অর্ধশতরান করলেন কোহলি। ছবি: আইপিএল
শুরুটা যেমন হয়েছিল, শেষটা তেমন হল না। বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের উইকেট সাধারণত ব্যাটারদের স্বর্গরাজ্য। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটাও তেমনই করেছিলেন বেঙ্গালুরুর দুই ওপেনার ফাফ ডুপ্লেসি এবং বিরাট কোহলি। কিন্তু মাঝের দিকে উইকেট পড়ে যাওয়া এবং রান তোলার গতি কমে যাওয়ার মূল্য চোকাতে হল তাদের। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে রান তুলল তারা। দিল্লির সামনে চলতি আইপিএলে প্রথম জয় পাওয়ার সুবর্ণসুযোগ।
বেঙ্গালুরুর দুই ওপেনার দাপটের সঙ্গেই শুরু করেছিলেন। ফাফ ডুপ্লেসি এবং বিরাট কোহলি প্রায় প্রতি ম্যাচেই শুরুটা এমন করেন, যা বাকিদের উপর থেকে চাপ অনেকটা হালকা করে দেয়। এ দিনও সেটাই দেখা গেল। অনরিখ নোখিয়াকে দিয়ে শুরু করেছিল দিল্লি। প্রথম ওভারেই তিনি ১১ রান হজম করেন। পরের ওভারে অক্ষর পটেল পাঁচ রান দিলেও তৃতীয় ওভারে মুস্তাফিজুর রহমান এসেই দশ রান দেন।
পঞ্চম ওভারেও মিচেল মার্শকে দু’টি চার মেরে স্বাগত জানিয়েছিলেন ডুপ্লেসি। চালিয়ে খেলতে গিয়েই আউট হন। মিড উইকেটে আমন খানের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। বেঙ্গালুরু সমস্যায় পড়েনি। তিনে নেমে মহিপাল লোমরোর একটা দিক ধরে রেখেছিলেন। উল্টো দিক থেকে চালিয়ে খেলছিলেন কোহলি। ৩৩ বলে তাঁর অর্ধশতরান হয়ে যায়। তার পরেই অদ্ভুত ভাবে আউট হলেন প্রাক্তন অধিনায়ক।
১১তম ওভারে বল করতে এসে লোপ্পা দিয়েছিলেন ললিত যাদব। কোহলি অনায়াসে সেটি লেগ সাইডে চালাতে পারতেন। কিন্তু তিনি বুঝতে পারেননি বলের গতি। ক্যাচ তুলে দেন মিড উইকেটে। যশ ধুল তা তালুবন্দি করেন। এক বল আগেই ব্যাট বদলেছিলেন কোহলি। তা কাজে দিল না।
বেঙ্গালুরুর আর এক মারকুটে ব্যাটার গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও চালিয়ে খেলা শুরু করেছিলেন। তিনটি ছক্কা মেরে চিন্নাস্বামীর জনতাকে চাঙ্গা করে দেন। কিন্তু কুলদীপের বলে ফিরতে হয় তাঁকে। পরের বলে কুলদীপ তুলে নেন দীনেশ কার্তিককেও। ওখানেই বেঙ্গালুরুর বড় রানের আশা শেষ হয়ে যায়। প্রথম ইনিংসেই মহিপালের বদলে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে অনুজ রাওয়তকে নামায় বেঙ্গালুরু। ২২ বল খেলে অনুজের অবদান ১৫!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy