Love triangle between Dinesh Karthik, his wife Nikita and Murali Vijay was kept under carpet dgtl
dinesh karthik
স্বামীকে ডিভোর্স করে মুরলী বিজয়কে বিয়ে করেন ক্রিকেটার দিনেশ কার্তিকের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী
পারিবারিক জীবনে ঝড় বয়ে গেলেও বাইরের জীবনে তার জের পড়তে দেননি দিনেশ কার্তিক। ২০১২ সালে নিকিতার সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ হয়ে যায়। কোনও অভিযোগ বা পাল্টা অভিযোগের চাপানউতোরের মধ্যে না গিয়ে মিউচুয়াল ডিভোর্সের পথ বেছে নেন তাঁরা। শোনা যায়, সে সময় নিকিতা অন্তঃস্বত্ত্বা ছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০২০ ১১:৪০
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৫
সতীর্থর সঙ্গে স্ত্রীর সম্পর্কের জেরে ভেঙে গিয়েছিল ক্রিকেটার দিনেশ কার্তিকের সংসার। বিচ্ছেদের কয়েক মাসের মধ্যে আর এক ক্রিকেটার মুরলী বিজয়কে বিয়ে করেছিলেন দিনেশের স্ত্রী, নিকিতা। ত্রিকোণ সম্পর্কের এই জটিলতা নিয়ে তখন বিশেষ মুচমুচে সংবাদ হয়নি। কারণ, তিনজনেই এই টানাপড়েন সচেতন ভাবে গোপন রেখেছিলেন।
০২১৫
দিনেশ কার্তিক এবং নিকিতা বানজারা ছিলেন ছোটবেলার বন্ধু। শুধু তাঁরাই নন। তাঁদের বাবা-মায়েদের মধ্যেও ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব ছিল। বলতে গেলে, তাঁরা ছিলেন পারিবারিক বন্ধু। দিনেশ-নিকিতার বিয়ে হয় ২০০৭ সালে। উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান একুশ বছর বয়সি দিনেশ তখন ভারতীয় দলের নিয়মিত সদস্য। মুম্বইয়ের এক নামী হোটেলে সাত পাকে বাঁধা পড়েন তাঁরা।
০৩১৫
নিকিতার শৈশব কেটেছে কুয়েতে। কমার্সে স্নাতক নিকিতা বিয়ের পরে ধীরে ধীরে পরিচিত হন ভারতীয় ক্রিকেট-বৃত্তে। জীবনে তারকা-তকমার সঙ্গে ক্রমশ অভ্যস্ত হচ্ছেন তখন। কয়েক বছরের মধ্যে তাঁর পরিচয় হয় মুরলী বিজয়ের সঙ্গে। কিন্তু সেটা যে নিছক ‘পরিচয়’ নয়, সেটা দিনেশ জানতে পারেন অনেক পরে।
০৪১৫
তামিলনাড়ুর ডান হাতি ব্যাটসম্যান মুরলী বিজয়ও তখন ভারতীয় দলের নিয়মিত সদস্য। জাতীয় দল ছাড়াও ঘরোয়া ক্রিকেটেও তিনি দিনেশ কার্তিকের সতীর্থ। দু’জনেই তামিলনাড়ুর। পাশাপাশি, আইপিএল-ও তাঁদের চেনা ময়দান। বিশেষ সখ্য না থাকলেও তাঁদের মধ্যে শত্রুতা ছিল না। কিন্তু কে আর জানত একদিন এই অদ্ভুত জটিলতার মুখোমুখি হতে হবে দুই ক্রিকেটারকে।
০৫১৫
পারিবারিক জীবনের এই বিতর্কিত অধ্যায় নিয়ে মুখ খোলেননি দিনেশ বা মুরলী, কেউই। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত, একটি গুরুত্বপূর্ণ রনজি ম্যাচের আগে দিনেশ জানতে পারেন মুরলী-নিকিতা সম্পর্ক নিয়ে।
০৬১৫
পারিবারিক জীবনে ঝড় বয়ে গেলেও বাইরের জীবনে তার জের পড়তে দেননি দিনেশ কার্তিক। ২০১২ সালে নিকিতার সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ হয়ে যায়। কোনও অভিযোগ বা পাল্টা অভিযোগের চাপানউতোরের মধ্যে না গিয়ে মিউচুয়াল ডিভোর্সের পথ বেছে নেন তাঁরা। শোনা যায়, সে সময় নিকিতা অন্তঃস্বত্ত্বা ছিলেন।
০৭১৫
দিনেশ-নিকিতার বিচ্ছেদ অবধি সংবাদমাধ্যমের নজর সে দিকে ছিল না। ঘটনা নাটকীয় মোড় নিল, যখন বিচ্ছেদের কয়েক মাস পরে নিকিতা বিয়ে করলেন মুরলী বিজয়কে। জানা গিয়েছিল, কোনও এক আইপিএলের মরসুমে আলাপ হয়েছিল মুরলী-নিকিতার। কিন্তু কত বছর তাঁরা দিনেশ কার্তিক-সহ সবার কাছ থেকে সম্পর্ক গোপন রেখেছিলেন, সে বিষয়ে দু’জনের মুখেই কুলুপ।
০৮১৫
২০১২ সালে জন্ম হয় নিকিতার প্রথম সন্তানের। ছেলের নাম রাখা হয় নীরব। এর পর আরও একটি পুত্র এবং কন্যার মা হয়েছেন তিনি। তিন সন্তানকে নিয়ে মুরলী-নিকিতার সংসার এখন ভরপুর।
০৯১৫
স্বামীর ম্যাচ দেখতে প্রায়ই মাঠে যান নিকিতা। ‘ক্রিকেটারের স্ত্রী’ ছাড়াও তাঁর আরও একটি পেশাগত পরিচয় আছে। তিনি একজন শিল্পী। মুম্বইয়ের একটি থ্রি ডি কাস্টিং সংস্থায় কর্মরত নিকিতা। সলমন খান আর চকোলেটের ভক্ত নিকিতা ভালবাসেন কেনাকাটা করতে আর বেড়াতে যেতে।
১০১৫
বিচ্ছেদের পরে দিনেশ কার্তিকও বেশিদিন একা থাকেননি। ২০১৩ সালে তিনি বিয়ে করেন তারকা স্কোয়াশ খেলোয়াড় দীপিকা পাল্লিকলকে। হিন্দু এবং খ্রিস্টান, দু’টি ধর্মমতে বিয়ে হয় তাঁদের। এখন দীপিকার খেলার অন্যতম অনুরাগী তাঁর ক্রিকেটার স্বামী।
১১১৫
নিকিতা এবং দীপিকা, দু’জনে নিজেদের কেরিয়ারে উজ্জ্বল হলেও দু’জনের স্বামীই এখন জাতীয় দলে অনিয়মিত। দিনেশ কার্তিক শেষ টেস্ট খেলেছেন ২০১৮-র অগস্টে, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। মুরলী বিজয়ের শেষ টেস্ট সে বছরই ডিসেম্বরে, অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে।
১২১৫
ওয়ান ডে ম্যাচে অবশ্য দিনেশ কার্তিক তুলনামূলক ভাবে বেশি সুযোগ পান। শেষ ওয়ান ডে খেলেছেন ২০১৯-এর জুলাইয়ে, নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে। মুরলী বিজয়ের শেষ ওয়ান ডে ২০১৫-র জুলাই মাসে, জিম্বাবোয়ের বিপক্ষে।
১৩১৫
মুরলী বিজয় শেষ টি-২০-ও খেলেছেন বেশ কয়েক বছর আগে। ২০১৫ সালে জুলাইয়ে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে তাঁকে শেষবার জাতীয় দলের হয়ে টি-২০ ম্যাচে দেখা গিয়েছিল। দিনেশ কার্তিক শেষ টি-২০ খেলেছেন ২০১৯ সালের বছরের ফেব্রুয়ারিতে, অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে।
১৪১৫
আইপিএল-এ দু’জনেই খেলেছেন বিভিন্ন দলের হয়ে। মুরলী বিজয় আইপিএল শুরু করেছিলেন চেন্নাই সুপারকিংস-এর হয়ে। ২০০৯ থেকে ২০১৩ অবধি টানা পাঁচ বছর তিনি খেলেছেন চেন্নাইয়ের হয়ে। মাঝের বছরগুলি দিল্লি ডেয়ারডেভিলস এবং কিংস ইলেভেন পঞ্জাব হয়ে ২০১৯-এ আবার ফিরে এসেছেন চেন্নাই সুপার কিংসে।
১৫১৫
দিনেশ কার্তিক আইপিএল-কেরিয়ার শুরু করেন দিল্লি ডেয়ারডেভিলস দিয়ে। তারপর বিভিন্ন মরসুমে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স, ডেকান চার্জার্স, কিংস ইলেভেন পঞ্জাব, গুজরাত লায়ন্স, রয়্যাল চ্যালেঞ্জর্স ব্যাঙ্গালুরুতে খেলেছেন তিনি। ২০১৮ থেকে তিনি গৌতম গম্ভীরের পরিবর্তে কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক। (ছবি: ফেসবুক)