হুঙ্কার: স্বমেজাজে উইম্বলডনে জেতার পথে রাফা।
কিংবদন্তি জন ম্যাকেনরো মনে করেন, রাফায়েল নাদালের মুখে বারবার পায়ের চোটের কথা শোনা অন্যদের কাছে ক্লান্তিকর হয়ে উঠতে পারে। যোগ করেছেন, চোটের কথা নোভাক জোকেভিচও বলেন। তবে দু’জনের দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন।
ম্যাকেনরোর কথায়, ‘‘আমি বলব, ওদের দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন। জোকোভিচ খোলাখুলি বলে, ও সবচেয়ে বেশি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিততে চায়। আর নাদাল বলে, কোনও কিছুতেই ওর এসে যায় না। তবু পয়েন্ট আর ম্যাচ জিততে নিজেকে উজাড় করে দেয়।’’
তাঁর সংযোজন, ‘‘অন্য দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই ওরা চলে। একবার ভাবুন, দু’জনে মিলে মোট ক’টা গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতেছে! তাই আমি মনে করি, যার যেমন মানসিকতা সেটা নিয়েই খেলা উচিত। মাঝে মধ্যে মনে হয়, বারবার চোটের কথা শোনা অন্যদের কাছে ক্লান্তিকর হয়ে উঠতে পারে। রাফা যেমন বলে থাকে, ওর পা-এ নাকি কোনও অনুভূতিই নেই!’’
উইম্বলডনে স্বমেজাজেই প্রথম রাউন্ডে জিতেছেন নাদাল। যা নিয়ে ম্যাকেনরো বলেছেন, ‘‘রাফাকে তো ফরাসি ওপেনে রীতিমতো সুস্থ মনে হয়েছে। এখন হঠাৎ শুনছি, ও চিকিৎসা করাতে নতুন কিছু উপায়ের সাহায্য নিয়েছে। আমি নিজেও জানি না, যে তাকে কী বলে।” তিনি আরও বলেছেন, “এখন দেখে মনে হচ্ছে দিব্যি ভাল আছে রাফা। কোনও ব্যথাও আছে বলে মনে হয় না। সে রকম কিছু শুনলে তা বিশ্বাস করাও কঠিন। আরও ভাল লাগে, যখন দেখি যে ওরা দু’জনই সার্কিটে যুযুধান।’’ ম্যাকেনরোর মতো স্পেনীয় তারকার অদম্য মানসিকতা দেখে মুগ্ধ সেরিনা উইলিয়ামসও। তিনি জানিয়েছেন, কোর্টে রাফার খেলা এবং প্রাণখোলা হাসি এথনও তাকে মোহাবিষ্ট করে রাখে। তিনি স্পেনীয় তারকার এতটাই অনুগামী যে, নিজের পোষ্যের নাম রেখেছেন স্পেনীয় তারকার নামেই। সেরিনা বলেছেন, ‘‘আপনারাই বলুন, ২০২২ সালেই কত কী করে ফেলেছে ও। তাই সবসময়ই ভীষণ ব্যস্ত। আমি আজন্ম রাফার অন্ধ ভক্ত। যে কারণে প্রিয় পোষ্যের নামও রাফা রেখেছি। আমার ছোট্টো মিষ্টি পোষ্যও সঙ্গে না থাকলে ভাল লাগে না।’’
এ দিকে, উইম্বলডনে করোনার সংক্রমণ নিয়ে মুক খুলেছেন ফরাসি মহিলা টেনিস তারকা অ্যালিজে কোর্নে। তিনি মনে করেন, ফরাসি ওপেন চলাকালীনই অনেক খেলোয়াড় এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। কিন্তু সেটা তাঁরা প্রকাশ্যে আনতে চাননি। ফ্রান্সের এক পত্রিকায় দেওয়া সাক্ষাৎকারে কোর্নে বলেছেন, “একটা সময়ে হয়তো আমাদের সবারই জ্বর হয়েছিল। এ বারের রোলঁ গারোজ়ের প্রেক্ষিতে বলতে পারি যে, অনেকেই আক্রান্ত হয়েছেন মারণ ভাইরাসে। এটা নিয়ে আমাদের মধ্যে একটা যেন নীরব চুক্তিও ছিল। সেটা হল, নিজেরা উদ্যোগ নিয়ে কোভিড পরীক্ষায় গিয়ে বিপদ না ডেকে আনা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy