউ হলেন তিনি। এ ক্ষেত্রে বোলার ছিলেন অ্যানরিখ নর্তিয়ের। রিভিউ নিয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক। কিন্তু আম্পায়ার্স কল হওয়ায় ফিরতেই হল তাঁকে। লাঞ্চের সময় ২৩ ওভারে তিন উইকেটে ৭১ রান তুলেছিল টিম ইন্ডিয়া। রোহিত শর্মা (৩৮) ও অজিঙ্ক রাহানে (১১) অপরাজিত ছিলেন। চায়ের বিরতিতে সেটাই দাঁড়াল তিন উইকেটে ২০৫। রোহিত খেলছিলেন ১০৮ রানে। রাহানে খেলছিলেন ৭৪ রানে। চায়ের বিরতির পর বেশিক্ষণ খেলা হয়নি। আকাশ অন্ধকার হয়ে আসে। কভারে ঢাকা পড়ে মাঠ। আর শুরু হয়নি খেলা।
আরও পড়ুন: এশিয়ায় টানা নয় টস হার, রাঁচীতে টস করতে প্রক্সি পাঠাতে পারেন দু’প্লেসি
বিশাখাপত্তনম, পুণের পর এ বার রাঁচী। ফের টস জিতলেন এবং ব্যাটিং নিয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহালি। টস ভাগ্য বদলাতে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে টস করতে এসেছিলেন বাভুমা। কিন্তু তিনিও টস জিততে পারলেন না। সিরিজে টানা তিন টসই হারল দক্ষিণ আফ্রিকা। যা বিশ্বাস করতে কষ্টই হচ্ছিল প্রোটিয়া অধিনায়ক ফাফ দু’প্লেসির। পুণে টেস্ট ধরে উপমহাদেশে টানা নয় টেস্টে টস হেরেছেন তিনি। তাই টস করতে পাঠিয়েছিলেন বাভুমাকে। কিন্তু প্রক্সি পাঠিয়েও লাভ হল না।
বিশাখাপত্তনমে সিরিজের প্রথম টেস্টে ২০৩ রানে জিতেছিল ভারত। পুণেয় সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে জয় এসেছিল ইনিংস ও ১৩৭ রানে। সিরিজ জেতা হয়ে গিয়েছে আগেই। মহেন্দ্র সিংহ ধোনির শহরে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হোয়াইটওয়াশ করাই লক্ষ্য ভারতের। একইসঙ্গে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে এগিয়ে যাওয়ার তাগিদও রয়েছে। টেস্ট জিতলে মিলবে ৪০ পয়েন্ট।
Virat Kohli called it a no-brainer to bat first at the Toss #TeamIndia #INDvSA @Paytm 🇮🇳🇮🇳 pic.twitter.com/3V4fKvcVWr
— BCCI (@BCCI) October 19, 2019
রাঁচীর উইকেটের কথা মাথায় রেখে এই টেস্টে তিন স্পিনারে খেলছে ভারত। চায়নাম্যান কুলদীপ যাদব চোটের জন্য ছিটকে যাওয়ায় জরুরি ভিত্তিতে দলে আসা বাঁ-হাতি স্পিনার শাহবাজ নাদিমের টেস্ট অভিষেক হয়েছে। বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে বর্ষীয়ান পেসার ইশান্ত শর্মাকে। অন্যদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকা দলেও বেশ কয়েকটা পরিবর্তন হয়েছে। চোটের জন্য আগেই ছিটকে গিয়েছিলেন মার্করাম ও কেশব মহারাজ। এই টেস্টে বাদ পড়লেন থেউনিস দি ব্রুইন, মুথুস্বামী, ফিলান্ডারও। টেস্ট অভিষেক হল উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান হেনরিখ ক্লাসেন ও বাঁ-হাতি স্পিনার জর্জ লিন্ডের। দলে এলেন হামজা, লুঙ্গি এনগিডি ও ডেন পিয়েদত। পাঁচ বিশেষজ্ঞ বোলারে খেলছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy