List of One Day Internationals which are as controversial as World Cup Final dgtl
Cricket
রোমাঞ্চ এবং বিতর্কের দিক থেকে বিশ্বকাপ ফাইনালকেও টেক্কা দিতে পারে এই ওয়ানডেগুলো
বিশ্বকাপ ফাইনালে ইংল্যান্ডের জেতার পর এই ওয়ানডে সর্বকালের সেরা কিনা তা নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। তবে বিতর্ক আর ফোটো ফিনিশে এই ম্যাচকে টেক্কা দিতে পারে, এমন কিছু ম্যাচ কিন্তু আগেও হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতাশেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০১৯ ১২:২২
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৩
বিশ্বকাপ ফাইনালে ইংল্যান্ডের জেতার পর এই ওয়ানডে সর্বকালের সেরা কিনা তা নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। আম্পায়ারিংয়ের ভুল নিয়েও চলছে বিতর্ক। তবে বিতর্ক আর ফোটো ফিনিশে এই ম্যাচকে টেক্কা দিতে পারে, এমন কিছু ম্যাচ কিন্তু আগেও হয়েছে। দেখে নেওয়া যাক এমনই কয়েকটি ম্যাচ।
০২১৩
এজবাস্টন, ১৯৯৯। বিশ্বকাপের সেই বিখ্যাত সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচ টাই হয়।
শেষ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার জেতার জন্য ৯ রানের দরকার ছিল। প্রথম দু’বলে চার করে মোট আট রান হয়। শেষ চার বলে জেতার জন্য দরকার ছিল ১ রান।
০৩১৩
কিন্তু অ্যালান ডোনাল্ডের রান আউট ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকাকে। সুপার ওভার না থাকায় ম্যাচ টাই হয় এবং সুপার সিক্সে হেড টু হেডে অস্ট্রেলিয়া জয়ী থাকায় ও পয়েন্টের দিক থেকে এগিয়ে থাকায় তারা ফাইনালে চলে যায়।
০৪১৩
জর্জটাউন, ১৯৯৯। অস্ট্রেলিয়া ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ম্যাচ টাই হয়।
বৃষ্টির কারণে ম্যাচ কমিয়ে ৩০ ওভার করা হয়। অস্ট্রেলিয়ার জেতার জন্য শেষ ওভারে দরকার ছিল ৬ রান। প্রথম বলে স্টিভ ওয় ২ রান নিয়ে নেন। শেষ ৫ বলে দরকার ছিল ৪ রান।
০৫১৩
এরপর পরপর চারটি ডট বল করে ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ফিরিয়ে আনেন আথারটন। শেষ বলে দু’রান নেওয়ার পর তিন রান নিতে যাওয়ার সময় মাঠে দর্শক ঢুকে পড়ে ও উইকেট তুলে নেয়। আম্পায়ার ম্যাচ বন্ধ করে দেন এবং ম্যাচ টাই হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
০৬১৩
সিডনি ১৯৯২- ইংল্যান্ড দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৯ রানে হারায়।
১৯৯২ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার জেতার জন্য ১৩ বলে ২২ রান দরকার ছিল। সবাই যখন ধরে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা এই ম্যাচ জিতে ফাইনালে চলে যাবে ঠিক তখন বৃষ্টি শুরু হয়।
০৭১৩
বৃষ্টি থামার পর ডার্কওয়াথ লুইস নিয়মে দক্ষিণ আফ্রিকার লক্ষ্য দাঁড়ায় ১ বলে ২২ রান। কিন্তু এখানেও ছিল হিসাবের ভুল। আসলে দরকার ছিল ২১ রান। দক্ষিণ আফ্রিকা শেষ বলে ১ রান করে এবং ইংল্যান্ড ম্যাচটি জিতে যায় ১৯ রানে।
০৮১৩
মাদ্রাজ, ১৯৮৭- অস্ট্রেলিয়া ভারতকে ১ রানে হারায়।
বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই বিতর্ক দেখা যায় এই ম্যাচ ঘিরে। ২৮তম ওভারে মনিন্দর সিংহের বলে ডিন জোন্সের মারা শট বাউন্ডারি অতিক্রম করলেও আম্পায়াররা নিশ্চিত ছিলেন না এটা বাউন্ডারি না ওভার বাউন্ডারি! রবি শাস্ত্রী জানান, ওটি বাউন্ডারি। ব্যাটসম্যান জোন্স তাতে অসন্তুষ্ট হন।
০৯১৩
অজিদের ইনিংসের শেষে অস্ট্রেলিয়ান কোচ আম্পায়ারদের সঙ্গে কথা বলেন। ডিকি বার্ড কথা বলেন ভারত অধিনায়ক কপিল দেবের সঙ্গে। কপিল আম্পায়ারকে ৬ দিতে বলেন। ভারত ম্যাচটি হারে এক রানে।
১০১৩
লাহৌর ১৯৮৭, পাকিস্তান ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারায় ১ উইকেটে।
শেষ ৩ বলে দরকার ছিল ১০ রান। এই অবস্থায় ৬ মারেন আব্দুল কাদির। পরের বলে ২ রান হয় এবং শেষ বলে জেতার জন্য দরকার হয় ২ রান।
১১১৩
কোর্টনি ওয়ালশ বল করার সময় দেখতে পান সেলিম মালিক ক্রিজের বাইরে দাঁড়িয়ে। তিনি উইকেটে বল লাগিয়ে দেন। ২ রান নেওয়ার পর স্পোর্টসম্যানশিপ দেখিয়ে এই সিদ্ধান্ত নিজেই গ্রহণ করেননি ওয়ালশ। যার ফলে পাকিস্তান ম্যাচটি জিতে যায়।
১২১৩
মেলবোর্ন ১৯৮১, অস্ট্রেলিয়া নিউজিল্যান্ডকে ৬ রানে হারায়।
নিউজিল্যান্ডের জেতার জন্য দরকার ছিল ১ বলে ৬ রান। গ্রেগ চ্যাপেল বোলার ট্রেভরকে নির্দেশ দেন আন্ডার আর্ম বল করার জন্য।
১৩১৩
নিউজিল্যান্ড ব্যাটসম্যান ম্যাককেনি ওই বলে খেলতে পারেননি যার ফলে ম্যাচটি জিতে যায় অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু তার পর থেকে ওয়ান ডে ক্রিকেটে আন্ডার আর্ম বল নিষিদ্ধ করা হয়।