Dharmendra got angry when Sanjeev Kumar proposed Hema Malini for marriage on the set of Sholay dgtl
Bollywood Gossip
ধর্মেন্দ্রের প্রেমিকাকে বিয়ের প্রস্তাব সহ-অভিনেতার, জানতে পেরে পরিচালকের সাহায্যে ‘শাস্তি’ দেন বীরু
‘শোলে’ ছবির সময় বলিপাড়ার জনপ্রিয় মুখ ছিলেন ধর্মেন্দ্র। সেই ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। বলিপাড়ার একাংশের দাবি, ধর্মেন্দ্রের জনপ্রিয়তার কারণে তাঁর কথা মেনে নিতে বাধ্য হন রমেশ।
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০২৫ ১৫:১৩
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৬
অভিনয়ের পাশাপাশি বলিউডের ‘ড্রিম গার্ল’ হেমা মালিনীর সৌন্দর্য নিয়েও চর্চা ছিল বলিপাড়ায়। এমনকি বলিপাড়ার একাধিক তারকাও নায়িকার গুণে মুগ্ধ হয়ে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু তা জানতে পেরে নাকি তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেছিলেন ধর্মেন্দ্র।
০২১৬
বলিপাড়ার অন্দরমহলে কান পাতলে শোনা যায়, হেমার প্রেমে হাবুডুবু খেয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র। প্রায় পাঁচ বছর সম্পর্কে থাকার পর ১৯৮০ সালে হেমাকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। তবে ধর্মেন্দ্র ছাড়াও নায়িকার প্রেমে ডুবেছিলেন বলিপাড়ার অন্য এক অভিনেতা।
০৩১৬
১৯৭৫ সালে রমেশ সিপ্পির পরিচালনায় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘শোলে’। বহুল প্রশংসিত এই ছবিতে ধর্মেন্দ্র এবং হেমার পাশাপাশি অভিনয় করেছিলেন অমিতাভ বচ্চন, সঞ্জীব কুমার, আমজাদ খান, জয়া বচ্চনের মতো তারকারা। কানাঘুষো শোনা যায়, এই ছবির শুটিংয়ের সময় থেকেই নাকি হেমা এবং ধর্মেন্দ্রের সম্পর্ক শুরু হয়েছিল।
০৪১৬
ধর্মেন্দ্র ছাড়াও হেমার প্রেমে পড়েছিলেন বলিপাড়ার অন্য এক নায়ক। বলিপাড়ার অন্দরমহলে কান পাতলে শোনা যায়, ‘শোলে’ ছবির সেটেই নাকি হেমার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক বাঁধতে চেয়েছিলেন সেই নায়ক। কিন্তু কাঁটা হয়ে দাঁড়ান ধর্মেন্দ্র।
০৫১৬
বলিপাড়ার গুঞ্জন, সত্তরের দশকের গোড়ার দিকে নাকি হেমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন সঞ্জীব কুমার। এমনকি হেমার পরিবারকেও সে কথা জানিয়েছিলেন অভিনেতা। কিন্তু সঞ্জীবের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন হেমা এবং তাঁর পরিবারের সদস্যেরা।
০৬১৬
হেমা বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ায় ভেঙে পড়েছিলেন সঞ্জীব। তবে ‘শোলে’ ছবিতে হেমার সঙ্গে অভিনয়ের সুযোগ পাওয়ায় আরও এক বার চেষ্টা করেছিলেন তিনি।
০৭১৬
বলিপাড়ায় কানাঘুষো শোনা যায় যে, ‘শোলে’ ছবির সেটে হেমাকে আবার বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন সঞ্জীব। সেই সময়ে ধর্মেন্দ্রের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন হেমা। সে কথা জানতেন না সঞ্জীব।
০৮১৬
দ্বিতীয় বার সঞ্জীবের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন হেমা। কিন্তু এ বার তিনি ধর্মেন্দ্রের রোষে পড়েন। সঞ্জীব যে হেমাকে সেটের মধ্যে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন তা জানতে পেরে রেগে যান ধর্মেন্দ্র।
০৯১৬
বলিপাড়ার জনশ্রুতি, সঞ্জীবের বিরুদ্ধে নালিশ জানাতে ‘শোলে’র পরিচালক রমেশের কাছে ছুটে যান ধর্মেন্দ্র। সরাসরি বিয়ের প্রস্তাবের কথা না জানিয়ে ধর্মেন্দ্র অন্য ভাবে সঞ্জীবকে ‘শাস্তি’ দেওয়ার কথা ভাবেন।
১০১৬
বলিউড সূত্রে খবর, ধর্মেন্দ্র নাকি রমেশকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন যে শুটিংয়ের সময় সেটের সকল তারকা এবং ক্রু সদস্যদের জন্য যেন কড়া নিয়মকানুন তৈরি করা হয়। তা ছাড়াও আরও একটি আর্জি করেছিলেন ধর্মেন্দ্র।
১১১৬
বলিপাড়ার একাংশের দাবি, রমেশের কাছে ধর্মেন্দ্র আবদার করেছিলেন, ‘শোলে’ ছবিতে সঞ্জীব এবং হেমার একসঙ্গে কোনও দৃশ্য যেন না থাকে। অভিনেতা আবদার করেছিলেন, চিত্রনাট্য এমন ভাবে তৈরি করা হোক যেখানে সঞ্জীব এবং হেমাকে একসঙ্গে কোনও দৃশ্যে শুট করতে না হয়।
১২১৬
‘শোলে’ ছবির সময় বলিপাড়ার জনপ্রিয় মুখ ছিলেন ধর্মেন্দ্র। এমনকি সেই ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছিলেন তিনি। বলিপাড়ার একাংশের দাবি, ধর্মেন্দ্রের জনপ্রিয়তার কারণে তাঁর কথা মেনে নিতে বাধ্য হন রমেশ।
১৩১৬
বলিউডের অন্দরমহলে কানাঘুষো শোনা যায়, ‘শোলে’ ছবিতে সঞ্জীব এবং হেমার কোনও দৃশ্য না থাকার নেপথ্যে ছিলেন ধর্মেন্দ্র। তিনি চাননি যে, শুটিংয়ের ছলেও হেমার কাছাকাছি আসুন সঞ্জীব।
১৪১৬
‘শোলে’ ছবি মুক্তির পাঁচ বছর পর ১৯৮০ সালে হেমাকে বিয়ে করেন ধর্মেন্দ্র। কিন্তু সঞ্জীব বিয়ে করেননি। সারা জীবন অবিবাহিত ছিলেন তিনি।
১৫১৬
সুলক্ষ্মণা পণ্ডিত নামে বলিউডের এক অভিনেত্রী নাকি সঞ্জীবকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন অভিনেতা।
১৬১৬
বলিপাড়ার একাংশের দাবি, সঞ্জীব বিয়ে করতে চাননি বলে সারা জীবন অবিবাহিত ছিলেন সুলক্ষ্মণাও। ১৯৮৫ সালের নভেম্বর মাসে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ৪৭ বছর বয়সে মারা যান ‘শোলে’র ঠাকুর বলদেব সিংহ।