চেন্নাই সিটি এফসি চ্যাম্পিয়ন হয়ে গিয়েছে শনিবার। চেন্নাই-মিনার্ভা ম্যাচ নিয়ে বিতর্ক চলছে এখনও। ছবি: মানজির ফেসবুক পেজ থেকে।
আই লিগ শেষ হইয়াও যেন হইল না শেষ! চেন্নাই সিটি এফসি ও মিনার্ভা পঞ্জাব ম্যাচ শেষ হয়ে গিয়েছে সেই শনিবার। কিন্তু, এখনও বিতর্ক চলছেই।
ম্যাচ কমিশনার বালসুব্রহ্মনম তাঁর রিপোর্টে লিখেছেন, ট্রু স্পিরিটে ৯ মার্চের চেন্নাই সিটি-মিনার্ভা পঞ্জাব ম্যাচটি খেলা হয়নি। তিনি যে সব বিষয়ের উল্লেখ করেছেন তাঁর রিপোর্টে, তাতে মিনার্ভার ফুটবলার ও কর্ণধারের কথাই বলা হয়েছে। যে সব বিষয় ম্যাচ কমিশনার তুলে ধরেছেন—
১) চেন্নাই সিটির ১৯ নম্বর জার্সিধারী ফুটবলার কোন দিকে পেনাল্টি মারবেন, তার দিক নির্দেশ করেন। মিনার্ভার গোলকিপার অন্য দিকে ঝাঁপ দেন।
আরও পড়ুন: দেশে ফিরছেন এনরিকে, জল্পনা উস্কে দিলেন মেনেন্দেস
আরও পড়ুন: চেন্নাই সিটির রূপকথার নেপথ্য নায়ক কে? চিনে নিন তাঁকে
২) খেলার ৫৩ মিনিটে মিনার্ভার ১৭ নম্বর জার্সিধারী ফুটবলারকে তুলে নেওয়া হয়। খেলার তিন মিনিটে তাঁর করা গোলেই এগিয়ে গিয়েছিল মিনার্ভা। সেই ফুটবলারকে যখন তুলে নেওয়া হয়, তখন তিনিও বিস্মিত হয়ে যান। অসন্তোষ প্রকাশ করতে থাকেন তিনি।
৩) খেলার ৭৬ মিনিটে মিনার্ভা ১০ নম্বর জার্সিধারী ফুটবলারকে তুলে নেওয়া হয়। সেই ফুটবলারও অসন্তোষ প্রকাশ করতে থাকেন।
৪) ম্যাচ চলাকালীন মিনার্ভার কর্ণধার রঞ্জিৎ বাজাজ অত্যন্ত শান্ত ভাবে বসেছিলেন। গোটা টুর্নামেন্টে মোটেও তাঁকে শান্ত ভাবে দেখা যায়নি।
ম্যাচ কমিশনারের রিপোর্টে কি তবে অন্য গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে? অন্য কিছুর কি ইঙ্গিত দিয়েছেন ম্যাচ কমিশনার? ম্যাচ কি সত্যিই ছেড়ে দিয়েছিল মিনার্ভা পঞ্জাব? এরকমই সব প্রশ্ন উঠছে ফুটবলমহলে।
ইস্টবেঙ্গল শিবির এ বিষয়ে ‘ধীরে চলো’ নীতি নিচ্ছে। কোয়েস ইস্টবেঙ্গলের কর্ণধার সিইও সঞ্জিৎ সেন বলছেন, ‘‘এমন কিছু আমরা করব না যাতে ফল উল্টো হয়। ম্যাচ কমিশনারের রিপোর্ট-সহ অন্যান্য জিনিস আমরা লিগ্যাল কাউন্সিলের কাছে পাঠিয়েছি। পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, তা খুব দ্রুতই আমরা জানতে পারব।’’
মিনার্ভার কর্ণধার রঞ্জিৎ বাজাজ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘ম্যাচ কমিশনার ছাড়াও তো সে দিন আইলিগের সিইও সুনন্দ ধর, ইন্টিগ্রিটি অফিসার ছিলেন মাঠে। এএফসিও তো অন্য গন্ধ পাচ্ছে না। চেন্নাইয়ের ঘরের মাঠে গিয়ে মোহনবাগান হেরেছে। ইস্টবেঙ্গলও তো হেরেছে। তখন তো কেউ কিছু বলেনি? আমরা হেরে গিয়েছি বলে এত কথা হচ্ছে কেন? সব দেখে আমার মনে হচ্ছে, বাড়াবাড়ি হচ্ছে।’’
ইস্টবেঙ্গলের জবাব কী হয়, সেটাই দেখার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy