Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
Cheteshwar Pujara

লিড এখনই ৩৪৩, ইনদওরে ময়াঙ্কের ডাবল সেঞ্চুরির দাপটে রানের পাহাড়ে ভারত

ইনদওরে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ তুলেছিল ১৫০। জবাবে ময়াঙ্ক আগরওয়ালের ২৪৩ রানের সুবাদে চালকের আসনে ভারত। লিড এখনই ৩৪৩ রান।

ডাবল সেঞ্চুরির পর ময়াঙ্ক। ছবি টুইটার থেকে নেওয়া।

ডাবল সেঞ্চুরির পর ময়াঙ্ক। ছবি টুইটার থেকে নেওয়া।

সংবাদ সংস্থা
ইনদওর শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০১৯ ১০:১১
Share: Save:

ময়াঙ্ক আগরওয়ালের দাপটে ইনদওরে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশকে কোণঠাসা জায়গায় নিয়ে গিয়েছে ভারত। দিনের শেষে ৩৪৩ রানে এগিয়ে রয়েছে বিরাট কোহালির দল। বাংলাদেশের ১৫০ রানের জবাবে ছয় উইকেটে ৪৯৩ তুলেছে ভারত। তার মধ্যে এদিনই ৮৮ ওভারে উঠল ৪০৭ রান। এতটাই আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাট করলেন ব্যাটসম্যানরা। খেলার আরও তিন দিন বাকি। এই টেস্ট বাঁচানো কিন্তু রীতিমতো কঠিন মোমিনুল হকের দলের কাছে।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে কিছুদিন আগেই ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন ময়াঙ্ক আগরওয়াল। ইনদওরে শুক্রবার বাংলাদেশের বিরুদ্ধেও দ্বিশতরানে পৌঁছলেন তিনি। আর তা এল চরম ঔদ্ধত্যের সঙ্গে, ছয় হাঁকিয়ে। তাঁর সেঞ্চুরি এসেছিল ১৮৩ বলে, ১৫টি চার ও একটি ছয়ের সাহায্যে। ডাবল সেঞ্চুরি এল ৩০৩ বলে, ২৫টি চার ও পাঁচটি ছয়ের সুবাদে। আর ছয় মারতে গিয়েই আউট হলেন তিনি। মেহেদি হাসানের বলে ডিপ মিড উইকেটে দুর্দান্ত ক্যাচ নিলেন আবু জায়েদ। ৩৩০ বলে ২৪৩ রানে ফিরলেন ময়াঙ্ক। ২৮টি চার ও আটটি ছয়ে ইনিংস সাজালেন তিনি। যে ভাবে ব্যাট খেলছিলেন, আরও বড় রান আসতেই পারত।

তবে তা না এলেও ময়াঙ্কের ব্যাটই চাপ কাটিয়ে ভদ্রস্থ চেহারা দিল ভারতের ইনিংসকে। চলতি বছরে দারুণ ছন্দে আছেন তিনি। ২৮ বছর বয়সির এটা টেস্ট কেরিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি। এর মধ্যে দু’টি ডাবল সেঞ্চুরি। যখন তিনি ফিরলেন, পাঁচ উইকেটে ভারতের স্কোর ৪৩২। এর পর ইবাদত হোসেনের বলে ঋদ্ধিমান সাহা (১২) দ্রুত ফিরলেও ঝড় তুললেন রবীন্দ্র জাডেজা ও উমেশ যাদব। দু’জনে অবিচ্ছিন্ন সপ্তম উইকেটে ১৯ বলে যোগ করলেন ৩৯ রান। ৭৬ বলে ৬০ রানে অপরাজিত রয়েছেন জাডেজা। তিনি ছয়টি চার ও দুটো ছয় মেরেছেন। আর ১০ বলে ২৫ রানে অপরাজিত রয়েছেন উমেশ। তাঁর ইনিংসে রয়েছে একটি চার ও তিনটি ছয়।

আরও পড়ুন: শেষ পাঁচ ইনিংসের তিনটিই সেঞ্চুরি! স্বপ্নের ফর্মে ময়াঙ্ক

ময়াঙ্ক আগরওয়াল ডাবল সেঞ্চুরি করলেও সেঞ্চুরিতে পৌঁছতে পারলেন না অজিঙ্ক রাহানে। শতরানের দোরগোড়া থেকে ফিরলেন ভারতের সহ-অধিনায়ক। সেঞ্চুরি নিশ্চিত দেখাচ্ছিল তাঁর। কিন্তু ৮৬ রানে আবু জায়েদের বলে ফিরলেন তিনি। ভারতের প্রথম চার উইকেটই নিলেন আবু জায়েদ। তবে আউট হওয়ার আগে ময়াঙ্কের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে রাহানে ১৯০ রান যোগ করে ভারতকে চালকের আসনে বসিয়ে দিয়েছিলেন।

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের সকালে চেতেশ্বর পূজারা-বিরাট কোহালিকে দ্রুত ফিরিয়ে দিয়েছিলেন আবু জায়েদ। কিন্তু দুই হেভিওয়েটকে হারানোর চাপ কাটিয়ে দিয়েছিলেন ময়াঙ্ক-রাহানে। লাঞ্চের সময় তিন উইকেটে ১৮৮ রান তুলেছিল টিম ইন্ডিয়া। ময়াঙ্ক আগরওয়াল খেলছিলেন ৯১ রানে। ৩৫ রানে অপরাজিত ছিলেন অজিঙ্ক রাহানে। সেটাই চায়ের বিরতিতে ৮৪ ওভারে তিন উইকেটে দাঁড়াল ৩০৩ রানে। ময়াঙ্কের তখন ১৫৬।মানে বাংলাদেশের রান ততক্ষণে একাই টপকে গিয়েছিলেন তিনি। রাহানে তখন খেলছিলেন ৮২ রানে। অবশ্য চায়ের বিরতির ঠিক পরেই আউট হন তিনি।

আরও পড়ুন: মুম্বইতে বোলারদের দাপট, মধ্যপ্রদেশকে গুঁড়িয়ে ম্যাচ জিতল বাংলা​

শুক্রবার সকালে এক উইকেটে ৮৬ নিয়ে শুরু করেছিল ভারত। বাংলাদেশের থেকে ৬৪ রান পিছনে ছিল দল। চেতেশ্বর পূজারা ব্যাট করছিলেন ৪৩ রানে। মায়াঙ্ক আগরওয়াল অপরাজিত ছিলেন ৩৭ রানে। খেলা শুরুর পর ইনদওর টেস্টে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে হাফ সেঞ্চুরি করেও দ্রুত ফিরে গিয়েছিলেন চেতেশ্বর পূজারা। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিন সকালে আক্রমণাত্মক মেজাজে শুরু করেছিলেন তিনি। আবু জায়েদের ওভারে দুটো বাউন্ডারি সহ ১০ রান নেওয়ার মধ্যেই পরিষ্কার ছিল, আগ্রাসী মেজাজেই থাকতে চাইছেন তিনি। ৬৮ বলে নয়টি চারের সাহায্যে অর্ধশতরান পূর্ণ করার পরই ফিরতে হল তাঁকে। আবু জায়েদের বলেই গালিতে ক্যাচ দিলেন পূজারা (৫৪)। তার পরই ফিরলেন বিরাট কোহালি। কোনও রান না করেই এলবিডব্লিউ হলেন ভারত অধিনায়ক। রিভিউ নিয়েছিল বাংলাদেশ। তাতে দেখা যায় বল লেগস্টাম্পে লাগছে।

আরও পড়ুন: স্বার্থ সংঘাতের অভিযোগ থেকে মুক্ত রাহুল দ্রাবিড়​

ইনদওর টেস্টে বার বার বাংলাদেশকে ম্যাচে ফিরিয়েছিলেন আবু জায়েদ। সকালে দ্রুত আউট করেছিলেন চেতেশ্বর পূজারা ও বিরাট কোহালিকে। ভারতের ইনিংসের প্রথম চার উইকেটই ২৬ বছর বয়সি ডান-হাতি পেসারের। সকালে তাঁর বলে ক্যাচ পড়লেও মনোবল হারাননি তিনি। বরং তাঁর লড়াকু বোলিংই উত্তেজনা আমদানি করেছিল ম্যাচে। চায়ের বিরতির পরও তিনি রাহানেকে ফিরিয়ে দিলেন।

বৃহস্পতিবার টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ১৫০ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। শুরু থেকেই ভারতীয় পেসাররা দুর্দান্ত সুইংয়ের নিদর্শন রেখেছিলেন। মহম্মদ শামি, উমেশ যাদব ও ইশান্ত শর্মার সামনে দিশেহারা দেখাচ্ছিল পদ্মাপারের ব্যাটসম্যানদের। এর মধ্যে তিন উইকেট নিয়ে সফলতম বোলার হলেন শামি। উমেশ ও ইশান্ত নেন দু’টি করে উইকেট। অফস্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনও নেন গুরুত্বপূর্ণ দুই উইকেট।

(এই প্রতিবেদনের শিরোনামে রাহানের পরিবর্তে ভুলবশত পূজারার নাম লেখা হয়েছিল। এই ত্রুটির জন্য আমরা দুঃখিত।)

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy