ম্যান সিটি বৃহস্পতিবার কিছুটা হলেও ভাগ্যের সাহায্য পেল। ছবি: রয়টার্স।
ম্যান সিটি ২ • লিভারপুল ১
পেপ গুয়ার্দিওলার কথায়, ‘‘আমরা ফাইনালেই জিতলাম।’’ এমনটা বললেন বৃহস্পতিবার শীর্ষে থাকা ও প্রিমিয়ার লিগে ২০ ম্যাচ অপরাজিত লিভারপুলকে এতিহাদে ২-১ গোলে হারিয়ে। ম্যান সিটি তাদের শেষ দু’টি ম্যাচ ক্রিস্টাল প্যালেস ও লেস্টার সিটির কাছে হেরেছিল। তাতে অনেকের মনে হয়, য়ুর্গেন ক্লপের লিভারপুলের জেতার এটাই সেরা সুযোগ। সেটা হলে ১৯৯০-এর পরে প্রথম এতিহাদে জিতত ‘দ্য রেডস’। হল ঠিক উল্টোটা। বৃহস্পতিবার জিতে ম্যান সিটি এখন মাত্র চার পয়েন্ট পিছনে লিভারপুলের। পেপ গুয়ার্দিওলা অবশ্য সাবধানী, ‘‘এ বার আমাদের টানা জিততে হবে।’’
সের্খিয়ো আগুয়েরোর গোলে ৪০ মিনিটে ম্যান সিটির এগিয়ে যাওয়া। ৬৪ মিনিটে রবের্তো ফির্মিনহোর ১-১ করা। এবং ৭২ মিনিটে লেরয় সানের জয়ের গোল এনে দেওয়া সিটিকে। এ হেন জয়ে এতটাই খুশি পেপ যে বলে ফেললেন, ‘‘ম্যাচটা ফাইনালের মতোই ছিল। আজ হারলে খেতাবের দৌড় থেকেই ছিটকে যেতাম। জানি, এখনও অনেক লড়াই বাকি। তবে এই জয়ে ছেলেরা আত্মবিশ্বাসটা ফিরে পাবে। সেটা বড় প্রাপ্তি।’’ সঙ্গে যোগ করলেন, ‘‘ছেলেদের জন্য গর্বিত। এটা ঠিক যে, শেষ চার দিনে দুটো ম্যাচ হেরেছিলাম। কিন্তু তার আগের ষোলো মাসে ওরা কী করেছে সেটাও দেখুন।’’
পাশাপাশি ক্লপ কিন্তু মনে করছেন না, সিটির কাছে হেরে তাঁদের খেতাব জয়ের সম্ভাবনা ক্ষীণ হল। ‘‘লিগ টেবলে আমাদের অবস্থা যথেষ্ট ভাল। অবশ্যই আমরা এক নম্বরে থেকে শেষ করতে চাই,’’ বলেন ক্লপ। ম্যান সিটি কিন্তু বৃহস্পতিবার কিছুটা হলেও ভাগ্যের সাহায্য পেল। ১৯ মিনিটেই ১-০ এগিয়ে যাওয়ার কথা লিভারপুলের। মহম্মদ সালাহর পাস ধরে সাদিয়ো মানের শট পোস্টে প্রতিহত না হলে।
আর ভ্যানসঁ কোম্পানি জোড়া পায়ে বিশ্রী ভাবে সালাহকে ফেলে দেওয়ার পরেও লাল কার্ড দেখেননি। সেটা হলে কিন্তু ম্যাচের অনেকটা সময় ম্যান সিটিকে দশ জনে খেলতে হত। যা নিয়ে বিরক্তি লুকোননি ক্লপ, ‘‘আমি কোম্পানির খেলা পছন্দ করি। কিন্তু কী করে ও আজ লাল কার্ড দেখার হাত থেকে বেঁচে গেল, আমার মাথাতে ঢোকেনি। সত্যি এটা নিয়ে আমার কিছু বলার নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy