উভয় সঙ্কট। জখম পা নিয়ে নাজেহাল অবস্থায় কারাবাস-আতঙ্ক। ছবি ফেসবুক।
সমস্যা যেন শেষ হওয়ার নাম নিচ্ছে না। উল্টে সময় যত গড়াচ্ছে, ততই তীব্র হচ্ছে ঝামেলা!
চোটের জন্য আগেই প্রায় দু’মাস মাঠের বাইরে তিনি। বাবার বিরুদ্ধে চলছে কর ফাঁকি দেওয়ার মামলা। এ বার নতুন সংযোজন— বিশ্বের সবচেয়ে দামী ফুটবলারের বিরুদ্ধে মামলা করার দাবি উঠল স্পেনে।
তিনি লিওনেল মেসি!
কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে বাবা জর্জ মেসি তো বটেই, ফুটবলের রাজপুত্রকেও ২২ মাসের জন্য জেলে ঢোকানোর দাবি উঠতে চলেছে আদালতে। স্পেনের আদালতে এক আইনজীবীর অভিযোগের ভিত্তিতে আদালতে শুনানির জন্য আসতে হবে মেসিকে। কেননা সেই আইনজীবীর চোখে বাবার জর্জ মেসির সঙ্গে ছেলে লিও মেসিও সমান অপরাধী কর ফাঁকি দেওয়ার মামলায়। যদিও কিছু দিন আগে শোনা যাচ্ছিল যে ওই আইনজীবী মেসির বিরুদ্ধে মামলা করবেন না। বার্সেলোনা তারকার ভাবমূর্তির কথা ভেবে। তবে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে তিনি যে মেসির বিরুদ্ধে তাঁর অবস্থানে অনড়, সেটা বুঝিয়ে দিলেন বৃহস্পতিবারই।
নিটফল, মাঠের মধ্যে বিশ্বের তাবড় তাবড় ডিফেন্ডারদের অনায়াসে ড্রিবল করে চোখধাঁধানো গোল করলেও আদালতের চোখরাঙানি থেকে কোনও ভাবেই বাঁচতে পারবেন না মেসি। আদালতে হাজিরা তো দিতে হবেই। আরও বড় আশঙ্কা হল, জেলের ঘানিও না টানতে হয় বার্সোলোনার প্রাণভোমরাকে।
বাবা-ছেলের বিরুদ্ধে ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় তিরিশ কোটি টাকার কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মেসির আইনজীবী যদিও দাবি করেছেন, ‘‘মেসি এ সব কিছু জানে না। ওর কাছে এক মিনিটও সময় নেই এই সব দেখাশোনা, পড়াশোনা কিংবা বিবেচনা করার। চুক্তির এক লাইনও পড়ার মতো সময় ও দিতে পারেনি।’’ যে দাবিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বিপক্ষ আইনজীবীর পাল্টা দাবি, ‘‘প্রচুর যুক্তিসম্মত ব্যাপার আছে যা প্রমাণ করে দেবে এই অপরাধে বাবা-ছেলে দু’জনেই জড়িত। লিও মেসির হিসাবপত্র জর্জ দেখত ঠিকই, কিন্তু তা মোটেই মেসির অজান্তে হয়নি। ছেলে সব জানত। তাই এই অপরাধে জর্জের সঙ্গে মেসিও সমান ভাবে দায়ী।’’
এখনও পর্যন্ত অবশ্য শুনানির কোনও তারিখ চূড়ান্ত হয়নি। তবে বিশ্বের অন্যতম ধনী ক্রীড়াবিদের ভবিষ্যৎ ঠিক হবে ভিলানোভা লা গেলট্রোয়। দক্ষিণ বার্সেলোনা থেকে প্রায় ৫০ কিমি দূরে। এখন শুধু দেখার, চার বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী, আঠাশ বছরের সুপারস্টার আর্জেন্তিনীয় ফুটবলার কর-ঝামেলা থেকে বেকসুর খালাস হতে পারেন কি না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy