উল্লাস: গোলের পর কুটিনহোকে নিয়ে সতীর্থদের উচ্ছ্বাস। রয়টার্স
লিভারপুল ৩ : এভার্টন ১
রাশিয়া বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করে নেমাররা যখন উৎসবে মেতেছিলেন, তখন সেই উৎসবে ছিলেন না দুই ব্রাজিলীয় ফুটবলার—ফিলিপ কুটিনহো এবং ফির্মিনো।
এই দুই ব্রাজিলীয় ফুটবলারকেই শনিবারের লিভারপুল-এভার্টন ডার্বি ম্যাচের জন্য ফিরিয়ে আনতে বিশেষ বিমান পাঠিয়েছিলেন লিভারপুল কর্তারা। সেই সিদ্ধান্ত যে কোনও অংশেই ভুল ছিল না তা শনিবার প্রমাণ করলেন ফিলিপ কুটিনহো। শনিবার অ্যানফিল্ডে এভার্টনের বিরুদ্ধে ডার্বিতে ফিলিপ কুটিনহো শুধু গোলই করলেন না। তাঁর দাপটে লিভারপুল জিতল ৩-১।
অ্যানফিল্ডে গত আঠারো বছরে এই ম্যাচে জেতেনি এভার্টন। শেষ বার তাঁরা জিতেছিল ১৯৯৯ সালে। এ দিন ম্যাচের শুরুতেই সাদিও মেনের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল লিভারপুল। গত ডিসেম্বরে দু’দলের শেষ সাক্ষাতেও ম্যাচের নিষ্পত্তি হয়েছিল মেনের গোলেই। কিন্তু নাটকীয় ম্যাচে প্রথমার্ধের মাঝামাঝি সময়ে প্রিমিয়ার লিগে কেরিয়ারের প্রথম গোল করে এভার্টনকে সমতায় ফেরান ডিফেন্ডার ম্যাথু পেনিংটন। তবে মিনিট তিনেক পরেই কুটিনহোর গোলের সুবাদে প্রথমার্ধে ২-১ এগিয়েছিল লিভারপুল। দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি চোট পেয়ে মাঠের বাইরে চলে যান মেনে। তাঁর পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নামার তিন মিনিটের মধ্যেই ৩-১ করেন য়ুর্গেন ক্লপের বেলজিয়ান ফরোয়ার্ড ডিভোক ওরিজি।
এ দিন জয়ের ফলে ইপিএল টেবলে তিন নম্বরে উঠে এল লিভারপুল। জয়ের পর ওরিজি উচ্ছ্বাসপূর্ণ মন্তব্য, ‘‘স্পেশ্যাল ম্যাচ জেতার আনন্দই আলাদা। স্বস্তিদায়ক জায়গায় রইল লিভারপুল।’’
এভার্টন কোচ রোনাল্ড কোম্যান এ দিন পাননি তাঁর টিমের দুই অভিজ্ঞ ফুটবলার সিমাস কোলম্যান এবং মর্গ্যান স্নেইডারলিনকে। তাই ডার্বি জিততে তিনি ভরসা রেখেছিলেন নবীন ফুটবলারদের উপরই। যদিও কোম্যানের সেই রণকৌশল কার্যকর হয়নি কুটিনহোদের দুরন্ত ফুটবলের সামনে।
লিভারপুল কোচ ক্লপ আবার জয়ের দিনে সরব এভার্টনের মিডিও রস বার্কলে-কে রেফারি মার্চিং অর্ডার না দেওয়ায়। প্রথমার্ধে তাঁর ক্রোয়েশিয়ান ডিফেন্ডার লভরেন-কে অবৈধ ভাবে আটকেছিলেন বার্কলে। যে ফাউলের পর উত্তেজিত ভাবে রেফারির দৃষ্টি আকর্ষণ করতে দেখা গিয়েছে ক্লপকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy