বিয়ে হোক বা জন্মদিন, নিজের কিংবা অন্যের, বয়স বাড়লেও উপহারের মোড়ক খোলার আগ্রহ থেকেই যায়। আসলে উপহার মানেই চমক। আর সেই চমককে আগলে রাখে মোড়কটাই। আমরা ভেবেচিন্তে উল্টো দিকের মানুষটার জন্য উপহার নিই। কিন্তু গতে বাঁধা লাল, নীল চকমকি কাগজে মুড়ে তা দেওয়ার বদলে, তাতে নিজস্ব রুচির ছোঁয়া রাখতে পারেন। তা ছাড়া, প্লাস্টিকের মোড়ক পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। এখন ব্রাউন পেপার বা তা দিয়ে তৈরি ডিজ়াইনার গিফট ব্যাগও পাওয়া যায়। উপহার মোড়ার জন্য আরও কিছু পরিবেশবান্ধব উপায়ের সন্ধান রইল।

ছবি: সংগৃহীত।
উপহার সাজানোও একটি শিল্প। কী দিলেন তার চেয়েও কত যত্নে তা দিলেন, সেটাই বড় কথা—
- রেশম, মসলিন, ভেলভেটের কাপড় অথবা ওড়না এ ক্ষেত্রে সুন্দর ভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। শাড়ি, বই, ছবির ফ্রেম এ ধরনের মোড়কে উপহার দেওয়া যায়। রিসাইকলের ভাবনা থেকে জাপানে এ ধরনের মোড়কের চল, যাকে বলে ফুরোশিকি। এ ক্ষেত্রে উপহারের সঙ্গে মোড়কে ব্যবহার করা কাপড়ের টুকরোটিও গিফট হিসেবে গণ্য হয়। টাওয়েল, টি-টাওয়েল, গামছা, কলমকারি বা বাঁধনির কাপড়ের টুকরো দিয়েও উপহার মুড়তে পারেন।
- কানের দুল, চুড়ি, সুগন্ধি, ঘড়ি উপহার দিতে পারেন ভেলভেট বা সিল্কের বটুয়ায়। জরি, চুমকি, মুক্তো দিয়ে তা সাজানো যায়। টোট ব্যাগের উপরে হাতে এঁকে বা সুতোর কাজ করে তাতে উপহার দিতে পারেন।
- ডয়েলি পেপারে মোড়া যায় উপহার। ব্রাউন পেপারে মুড়ে তার উপরে ডয়েলি পেপার লাগিয়ে উপহারের মোড়ককে আকর্ষক করে তুলতে পারেন।
- সুগন্ধি মোমবাতি, তেল, চকলেট ইত্যাদি চটের ব্যাগ বা বাক্সে উপহার দিন। চা, চকলেট, দেওয়াল ঘড়ি, মেকআপ কিট ইত্যাদি বেতের ব্যাগেও দেওয়া যায়। নানা রঙের বেতের ব্যাগ বাজারে সহজলভ্য।
প্লাস্টিকের সেলোটেপের বদলে উপহার মুড়তেও কাগজের তৈরি ওয়াশি টেপ ব্যবহার করতে পারেন। তা পরিবেশবান্ধব। পাশাপাশি উপহারদাতা যেমন যত্ন করে গিফট প্যাক করছেন, তেমন তা সাবধানে খুলুন, যাতে এই মোড়ক আপনি আবার ব্যবহার করতে পারেন। এতে কম বর্জ্য তৈরি হবে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)