শেষ মুহূর্তে মেসির গোলে পয়েন্ট পেল বার্সেলোনা। ছবি: এএফপি
সেভিয়া ২ : বার্সেলোনা ২
লাস পালমাস ০ : রিয়াল মাদ্রিদ ৩
তাঁর চোট সারেনি, এই আশঙ্কায় শুরু থেকে দলের সেরা অস্ত্রকে রিজার্ভ বে়ঞ্চেই বসিয়ে রেখেছিলেন আর্নেস্তো ভালভার্দে। কিন্তু দল যখন ০-২ হারছে, তখন সেই বিলাসিতা কোন দলের ম্যানেজারের শোভা পায়?
লা লিগায় সেভিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচে বার্সেলোনা তখন ০-২ পিছিয়ে, কোনও রাস্তা নেই দেখে ভালভার্দে নামিয়ে দিলেন সেই লিয়োনেল মেসি-কেই। ফল? ৮৭ মিনিট পর্যন্ত দু’গোলে পিছিয়ে থাকার পরে ২-২ করে মাঠ ছাড়ল বার্সা। ৮৮ মিনিটে বার্সেলোনার হয়ে প্রথম গোল করেন লুইস সুয়ারেস। এর ঠিক ৫৫ সেকেন্ডের মধ্যে মেসির গোল। যা লা লিগা জয়ের দিকে বার্সাকে আরও এক ধাপই শুধু এগিয়ে দিল না, অপরাজেয় থাকার রেকর্ডও বজায় রাখল।
ঘরের মাঠে প্রথমার্ধে সেভিয়ারই দাপট ছিল বেশি। বাঁ দিক থেকে জোয়াকিন কোরিয়া-র দুরন্ত পাস থেকে গোল করে যান ফ্র্যাঙ্কো ভাসকোয়েস। প্রথমার্ধে বার্সেলোনার হয়ে সব চেয়ে ভাল সুযোগটা নষ্ট করেন জেরার পিকে। গোলের দু’গজের মধ্যে বল পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই চাপের মধ্যে ছিল লা লিগা টেবলে শীর্ষে থাকা দল। বার্সা রক্ষণের ভুলে সেভিয়া-কে ২-০ এগিয়ে দেন লুইস মুরিয়েল। সে সময় মনে হচ্ছিল, গত ১৩ মাস অপরাজিত থাকার পরে এ বার বোধ হয় হারতেই হবে বার্সেলোনাকে। কিন্তু রিজার্ভ বেঞ্চে যে তখনও তিনি বসে। যাঁকে কিছুটা ঝুঁকি নিয়ে মাঠে নামিয়ে দিলেন ভালভার্দে। এবং ‘সুপার সাব’ মেসির কল্যাণে ম্যাচ না হেরেই মাঠ ছাড়তে পারল বার্সা। ৮৮ মিনিটের মাথায় সুরায়েসের শটে বার্সার প্রথম গোল। ৫৫ সেকেন্ডের মধ্যে বক্সের মাথা থেকে মেসির শটে দ্বিতীয়।
ম্যাচ ড্র করার ফলে এখনও একটা রেকর্ড ভাঙার সম্ভাবনা আছে বার্সার সামনে। কী সেটা? প্রায় ৪০ বছর আগে দুই মরসুম (১৯৭৮-৭৯ এবং ১৯৭৯-৮০) জুড়ে ৩৮ ম্যাচ অপরাজিত ছিল রিয়াল সোসিদাদ। সেই রেকর্ড ছোঁয়া থেকে আর মাত্র ৯০ মিনিট দূরে বার্সা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy