ডার্বিতে জয় পেতে মরিয়া এটিকে মোহনবাগান ছবি টুইটার
শুক্রবারের ডার্বির আগেই এটিকে মোহনবাগানে বসন্তের হাওয়া। ভ্যালেন্টাইন্স ডে-র পরও তাই প্রেমের মেজাজে রয় কৃষ্ণ। এটিকে মোহনবাগান মিডিয়া টিমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘অনেকেই আমার কাছে জানতে চান গোল দিয়ে আমি আমার বাঁ হাতের আংটিতে চুমু খাই কেন। আসলে ওটা আমার স্ত্রী-র দেওয়া আংটি, যে আমার ভাল খেলার অনুপ্রেরণা। ফিজিতে থেকেও ও অনেক ত্যাগ স্বীকার করে আমার জন্য। প্রতি বার গোলের পর তাই ওটাতে চুমু খেয়ে আমি ওকে সম্মান জানাই। আর পরের গোলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠি।’’
মঙ্গলবার থেকেই ডার্বির প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে এটিকে মোহনবাগান। শীর্ষ স্থান ধরে রাখতে মরিয়া আন্তোনিয়ো লোপেজ হাবাসের ছেলেরা। এসসি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে তাই তিন পয়েন্টের লক্ষ্যে বুধবার অনুশীলনে সেট পিস ও আক্রমণে বৈচিত্র আনার দিকে জোর দিতে চাইছেন সবুজ-মেরুনের হেড স্যার। লিগ টেবিলের শীর্ষে থাকলেও আত্মতুষ্ট হতে নারাজ এটিকে মোহনবাগানের গোলমেশিন। তিনি বলেন, ‘‘লিগ শীর্ষে আছি বলে আমরা আত্মতুষ্ট নই। আমাদের কাছে সব ম্যাচই এখন ফাইনাল। ডার্বি ও তার থেকে আলাদা কিছু নয়। আমরা এসসি ইস্টবেঙ্গলের মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে খেলতে নামছি। তাই সবরকম প্রস্তুতি নিয়েই এই ম্যাচে নামতে চাই আমরা।’’
প্রথম পর্বে সহজেই রবি ফাওলারের দলকে হারিয়েছিলেন রয় কৃষ্ণরা। তবে এবার ম্যাচ অতটা সহজ হবে না বলেই মনে করছেন রয়। তিনি বলেন, ‘‘প্রথম পর্বের তুলনায় এসসি ইস্টবেঙ্গল এখন অনেক শক্তিশালী। জানুয়ারির ট্রান্সফার উইন্ডোতে ওদের দলে বেশ কিছু নতুন ভাল ফুটবলার এসেছে। ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণ শেষ বেশ কয়েকটি ম্যাচে বিপক্ষের অনেক নিশ্চিত গোল বাঁচিয়েছে। ওদের রক্ষণ ভেঙ্গে গোল করাই আমাদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। তবে, আমাদের সমর্থকদের কথা ভেবে এই ম্যাচে জয় পেতেই হবে।’’
নিজের প্রথম ডার্বি নিয়ে ভীষণ উত্তেজিত মার্সেলিনহো। তিনি বলেন, ‘‘কলকাতা ডার্বি না খেললেও এই ম্যাচ নিয়ে সমর্থকদের আবেগ আমি ভালোভাবেই জানি। টেলিভিশনে এই ম্যাচ আমি দেখেছি। রঙিন গ্যালারি, সমর্থকদের উদ্দীপনা সবকিছুই থাকে এই ম্যাচে। আমি বিভিন্ন দেশে স্থানীয় কিছু ডার্বি খেলেছি। ফলে জানি ডার্বির গুরুত্ব।’’
সবুজ-মেরুন সমর্থকদের কাছ থেকে নিয়মিত অনেক মেসেজ পাচ্ছেন তিনি। তাদের প্রত্যাশা পূরণ করাই চ্যালেঞ্জ মার্সেলিনহোর সামনে। তিনি বলেন, ‘‘সমর্থকরা ডার্বিতে গোল করার অনুরোধ জানাচ্ছেন। গোল আমিও করতে চাই। কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দলের জয়। সতীর্থরা আমায় জানিয়েছে কলকাতা ডার্বি জয়ের আনন্দই আলাদা। আমি সেই স্বাদ নিতে চাই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy