লক্ষ্যপূরণ: ম্যাগনোকে (বাঁ দিকে) হারানোর পরে মেরি কম। টুইটার
টোকিয়ো অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জন করার পরে শুভেচ্ছার জোয়ারে ভাসছেন মেরি কম। সোমবার জর্ডানের আম্মানে এশিয়া-ওসেনিয়া যোগ্যতা অর্জন পর্বের ৫১ কেজি বিভাগে সেমিফাইনালে ওঠার পরেই ভারতের কিংবদন্তি বক্সারের দ্বিতীয় বার অলিম্পিক্সের রিংয়ে নামা নিশ্চিত হয়ে যায়।
ছ’বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ৩৭ বছর বয়সি মেরি কোয়ার্টার ফাইনালে ৫-০ উড়িয়ে দেন ফিলিপিন্সের আইরিশ ম্যাগনোকে। এই বাউটের পরেই তিন সন্তানের মা মেরিকে তাঁর হাতে ধরা একটি কার্ডকে চুম্বন করতে দেখা যায়। যেখানে লেখা, ‘‘আপনি টোকিয়ো ২০২০-র যোগ্যতা পেলেন’’। আবেগাপ্লুত মেরি এর পরে বলে দেন, ‘‘এত দিনের পরিশ্রম সার্থক হল। প্রচুর খেটেছি এই দিনটা দেখার জন্য। অনেক চ্যালেঞ্জ পেরিয়ে আসতে হয়েছে। আমার স্বপ্ন প্রায় পূর্ণ হয়ে এসেছে।’’ ভারতের জাতীয় বক্সিং সংস্থা মেরির এই জয়ের পরে টুইট করে, ‘‘দুরন্ত কাউন্টার বক্সিংয়ে মেরি দেখিয়ে দিলেন, কী ভাবে বাউট জিততে হয়।’’
মেরি কমের ভক্তরাও সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছায় ভরিয়ে দেন। ২০০১ সালে প্রথম মহিলা বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে রুপো জিতেছিলেন মেরি। এর পরে ছ’বার সোনা জেতেন তিনি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে। ২০১৪ এশিয়ান গেমস এবং ২০১৮ কমনওয়েলথ গেমসেও তিনি চ্যাম্পিয়ন হন। প্রথম বার মেরি অলিম্পিক্সে নামেন ২০১২ সালে। সে বারই অলিম্পিক্সে মেয়েদের বক্সিংকে প্রথম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।
মেরি মঙ্গলবার সেমিফাইনালে অবশ্য চিনের উয়ান চ্যাংএর বিরুদ্ধে হেরে গিয়েছেন। ফলে ব্রোঞ্জ নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে তাঁকে। প্রাক্তন যুব বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন চিনা বক্সার মেরিকে হারান ৩-২ ফলে। তবে পুরুষদের ৬৯ কেজি বিভাগে বিকাশ কৃষাণ এবং মেয়েদের ৬০ কেজি বিভাগে সিমরনজিৎ কৌর ফাইনালে উঠেছেন। কাজখস্তানের দ্বিতীয় বাছাই আবলাইখান ঝুসুপভকে বিকাশ হারান। সিমরনজিৎ হারান তাইওয়ানের প্রতিপক্ষকে। এ ছাড়া বিদায় নিয়েছেন অমিত পঙ্ঘাল (৫২ কেজি), লভলিনা বরগোহাঁই (৬৯ কেজি), পূজা রানি (৭৫ কেজি) এবং আশিস কুমার (৭৫ কেজি)। এই সাত বক্সারই অলিম্পিক্সে যোগ্যতা অর্জন করে ফেলেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy