ছবি টুইটার
আর মাত্র কয়েকটা ঘণ্টা। ফতোরদার মাঠে এটিকে মোহনবাগানের মুখোমুখি এসসি ইস্টবেঙ্গল। বাঙালির চিরন্তন ডার্বি। এতদিন কথা হত দুটো দলই কলকাতার, কিন্তু দলে বাঙালি ফুটবলারের বড্ড অভাব। এবার কিন্তু ১৪ জন বাঙালি ফুটবলার আছেন দুই দলে। অনেকেই এর আগে ডার্বিও খেলেছেন। সবার চোখ যতই রয় কৃষ্ণ, মনভীর সিংহ বা ব্রাইট এনোবাখারে, জ্যাক মাঘোমার দিকে থাক, ফারাক গড়ে দিতে পারেন এই বঙ্গসন্তানরাও।
মহম্মদ রফিক: অনেক জায়গায় খেলতে পারেন। প্রথম আইএসএল ফাইনালে তাঁর করা গোলেই ট্রফি পেয়েছিল এটিকে। এর আগেও ইস্টবেঙ্গলের হয়ে প্রায় তিন বছর খেলার অভিজ্ঞতা আছে ২৮ বছর বয়সী এই ফুটবলারের।
সুব্রত পাল: মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল তো বটেই, এছাড়াও ইউনাইটেড স্পোর্টস, মুম্বই সিটি এফসি, হায়দরাবাদ এফসির মতো ক্লাবে দীর্ঘদিন ধরেই খেলছেন সুব্রত। ভারতীয় দলে একটা সময়ে নিয়মিত সদস্য ছিলেন তিনি।
দেবজিৎ মজুমদার: গত মরসুমে মোহনবাগানের আই লিগ জয়ী দলের সদস্য হলেও সেভাবে খেলার সুযোগ পাননি। এ মরসুমে লাল হলুদে এসে আইএসএলের মঞ্চে দারুণ খেলেছেন বাঙালি এই গোলরক্ষক। এর আগেও এটিকের হয়ে ২০১৬ সালে আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হন তিনি। ২০১৯-২০ মরসুমের পাশাপাশি ২০১৪-১৫ মরসুমেও মোহনবাগানের হয়ে আই লিগ জিতেছিলেন দেবজিৎ।
নারায়ণ দাস: এর আগেও ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। এ মরসুমে প্রথম ডার্বিতেও সুযোগ পেয়েছিলেন এই লেফট ব্যাক। এ মরসুমে ১৪ টি ম্যচ খেলেছেন নারায়ণ।
সার্থক গলুই: ২৩ বছর বয়সী এই রাইট ব্যাক এর আগে মোহনবাগানের হয়ে বেশ কিছু ম্যাচ খেলেছেন। মুম্বই সিটি এফসি, পুনে সিটি এফসির হয়ে এর আগে আইএসএলেও খেলেছেন। জানুয়ারির এই ফুটবলারকে দলে নিয়েছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল।
সৌরভ দাস: ২০১৭-১৮ মরসুমে টাটা ফুটবল অ্যাকাডেমি থেকে মোহনবাগানে যোগ দেন তরুণ এই মিডফিল্ডার। ২০১৯-২০ মরসুম পর্যন্ত সবুজ মেরুনেই ছিলেন তিনি। গত মরসুমে মুম্বই সিটি এফসিতে যোগ দিলেও জানুয়ারিতে এসসি ইস্টবেঙ্গলে আসেন তিনি।
অঙ্কিত মুখোপাধ্যায়: এসসি ইস্টবেঙ্গলের হয়ে ইতিমধ্যেই ১০ টি ম্যাচ খেলে ফেলেছেন অঙ্কিত। এটিকে দলেও ছিলেন তিনি।
অরিন্দম ভট্টাচার্য: এটিকে মোহনবাগান গোলে ভারসা দিচ্ছেন এই গোলরক্ষক। ১৭ ম্যাচে ১০ টিতে ম্যাচে একটিও গোল খাননি তিনি । গত মরসুমেও এটিকের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তাঁর।
প্রীতম কোটাল: গত মরসুমে এটিকের চ্যাম্পিয়ন দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন প্রীতম। মোহনবাগানের হয়েও আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন তিনি। এবছরও ভাল ফুটবল খেলছেন এই রাইট ব্যাক। ১৬ টি ম্যাচ খেলে ফেলেছেন তিনি।
শুভাশিস বসু: এর আগে মোহনবাগানের হয়ে খেলেছেন শুভাশিস। মুম্বই সিটি এফসি, বেঙ্গালুরু এফসির হয়ে আইএসএল খেলে এবছর যোগ দিয়েছেন এটিকে মোহনবাগানে।
প্রবীর দাস: গত মরসুমের চ্যাম্পিয়ন এটিকে দলের অন্যতম সদস্য প্রবীর। এ মরসুমেও রয়েছেন হাবাসের দলেই। তবে এখনও সেভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি এই বঙ্গতনয়। এর আগে সবুজ মেরুন জার্সি গায়ে খেলেছেন তিনি।
প্রণয় হালদার: ২০১৬-১৭ মরসুমে মোহনবাগানের হয়ে খেলেছিলেন প্রণয়। এরপর আইএসএলের মঞ্চে মুম্বই সিটি এফসি ও এফসি গোয়ার হয়ে খেলেছেন তিনি। এ মরসুমে যোগ দিয়েছেন এটিকে মোহনবাগানে।
শেখ সাহিল: গত মরসুমে মোহনবাগানের আই লিগ জয়ের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা ছিল এই তরুণ ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারের। এ মরসুমে সাহিলকে দলে নেয় এটিকে মোহনবাগান। এ মরসুমে ৭টি ম্যচ খেলেছেন তিনি। গত মরসুমেও ডার্বি খেলেছিলেন এই বঙ্গতনয়।
অভিলাষ পাল: গত মরসুমে এটিকেতে ছিলেন তিনি। এরপর মোহনবাগানে যোগ দেন তিনি। যদিও এখনও একটাও ম্যচ খেলার সুযোগ পাননি অভিলাষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy