Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
ISL 2020

গুটিয়ে থাকবেন ফুটবলাররা? বাড়বে চোট? কঠিন চ্যালেঞ্জ করোনা আবহে দেশের প্রথম বড় টুর্নামেন্টে

একাধিক আতঙ্কের মধ্যেও একটা ভাল দিকের কথা বলছেন তিন জনই। আর সেটা হল, করোনা আতঙ্ক কাটিয়ে অবশেষে ফুটবল ফিরছে এ দেশে।


এ রকম ফাঁকা স্টেডিয়ামেই হবে এ বারের আইএসএল। ছবি-টুইটার থেকে।

এ রকম ফাঁকা স্টেডিয়ামেই হবে এ বারের আইএসএল। ছবি-টুইটার থেকে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২০ ২৩:৩২
Share: Save:

গতবার আইএসএল ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৪ মার্চ। সে বারের ফাইনালে চেন্নাইয়িনকে ১-৩ গোলে হারিয়ে তৃতীয় বার খেতাব জিতেছিল এটিকে। করোনা আতঙ্কের জন্য ক্রীড়ামন্ত্রকের নির্দেশে ফাঁকা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছিল মেগা টুর্নামেন্টের ফাইনাল।

তার পর গঙ্গা দিয়ে গড়িয়ে গিয়েছে অনেক জল। করোনার থাবায় প্রায় অচল হয়ে যায় বিশ্ব। থেমে গিয়েছিল ক্রীড়াবিশ্বও। বিদেশের মাঠে ফুটবল আগে গড়ালেও এ দেশের মাঠে তা শুরু হয়েছে দেরিতে। শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে এ বারের আইএসএল। তার আগে অবশ্য হয়ে গিয়েছে দ্বিতীয় ডিভিশন আই লিগ। কিন্তু গোটা দেশের ফুটবলভক্তদের নজরে এ বারের আইএসএল। এটিকে-মোহনবাগান বনাম কেরল ব্লাস্টার্স ম্যাচের পারদ চড়তে শুরু করে দিয়েছে। কেমন হবে প্রথম দিনের ম্যাচ? দুই স্পেনীয় কোচের মগজাস্ত্রের লড়াই দেখে কি মন ভরবে ফুটবলভক্তদের?

জাতীয় দলের প্রাক্তন গোলকিপার সন্দীপ নন্দী বলছেন, “যে কোনও টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচ কঠিনই হয়। কোনও দলই শুরু থেকে আক্রমণে যেতে চায় না। আন্তোনিয়ো লোপেজ হাবাস অভিজ্ঞ কোচ। তিনিও শুরু থেকেই আক্রমণের রাস্তা নেবেন না। বরং নিজের ডিফেন্স জমাট করে পরে আক্রমণে যাবেন। অন্য দিকে কিবু ভিকুনার খেলার স্টাইল অন্যরকমের হলেও প্রথম ম্যাচ বলে একটু গুটিয়েই থাকবেন বলে মনে হয়।”

আরও পড়ুন: ডার্বি পরে, মাথায় এখন শুধুই কিবুর কেরল, আইএসএল-এ অভিযান শুরুর আগে বললেন হাবাস

শুক্রবারের উদ্বোধনী ম্যাচের আগে সে ভাবে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়নি এটিকে-মোহনবাগানের। হাবাসও সেই কথা বলছিলেন। কেরল ব্লাস্টার্সও দীর্ঘ প্রি সিজন করতে পারেনি। তার উপরে বেশ কয়েক জন ফুটবলার কোয়রান্টিন পর্ব কাটিয়ে উঠেছেন দিন তিনেক হল। এ রকম পরিস্থিতিতে ফুটবলারদের ফিটনেস লেভেল কেমন, তার উপরে নির্ভর করে রয়েছে আগামিকালের ম্যাচ। কেরল ব্লাস্টার্সের জার্সিতে অতীতে খেলেছেন মেহতাব হোসেন। ইস্ট-মোহনের মাঝমাঠ সামলানো মিডফিল্ডার বলছেন, “অতিমারি পরিস্থিতির জন্য অনুশীলন দেরিতে শুরু হয়েছে। ফুটবলাররা কতটা নিজেদের ফিট রাখতে পেরেছে, তার উপরেও নির্ভর করছে ম্যাচের ভাগ্য।”

এশিয়ান অল স্টার খ্যাত গোলকিপার অতনু ভট্টাচার্য আবার মনে করছেন, দর্শকহীন স্টেডিয়াম ফুটবলারদের মধ্যে থেকে সেরাটা বের করে আনবে না। জাতীয় দলের প্রাক্তন গোলকিপার বলছেন, “এ দেশে সম্ভবত প্রথম বার দর্শকহীন স্টেডিয়ামে গোটা টুর্নামেন্ট হচ্ছে। দর্শক না থাকলে ফুটবলাররা নিজেদের উজ্জীবিত করতে পারে না।” অতনুর সুরেই সুর মেলাচ্ছেন সন্দীপ। বলছেন, “দর্শক অনেকটা রান্নায় নুনের মতো, না পড়লে কোনও স্বাদই নেই। তেমনই দর্শকের উপস্থিতি প্লেয়ারদের মোটিভেট করে, এনার্জি বাড়ায়, আবেগ তাড়িত করে। একটা-দুটো ম্যাচ তবুও খেলা সম্ভব কিন্তু গোটা টুর্নামেন্ট দর্শকহীন হলে সমস্যায় পড়বে ফুটবলাররাই।”

এখন অবশ্য পেশাদারদেরই যুগ। যত দ্রুত পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবেন ফুটবলাররা, ততই নিজেদের ছন্দ ফিরে পাবেন তাঁরা। সন্দীপও মানছেন তা। কিন্তু যোগ করছেন, “প্রথম ম্যাচে ফুটবলারদের খেলায় জড়তা দেখা দেবে। তার কারণ হল, অনেক দিন পরে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলতে নামছে তারা। ম্যাচ ফিট হতে বেশ কয়েকটা ম্যাচ দরকার। চোট লাগার আশঙ্কাও থেকে যাচ্ছে।”

আরও পড়ুন: হৃদয় জুড়ে মোহনবাগান, পুরনো ক্লাবের বিরুদ্ধে নামার আগে নস্ট্যালজিক কিবু

একাধিক আতঙ্কের মধ্যেও একটা ভাল দিকের কথা বলছেন তিন জনই। আর সেটা হল, করোনা আতঙ্ক কাটিয়ে অবশেষে ফুটবল ফিরছে এ দেশে। সবার মুখে তাই একটাই কথা— ‘লেটস প্লে ফুটবল’।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy