স্নেহ: গুয়াহাটিতে এক সংবর্ধনায় বাবার সঙ্গে লাভলিনা। পিটিআই
মেয়ে অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ পেয়ে হতাশ। প্যারিস অলিম্পিক্সে সোনা জেতার জন্য মরিয়া। অন্য কোনওদিকেই হুঁশ নেই। কিন্তু মায়ের মন ভাবছে দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। ছোট মেয়ের বিয়ের বয়স না পার হয়ে যায়! তাই লাভলিনা বরগোহাঁইয়ের মা মামণি মেয়েকে বোঝাচ্ছেন মেরি কম-এর কথা বলে। তিনি বলছেন, মেরির মতোই না হয় সংসার করার সঙ্গেই বক্সিং চালাবে আদরের বিকু! কিন্তু বাড়িতে কথা উঠতেই লাভলিনা স্পষ্ট জানিয়েছেন, আগে অলিম্পিক্স সোনা, পরে বিয়ে।
এত দিন পরে রাজ্যে ফিরলেও বাড়ি যেতে পারেনি লাভলিনা। স্বাধীনতা দিবসে দেখা করবেন প্রধানমন্ত্রী। হাজির থাকতে হবে লালকেল্লার অনুষ্ঠানে। তাই বাড়ি ফিরবেন ১৭ অগস্ট। সাইয়ের প্রাক্তন প্রশিক্ষক গীতা চানুর অবদানের কথা তুলে ধরে তাঁর জন্যেও স্থায়ী চাকরির ব্যবস্থা করার আবেদন রাখেন লাভলিনা। তিনি বলেন, “ক্রীড়া যদি দেশের পাঠ্যক্রমে আবশ্যিক বিষয় করা হয় তবে এক দশক পরে পদকজয়ী অনেক খেলোয়াড় উঠে আসবে। কর্মজীবনের কথা ভেবে আমাদের অভিভাবকরাও খেলাকে প্রাধান্য দেন না। স্কুলেও তাই। বিদেশে ক্রীড়া বিজ্ঞান আলাদা বিষয়। তা নিয়ে পড়াশোনা করে স্নাতক হওয়া যায়। কিন্তু ভারতে আমরা খেলতে খেলতে অভিজ্ঞতা থেকেই যতটা পারি শিখি। ক্রীড়া বিজ্ঞানের পরিকাঠামো উন্নত হলে ফলাফলও ভাল হবে।”
১ কোটি টাকা ও ডিএসপির চাকরি পাওয়া লাভলিনা বলেন, “আমি চাকরি পেতে খেলিনি। আমায় ডিএসপি করা হলেও একমাত্র দায়িত্ব হবে দেশের জন্য সোনা জেতা।” লাভলিনার মা মামণি বলেছেন, “আরও তিনটি অলিম্পিকে খেলবে আমার মেয়ে। আশা করি সবকটাতেই পদক পাবে।’’ সঙ্গে এটাও জানালেন, ‘‘এ বার বাড়ি এলে পরিবারের সবার সঙ্গে বসে ওর বিয়ের কথা আলোচনা হবে। অবশ্য ও তো আর একা আমার মেয়ে নয়, গোটা দেশের মেয়ে। ওর ইচ্ছে মতোই সব হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy